১২:০৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
আন্তর্জাতিকভাবে দাবি জানানোয় বন্দিদের মুক্তি ঘোষণা বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দেশবাসীর দোয়ার আবেদন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্কটকালে মায়ের স্নেহ পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা আমারও: তারেক রহমান মৌসুমি সবজি বাজারে ভরপুর, দাম কমে গেছে উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ সভায় খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনায় দোয়া ও মোনাজাত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের জন্য ভর্তুকির দাবি আরব আমিরাতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া ২৪ ব্যক্তির মুক্তি আসছে বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা মনের আকাঙ্ক্ষা ও রাজনৈতিক বাস্তবতার মধ্যে দ্বন্দ্ব: তারেক রহমানের মন্তব্য বাজারে মৌসুমি সবজির সরবরাহ বৃদ্ধি ও দাম কমে যাচ্ছে

ইসি সম্পূর্ণ প্রস্তুত, ফেব্রুয়ারিতেই হতে পারে সংসদ নির্বাচন

আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে বাংলাদেশের ত্রয়োদশ জাতীয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আয়োজনের জন্য নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। এই ব্যাপারে জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ জানিয়েছেন, এখন কমিশনের জন্য কোনও প্রকার প্রতিবন্ধকতা রইল না। সব প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে এবং ফেব্রুয়ারির প্রথম বা দ্বিতীয় সপ্তাহে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে তা সফলভাবে সম্পন্ন হবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

তিনি আরও জানান, সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী বিদেশ থেকে আনা ভোটের কালি এসে পৌঁছেছে, যা দেশের ভোটগ্রহণের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এছাড়াও, ভোটের পূর্বে প্রয়োজনীয় বেশ কিছু মৌলিক কাজ ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে।

আব্দুর রহমানেল মাছউদ দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও বলেছেন, সমন্বিত ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ শুধু নির্বাচনের জন্যই জরুরি নয়, বরং এই স্থিতিশীলতা দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য। রাজনৈতিক দলগুলো প্রার্থী ঘোষণা করাও ভোটের আমেজ তৈরি করেছে, এবং তারা বিশ্বাস করেন, সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত হলে পরিস্থিতি আরও উন্নত হবে।

তিনি আরও ব্যাখ্যা করেছেন যে, এই নির্বাচনে দেশটির স্থিতিশীলতা ও গণতান্ত্রিক ধারার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সরকার গঠনই মূল লক্ষ্য। তিনি বলছেন, জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধার এবং নির্বাচনকে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক করে তোলাই এখন তাদের প্রধান দায়িত্ব। তিনি আরও উল্লেখ করেন, কিছু গত নির্বাচনে অনিয়মের কারণে যে অবিশ্বাস সৃষ্টি হয়েছিল, তা কাটিয়ে ওঠাই এ বছরের প্রধান চ্যালেঞ্জ।

ইসি সচিবালয়ের এক কর্মকর্তা বাসসকে জানিয়েছেন, নভেম্বরের মধ্যে নির্বাচনী সামগ্রী সংগ্রহ, আইন সংশোধন, ভোটার তালিকা হালনাগাদসহ অন্যান্য প্রস্তুতি সম্পন্ন হবে। ডিসেম্বরের শুরুতেই নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বর্তমানে দেশের মোট ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ৭৬ লাখ ১২ হাজার ৩৮৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৪৭ লাখ ৬০ হাজার ৩৮২, নারী ভোটার ৬ কোটি ২৮ লাখ ৫০ হাজার ৭৭২ এবং তৃতীয় লিঙ্গের (হিজড়া) ভোটার প্রায় ১ হাজার ২৩০ জন। গত দুই মাসে নতুন ভোটার সংখ্যা আরও ১৩ লাখ ৪ হাজার ৮৮০ জন বৃদ্ধি পেয়েছে।

ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানিয়েছেন, ১৭ নভেম্বরের মধ্যে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। এর আগে, ১৭ নভেম্বর তারিখ পর্যন্ত দাবির জন্য আপত্তি দাখিলের সুযোগ থাকবে।

এছাড়া, নির্বাচনের জন্য আইনেও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনা হয়েছে। নতুন সংশোধনীতে অর্ধেকের বেশি পরিবর্তন হয়েছে আরপিও ২০২৫-এ। একাধিক দিকের পরিবর্তনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো— আদালত ঘোষিত ফেরারি আসামিকে প্রার্থী হতে বাধা, সেনা, নৌ, বিমান ও কোস্টগার্ডের মতো সশস্ত্র বাহিনী অন্তর্ভুক্ত করা, একক প্রার্থী থাকলে ‘না ভোট’ ফের চালু, সমান ভোট পান প্রার্থী হলে লটারির পরিবর্তে পুনঃভোট, জোটগত নির্বাচনে একে অপরের প্রতীকে ভোট প্রদান বাধ্যতামূলক, নির্বাচন জামানত নির্ধারণ ৫০ হাজার টাকা, এবং আচরণবিধি লঙ্ঘনের জন্য সর্বোচ্চ জরিমানা ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। অনিয়ম প্রমাণিত হলে, পুরো আসনও বাতিলের ক্ষমতা ইসিকে দেওয়া হয়েছে।

নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় নতুন সংযোজন হিসেবে পোস্টাল ভোটিং পদ্ধতি চালু হচ্ছে, যেখানে আইটি সাপোর্টে পোস্টাল ভোটের জন্য নিবন্ধন চালু হবে। এ জন্য, ‘পোস্টাল ভোট রেজিস্ট্রেশন অ্যাপ’ উদ্বোধন করা হবে ১৬ নভেম্বর, যার মাধ্যমে প্রবাসী বাংলাদেশিরাও তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। নিবন্ধনের সময়, কতদিন এই প্রক্রিয়া চলবে, সে বিষয়েও উদ্বোধন অনুষ্ঠানে জানানো হবে।

বেশ কিছু রাজনৈতিক দলও এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নিবন্ধন লাভ করেছে, যার মধ্যে রয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী) এবং বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টি। এদের প্রতীক হলো শাপলা কলি, কাঁচি ও হ্যান্ডশেক। এসব দল আগামী ১২ নভেম্বরের মধ্যে দাবি দাওয়া বা আপত্তি জানানোর সুযোগ পাবেন।

প্রতিষ্ঠানটি দেশের ৬৪ জেলায় মোট ৩০০ আসনে ৪২ হাজার ৭৬১টি ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ করেছে। পুরুষ ও নারীর জন্য পৃথক ব্যবস্থা সহ মোট ২ লাখ ৪৪ হাজার ৬৪৯টি ভোটকক্ষের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে।

নতুন আঙ্গিকে, প্রথমবারের মতো প্রবাসীদের জন্য পোস্টাল ভোটিংয়ের সুযোগ রাখা হয়েছে। এর জন্য একটি ‘পোস্টাল ভোট রেজিস্ট্রেশন অ্যাপ’ চালু করা হবে, যেখানে নিবন্ধন করে প্রবাসী ভোটাররা অনায়াসে ভোট দিতে পারবেন। নিবন্ধনের সময়সীমা এবং বিস্তারিত তথ্য সেই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জানানো হবে।

আগামী সপ্তাহ থেকেই রাজনৈতিক দলের সাথে নির্বাচনী সংলাপ শুরু হতে পারে, যেখানে অংশগ্রহণকারী দলগুলোকে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিত করতে সহযোগিতা করার আহ্বান জানানো হবে।

অব্দুর রহমানেল মাছউদ জানান, আমাদের মূল লক্ষ্য হলো যেন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন একটি গণতান্ত্রিক উৎসবে রূপ নেয়। মানুষ যেন স্বাধীনভাবে তাদের পছন্দ অনুযায়ী ভোট দিতে পারে, সেটাই আমাদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ণ।

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

ইসি সম্পূর্ণ প্রস্তুত, ফেব্রুয়ারিতেই হতে পারে সংসদ নির্বাচন

প্রকাশিতঃ ১১:৪৭:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ নভেম্বর ২০২৫

আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে বাংলাদেশের ত্রয়োদশ জাতীয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আয়োজনের জন্য নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। এই ব্যাপারে জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ জানিয়েছেন, এখন কমিশনের জন্য কোনও প্রকার প্রতিবন্ধকতা রইল না। সব প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে এবং ফেব্রুয়ারির প্রথম বা দ্বিতীয় সপ্তাহে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে তা সফলভাবে সম্পন্ন হবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

তিনি আরও জানান, সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী বিদেশ থেকে আনা ভোটের কালি এসে পৌঁছেছে, যা দেশের ভোটগ্রহণের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এছাড়াও, ভোটের পূর্বে প্রয়োজনীয় বেশ কিছু মৌলিক কাজ ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে।

আব্দুর রহমানেল মাছউদ দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও বলেছেন, সমন্বিত ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ শুধু নির্বাচনের জন্যই জরুরি নয়, বরং এই স্থিতিশীলতা দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য। রাজনৈতিক দলগুলো প্রার্থী ঘোষণা করাও ভোটের আমেজ তৈরি করেছে, এবং তারা বিশ্বাস করেন, সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত হলে পরিস্থিতি আরও উন্নত হবে।

তিনি আরও ব্যাখ্যা করেছেন যে, এই নির্বাচনে দেশটির স্থিতিশীলতা ও গণতান্ত্রিক ধারার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সরকার গঠনই মূল লক্ষ্য। তিনি বলছেন, জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধার এবং নির্বাচনকে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক করে তোলাই এখন তাদের প্রধান দায়িত্ব। তিনি আরও উল্লেখ করেন, কিছু গত নির্বাচনে অনিয়মের কারণে যে অবিশ্বাস সৃষ্টি হয়েছিল, তা কাটিয়ে ওঠাই এ বছরের প্রধান চ্যালেঞ্জ।

