০৫:০৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
ভূমধ্যসাগরে পাড়ি দিতে গিয়ে বাংলাদেশির মৃত্যু উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি সভা অনুষ্ঠিত প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জাতিসংঘ আবাসিক সমন্বয়কের সাক্ষাৎ, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন নিয়ে সহযোগিতা আশা মৎস্য অধিদপ্তরের অফিস প্রাঙ্গণ সম্পূর্ণভাবে তামাকমুক্ত করতে সভা অনুষ্ঠিত ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী উপলক্ষে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থার পরিকল্পনা প্রার্থী ভোটে ব্যয় করতে পারবেন সর্বোচ্চ ১০ টাকা করে পিএসসির নন-ক্যাডার পরীক্ষার প্রশ্ন বিক্রির অভিযোগে মূল হোতাকে গ্রেপ্তার সাবেক আইজিপির জবানবন্দি: হাসিনার দুঃশাসনের অবিচ্ছেদ্য দলিল আজ থেকে দেশের স্বর্ণের সর্বোচ্চ দামে বিক্রি শুরু ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টারত বাংলাদেশির ভূমধ্যসাগরে মৃত্যু

ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টারত বাংলাদেশির ভূমধ্যসাগরে মৃত্যু

উত্তর আফ্রিকার উপকূল থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে অবৈধভাবে ইতালিতে প্রবেশের চেষ্টায় এক বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। তিনি যে নৌকায় ছিলেন, সেটি লাম্পেদুসা উপকূলে পৌঁছালে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে যাত্রাপথে, তখনই তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এখনও তার নাম ও পরিচয় জানানো হয়নি।

ইতালির কোস্ট গার্ড ও ফিন্যানশিয়াল পুলিশের সদস্যরা ১০ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি নৌকা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেছেন। ওই নৌকায় আরও ৫১ জন অভিবাসী ছিলেন—তাদের মধ্যে বাংলাদেশি, মিসরীয়, ইরিত্রীয়, সিরীয়, ইথিওপীয় ও সুদানের নাগরিকরা রয়েছেন। দুজন নারী ও একজন অপ্রাপ্তবয়স্কও এদের মধ্যে রয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, সম্ভবত অভিবাসী বহনকারী নৌকাটির জ্বালানির বিষাক্ত ধোঁয়ায় তার শ্বাসনালী বন্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে। মরদেহটি কালা পিসানার মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে, রিপোর্টে জানানো হলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত করা যাবে।

অভিবাসীদের উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন, তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পেয়েছেন, একজন সঙ্গী সমুদ্রের মধ্যে পড়ে গেছেন এবং তাকে আর খুঁজে পাওয়া সম্ভব হয়নি।

ইতালি সরকারের কঠোর নীতিমালা ও পদক্ষেপের কারণে ২০২৪ সালে দেশে প্রবেশের অনিয়মিত অভিবাসীর সংখ্যা কিছুটা কমে এসেছে। তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ২০২৫ সালে এসব সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে।

শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ২০২৪ সালের ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত, সমুদ্রপথে আসা অবৈধ অভিবাসী সংখ্যা ছিল ৪২,৯৯৯ জন। তবে চলতি বছর এই সংখ্যাটা বেড়ে ৪৩,৮৬০ জনে পৌঁছে গেছে। এর আগে, ২০২৩ সালে একই সময়ে মোট ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬৭ জন অবৈধ অভিবাসী ইতালি পৌঁছেছিল।

বিশ্লেষণে দেখা গেছে, চলতি বছরে ইতালিতে আসা অভিবাসীদের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশিরা। এখন까지 ১৩,২৭১ জন বাংলাদেশি ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি প্রবেশ করেছেন। এর পরে রয়েছে ইরিত্রীয়রা, যারা ৫,৮১১ জন। এর পাশাপাশি আরও রয়েছে মিসর, পাকিস্তান, সুদান, ইথিওপিয়া ও সোমালিয়া থেকে আসা অভিবাসীরা।

ট্যাগ :

ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টারত বাংলাদেশির ভূমধ্যসাগরে মৃত্যু

প্রকাশিতঃ ১০:৪৭:০৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

উত্তর আফ্রিকার উপকূল থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে অবৈধভাবে ইতালিতে প্রবেশের চেষ্টায় এক বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। তিনি যে নৌকায় ছিলেন, সেটি লাম্পেদুসা উপকূলে পৌঁছালে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে যাত্রাপথে, তখনই তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এখনও তার নাম ও পরিচয় জানানো হয়নি।

ইতালির কোস্ট গার্ড ও ফিন্যানশিয়াল পুলিশের সদস্যরা ১০ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি নৌকা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেছেন। ওই নৌকায় আরও ৫১ জন অভিবাসী ছিলেন—তাদের মধ্যে বাংলাদেশি, মিসরীয়, ইরিত্রীয়, সিরীয়, ইথিওপীয় ও সুদানের নাগরিকরা রয়েছেন। দুজন নারী ও একজন অপ্রাপ্তবয়স্কও এদের মধ্যে রয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, সম্ভবত অভিবাসী বহনকারী নৌকাটির জ্বালানির বিষাক্ত ধোঁয়ায় তার শ্বাসনালী বন্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে। মরদেহটি কালা পিসানার মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে, রিপোর্টে জানানো হলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত করা যাবে।

অভিবাসীদের উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন, তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পেয়েছেন, একজন সঙ্গী সমুদ্রের মধ্যে পড়ে গেছেন এবং তাকে আর খুঁজে পাওয়া সম্ভব হয়নি।

ইতালি সরকারের কঠোর নীতিমালা ও পদক্ষেপের কারণে ২০২৪ সালে দেশে প্রবেশের অনিয়মিত অভিবাসীর সংখ্যা কিছুটা কমে এসেছে। তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ২০২৫ সালে এসব সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে।

শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ২০২৪ সালের ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত, সমুদ্রপথে আসা অবৈধ অভিবাসী সংখ্যা ছিল ৪২,৯৯৯ জন। তবে চলতি বছর এই সংখ্যাটা বেড়ে ৪৩,৮৬০ জনে পৌঁছে গেছে। এর আগে, ২০২৩ সালে একই সময়ে মোট ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬৭ জন অবৈধ অভিবাসী ইতালি পৌঁছেছিল।

বিশ্লেষণে দেখা গেছে, চলতি বছরে ইতালিতে আসা অভিবাসীদের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশিরা। এখন까지 ১৩,২৭১ জন বাংলাদেশি ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি প্রবেশ করেছেন। এর পরে রয়েছে ইরিত্রীয়রা, যারা ৫,৮১১ জন। এর পাশাপাশি আরও রয়েছে মিসর, পাকিস্তান, সুদান, ইথিওপিয়া ও সোমালিয়া থেকে আসা অভিবাসীরা।