১১:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫, ২৫ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
উপদেষ্টা পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশন জানাবে সরকারকে মতামত সমন্বয় করে: আলী রীয়াজ জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর ১৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে ১৫ অক্টোবর হবে জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান ঢাকা-চট্টগ্রাম রেল যোগাযোগের উন্নয়নে সরকারের নতুন উদ্যোগ শুক্রবারের মধ্যে জুলাই সংবিধানের চূড়ান্ত রোডম্যাপ প্রকাশের আশা স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোট নভেম্বরের মধ্যে চায় জামায়াত হাসিনার বিরুদ্ধে আজ সাক্ষ্য দেবেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ এনবিআরের সিদ্ধান্ত: এমপি কোটার ৩০ বিলাসবহুল গাড়ি নিলামে বিক্রির পরিবর্তে হস্তান্তর

কিছুটা কমেছে মূল্যস্ম্ফীতি

গেল নভেম্বরে বাজারে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ার হার বা মূল্যস্ম্ফীতি আরও কিছুটা কমেছে। পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে এ মাসে মূল্যস্ম্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৮৫ শতাংশ। আগের মাস অক্টোবরে যা ছিল ৮ দশমিক ৯১ শতাংশ। অবশ্য গ্রামে মূল্যস্ম্ফীতি আগের চেয়ে বেড়েছে।

সোমবার এক ব্রিফিংয়ে মূল্যস্ম্ফীতির ওপর বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হালনাগাদ পরিসংখ্যান জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এম মান্নান। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে পরিকল্পনামন্ত্রীর কার্যালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী বলেন, সরকারের দক্ষ বাজার ব্যবস্থাপনার কারণে পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। মূল্যস্ম্ফীতি স্বস্তিদায়ক অবস্থায় এসেছে। লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ধান ও শাকসবজির উৎপাদন হয়েছে। বিশ্ববাজারেও তেল-গ্যাসের দাম কিছুটা কমে আসায় আমদানি পণ্যের দামও কিছুটা কমেছে। আগামী মাসগুলোতে মূল্যস্ম্ফীতি আরও কমবে বলে আশা করেন তিনি।

গত আগস্টে ১১ বছরে সর্বোচ্চ রেকর্ড গড়ে মূল্যস্ম্ফীতি দাঁড়ায় ৯ দশমিক ৫২ শতাংশে। ওই মাসের প্রথম সপ্তাহে জ্বালানি তেলের দর রেকর্ড ৫২ শতাংশ হারে বাড়ানো হয়। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক বাজারেও খাদ্যপণ্যের দর বেশি ছিল। এই দুই কারণে মূল্যস্ম্ফীতি অস্বাভাবিক হারে বাড়ে। অবশ্য, পরের মাস থেকেই তা সামান্য কমতে শুরু করে। সেপ্টেম্বরের ৯ দশমিক ১ শতাংশে নেমে আসে। পয়েন্ট টু পয়েন্ট মূল্যস্টম্ফীতি হচ্ছে, আগের বছরের নির্দিষ্ট কোনো মাসের ভোক্তা মূল্য সূচকের তুলনায় পরের বছর একই মাসে ওই সূচক যতটুকু বাড়ে তার শতকরা হার।

ব্রিফিংয়ে মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে একজন সংবাদিক বলেন, খাদ্যপণ্যের বাজারদরের সঙ্গে বিবিএসের প্রতিবেদনের মিল নেই। এর উত্তরে এম এ মান্নান বলেন, বিবিএস ৪২২টি পণ্যের মূল্য যাচাই করে থাকে। এতে স্বর্ণের দামও ধরা হয়। স্বর্ণের দাম বাড়লে মূল্যস্ম্ফীতিতে প্রভাব পড়ে। এ ছাড়া মাখন, কফিসহ এরকম অনেক পণ্যের দামও ধরা হয়। এগুলো সংশোধন করা হবে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, নভেম্বরে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ম্ফীতি হয়েছে ৮ দশমিক ১৪ শতাংশ, যা আগের মাসে ছিল ৮ দশমিক ৫০ শতাংশ। তবে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ম্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৯৮ শতাংশ। অক্টোবরে এ উপখাতে ৯ দশমিক ৫৮ শতাংশ মূল্যস্ম্ফীতি ছিল। গ্রামে সার্বিক মূল্যস্ম্ফীতি হয়েছে ৮ দশমিক ৯৮ শতাংশ, যা অক্টোবরে ছিল ৮ দশমিক ৯২ শতাংশ। গ্রামে খাদ্য মূল্যস্ম্ফীতি কমলেও খাদ্যবহির্ভূত খাতে ১০ শতাংশ ছাড়িয়েছে। শহরেও খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ম্ফীতি বেড়েছে।

