০১:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫, ২৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
এলপিজি সিলিন্ডার ১০০০ টাকার মধ্যে হওয়া উচিত: জ্বালানি উপদেষ্টার পরামর্শ সোনাইমুড়ীতে চাঁদা না দেওয়ায় সাংবাদিকের উপর হামলা সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম শেষ যাত্রায় সহকর্মীদের ভালোবাসায় সিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেলর কাছ থেকে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে শক্তিশালী করার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টা রোমে যোগ দিতে আজই রওনা হবেন ওয়ার্ল্ড ফুড ফোরামে উপদেষ্টা পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশন জানাবে সরকারকে মতামত সমন্বয় করে: আলী রীয়াজ জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর ১৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে ১৫ অক্টোবর হবে জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান ঢাকা-চট্টগ্রাম রেল যোগাযোগের উন্নয়নে সরকারের নতুন উদ্যোগ

ডিসেম্বরের মধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সাড়ে ১৩ হাজার শিক্ষক নিয়োগের পরিকল্পনা

আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সাড়ে ১৩ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামান। তিনি জানান, বর্তমানে দেশের প্রাথমিক পর্যায়ে মোট সাড়ে ১৩ হাজার শিক্ষক পদ শূন্য রয়েছে। এই সমস্যা সমাধানের জন্য আগস্ট মাসের মধ্যে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে এবং ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পূর্ণ নিয়োগ কার্যক্রম শেষ করার লক্ষ্য সরকারের।

গতকাল শনিবার কিশোরগঞ্জের শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ তথ্য ব্যক্ত করেন। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার। তিনি বলেন, ‘আমার নিজের হাওর এলাকায় থাকি, তাই আমি জানি বাস্তব পরিস্থিতি কতটা চ্যালেঞ্জজনক। শুধু হাওর নয়, দেশের চরাঞ্চল ও প্রত্যন্ত এলাকায় শিক্ষকরা থাকতে চান না বা বদলি করে শহরে যেতে চান। তবে নিয়ম অনুযায়ী যেখানে পোস্টিং হয়, সেখানে থাকতে হয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘তবে অনেক সময় তদবির বা চাপে বদলি হয়, যা একপ্রকার সামাজিক ও রাজনৈতিক সমস্যা।’

এছাড়াও, সম্প্রতি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেডে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাদের নিয়ন্ত্রণকারী সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তারাও একই গ্রেডে থাকেন। এ বিষয়ে প্রশ্ন উঠলে উপদেষ্টা বলেন, ‘এতে প্রশাসনিক চেইন ভেঙে যাবে, এমন ধারণা ভুল। তবে তাদের গ্রেড উন্নয়নেরও প্রয়োজন আছে।’

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা। তিনি বলেন, ‘কিশোরগঞ্জ জেলায় বর্তমানে ৮০৫ জন শিক্ষক প্রশিক্ষণবিহীন রয়েছেন, যাদের দ্রুত প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হবে। তাছাড়া, ১৮০টি বিদ্যালয়ে স্কুল ফিডিং কার্যক্রম চালু হচ্ছে। একইসাথে সহকারী শিক্ষকদের মূল্যায়নও জরুরি, যা সরকার নিশ্চিত করবে।’

সভাপতির বক্তব্যে ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মিজাবে রহমত। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এন্ডিসি (পলিসি অ্যান্ড অপারেশন) মোহাম্মদ কামরুল হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মুকিত সরকার এবং জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মজিব আলম।

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

নির্বাচন নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে, সতর্ক থাকুন: মির্জা ফখরুল

ডিসেম্বরের মধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সাড়ে ১৩ হাজার শিক্ষক নিয়োগের পরিকল্পনা

প্রকাশিতঃ ১০:৪৬:৩২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫

আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সাড়ে ১৩ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামান। তিনি জানান, বর্তমানে দেশের প্রাথমিক পর্যায়ে মোট সাড়ে ১৩ হাজার শিক্ষক পদ শূন্য রয়েছে। এই সমস্যা সমাধানের জন্য আগস্ট মাসের মধ্যে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে এবং ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পূর্ণ নিয়োগ কার্যক্রম শেষ করার লক্ষ্য সরকারের।

গতকাল শনিবার কিশোরগঞ্জের শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ তথ্য ব্যক্ত করেন। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার। তিনি বলেন, ‘আমার নিজের হাওর এলাকায় থাকি, তাই আমি জানি বাস্তব পরিস্থিতি কতটা চ্যালেঞ্জজনক। শুধু হাওর নয়, দেশের চরাঞ্চল ও প্রত্যন্ত এলাকায় শিক্ষকরা থাকতে চান না বা বদলি করে শহরে যেতে চান। তবে নিয়ম অনুযায়ী যেখানে পোস্টিং হয়, সেখানে থাকতে হয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘তবে অনেক সময় তদবির বা চাপে বদলি হয়, যা একপ্রকার সামাজিক ও রাজনৈতিক সমস্যা।’

এছাড়াও, সম্প্রতি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেডে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাদের নিয়ন্ত্রণকারী সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তারাও একই গ্রেডে থাকেন। এ বিষয়ে প্রশ্ন উঠলে উপদেষ্টা বলেন, ‘এতে প্রশাসনিক চেইন ভেঙে যাবে, এমন ধারণা ভুল। তবে তাদের গ্রেড উন্নয়নেরও প্রয়োজন আছে।’

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা। তিনি বলেন, ‘কিশোরগঞ্জ জেলায় বর্তমানে ৮০৫ জন শিক্ষক প্রশিক্ষণবিহীন রয়েছেন, যাদের দ্রুত প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হবে। তাছাড়া, ১৮০টি বিদ্যালয়ে স্কুল ফিডিং কার্যক্রম চালু হচ্ছে। একইসাথে সহকারী শিক্ষকদের মূল্যায়নও জরুরি, যা সরকার নিশ্চিত করবে।’

সভাপতির বক্তব্যে ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মিজাবে রহমত। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এন্ডিসি (পলিসি অ্যান্ড অপারেশন) মোহাম্মদ কামরুল হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মুকিত সরকার এবং জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মজিব আলম।