ইসি সচিবালয়ের এক কর্মকর্তা বাসসকে জানিয়েছেন, নভেম্বরের মধ্যে নির্বাচনী সামগ্রী সংগ্রহ, আইন সংশোধন, ভোটার তালিকা হালনাগাদসহ অন্যান্য প্রস্তুতি সম্পন্ন হবে। ডিসেম্বরের শুরুতেই নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বর্তমানে দেশের মোট ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ৭৬ লাখ ১২ হাজার ৩৮৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৪৭ লাখ ৬০ হাজার ৩৮২, নারী ভোটার ৬ কোটি ২৮ লাখ ৫০ হাজার ৭৭২ এবং তৃতীয় লিঙ্গের (হিজড়া) ভোটার প্রায় ১ হাজার ২৩০ জন। গত দুই মাসে নতুন ভোটার সংখ্যা আরও ১৩ লাখ ৪ হাজার ৮৮০ জন বৃদ্ধি পেয়েছে।

ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানিয়েছেন, ১৭ নভেম্বরের মধ্যে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। এর আগে, ১৭ নভেম্বর তারিখ পর্যন্ত দাবির জন্য আপত্তি দাখিলের সুযোগ থাকবে।

এছাড়া, নির্বাচনের জন্য আইনেও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনা হয়েছে। নতুন সংশোধনীতে অর্ধেকের বেশি পরিবর্তন হয়েছে আরপিও ২০২৫-এ। একাধিক দিকের পরিবর্তনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো— আদালত ঘোষিত ফেরারি আসামিকে প্রার্থী হতে বাধা, সেনা, নৌ, বিমান ও কোস্টগার্ডের মতো সশস্ত্র বাহিনী অন্তর্ভুক্ত করা, একক প্রার্থী থাকলে ‘না ভোট’ ফের চালু, সমান ভোট পান প্রার্থী হলে লটারির পরিবর্তে পুনঃভোট, জোটগত নির্বাচনে একে অপরের প্রতীকে ভোট প্রদান বাধ্যতামূলক, নির্বাচন জামানত নির্ধারণ ৫০ হাজার টাকা, এবং আচরণবিধি লঙ্ঘনের জন্য সর্বোচ্চ জরিমানা ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। অনিয়ম প্রমাণিত হলে, পুরো আসনও বাতিলের ক্ষমতা ইসিকে দেওয়া হয়েছে।

নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় নতুন সংযোজন হিসেবে পোস্টাল ভোটিং পদ্ধতি চালু হচ্ছে, যেখানে আইটি সাপোর্টে পোস্টাল ভোটের জন্য নিবন্ধন চালু হবে। এ জন্য, ‘পোস্টাল ভোট রেজিস্ট্রেশন অ্যাপ’ উদ্বোধন করা হবে ১৬ নভেম্বর, যার মাধ্যমে প্রবাসী বাংলাদেশিরাও তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। নিবন্ধনের সময়, কতদিন এই প্রক্রিয়া চলবে, সে বিষয়েও উদ্বোধন অনুষ্ঠানে জানানো হবে।

বেশ কিছু রাজনৈতিক দলও এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নিবন্ধন লাভ করেছে, যার মধ্যে রয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী) এবং বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টি। এদের প্রতীক হলো শাপলা কলি, কাঁচি ও হ্যান্ডশেক। এসব দল আগামী ১২ নভেম্বরের মধ্যে দাবি দাওয়া বা আপত্তি জানানোর সুযোগ পাবেন।

প্রতিষ্ঠানটি দেশের ৬৪ জেলায় মোট ৩০০ আসনে ৪২ হাজার ৭৬১টি ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ করেছে। পুরুষ ও নারীর জন্য পৃথক ব্যবস্থা সহ মোট ২ লাখ ৪৪ হাজার ৬৪৯টি ভোটকক্ষের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে।

নতুন আঙ্গিকে, প্রথমবারের মতো প্রবাসীদের জন্য পোস্টাল ভোটিংয়ের সুযোগ রাখা হয়েছে। এর জন্য একটি ‘পোস্টাল ভোট রেজিস্ট্রেশন অ্যাপ’ চালু করা হবে, যেখানে নিবন্ধন করে প্রবাসী ভোটাররা অনায়াসে ভোট দিতে পারবেন। নিবন্ধনের সময়সীমা এবং বিস্তারিত তথ্য সেই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জানানো হবে।

আগামী সপ্তাহ থেকেই রাজনৈতিক দলের সাথে নির্বাচনী সংলাপ শুরু হতে পারে, যেখানে অংশগ্রহণকারী দলগুলোকে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিত করতে সহযোগিতা করার আহ্বান জানানো হবে।

অব্দুর রহমানেল মাছউদ জানান, আমাদের মূল লক্ষ্য হলো যেন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন একটি গণতান্ত্রিক উৎসবে রূপ নেয়। মানুষ যেন স্বাধীনভাবে তাদের পছন্দ অনুযায়ী ভোট দিতে পারে, সেটাই আমাদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ণ।