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

বিজয় থালাপতির বাড়ি ঘিরে রেখেছে পুলিশ

কিছুটা কমেছে মূল্যস্ম্ফীতি

প্রকাশিতঃ ০১:০৩:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২২

গেল নভেম্বরে বাজারে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ার হার বা মূল্যস্ম্ফীতি আরও কিছুটা কমেছে। পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে এ মাসে মূল্যস্ম্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৮৫ শতাংশ। আগের মাস অক্টোবরে যা ছিল ৮ দশমিক ৯১ শতাংশ। অবশ্য গ্রামে মূল্যস্ম্ফীতি আগের চেয়ে বেড়েছে।

সোমবার এক ব্রিফিংয়ে মূল্যস্ম্ফীতির ওপর বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হালনাগাদ পরিসংখ্যান জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এম মান্নান। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে পরিকল্পনামন্ত্রীর কার্যালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী বলেন, সরকারের দক্ষ বাজার ব্যবস্থাপনার কারণে পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। মূল্যস্ম্ফীতি স্বস্তিদায়ক অবস্থায় এসেছে। লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ধান ও শাকসবজির উৎপাদন হয়েছে। বিশ্ববাজারেও তেল-গ্যাসের দাম কিছুটা কমে আসায় আমদানি পণ্যের দামও কিছুটা কমেছে। আগামী মাসগুলোতে মূল্যস্ম্ফীতি আরও কমবে বলে আশা করেন তিনি।

গত আগস্টে ১১ বছরে সর্বোচ্চ রেকর্ড গড়ে মূল্যস্ম্ফীতি দাঁড়ায় ৯ দশমিক ৫২ শতাংশে। ওই মাসের প্রথম সপ্তাহে জ্বালানি তেলের দর রেকর্ড ৫২ শতাংশ হারে বাড়ানো হয়। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক বাজারেও খাদ্যপণ্যের দর বেশি ছিল। এই দুই কারণে মূল্যস্ম্ফীতি অস্বাভাবিক হারে বাড়ে। অবশ্য, পরের মাস থেকেই তা সামান্য কমতে শুরু করে। সেপ্টেম্বরের ৯ দশমিক ১ শতাংশে নেমে আসে। পয়েন্ট টু পয়েন্ট মূল্যস্টম্ফীতি হচ্ছে, আগের বছরের নির্দিষ্ট কোনো মাসের ভোক্তা মূল্য সূচকের তুলনায় পরের বছর একই মাসে ওই সূচক যতটুকু বাড়ে তার শতকরা হার।

ব্রিফিংয়ে মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে একজন সংবাদিক বলেন, খাদ্যপণ্যের বাজারদরের সঙ্গে বিবিএসের প্রতিবেদনের মিল নেই। এর উত্তরে এম এ মান্নান বলেন, বিবিএস ৪২২টি পণ্যের মূল্য যাচাই করে থাকে। এতে স্বর্ণের দামও ধরা হয়। স্বর্ণের দাম বাড়লে মূল্যস্ম্ফীতিতে প্রভাব পড়ে। এ ছাড়া মাখন, কফিসহ এরকম অনেক পণ্যের দামও ধরা হয়। এগুলো সংশোধন করা হবে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, নভেম্বরে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ম্ফীতি হয়েছে ৮ দশমিক ১৪ শতাংশ, যা আগের মাসে ছিল ৮ দশমিক ৫০ শতাংশ। তবে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ম্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৯৮ শতাংশ। অক্টোবরে এ উপখাতে ৯ দশমিক ৫৮ শতাংশ মূল্যস্ম্ফীতি ছিল। গ্রামে সার্বিক মূল্যস্ম্ফীতি হয়েছে ৮ দশমিক ৯৮ শতাংশ, যা অক্টোবরে ছিল ৮ দশমিক ৯২ শতাংশ। গ্রামে খাদ্য মূল্যস্ম্ফীতি কমলেও খাদ্যবহির্ভূত খাতে ১০ শতাংশ ছাড়িয়েছে। শহরেও খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ম্ফীতি বেড়েছে।