০৭:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
নেপালে আটকা পড়া বাংলাদেশ ফুটবল দলের নিরাপদ ফেরার জন্য সরকার সর্তক থাকছে পূবালী ব্যাংকে থাকা শেখ হাসিনার লকার জব্দ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচনে ছাত্রশিবিরের ব্যাপক জয়, স্বতন্ত্র প্রার্থীর জয় ছাত্রশিবিরের সাদিক ভিপি, ফরহাদ জিএস ও মহিউদ্দীন এজিএস নির্বাচিত মহেশপুরে মাত্র ৩ টাকায় সুস্বাদু রসগোল্লা: মানুষের মন জয় করছে দুর্গাপূজায় ভারতে রপ্তানি হবে ১২০০ টন ইলিশ দুদকের হাসপাতালের বিল গ্রহণে আসামি, বরখাস্থ হয়েছেন পরিচালক খান মো. মীজানুল ইসলাম পুরানো দিনের বাইস্কোপ এখন শুধুই স্মৃতি যুক্তরাষ্ট্রের আয়রন ডোম প্রকল্পের নেতৃত্বে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শরিফুল খান ডাকসু নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনের মডেল হিসেবে বিবেচিত হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বাড়াতে চীনের সহযোগিতা চায় ডিসিসিআই

ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি তাসকীন আহমেদ বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের দক্ষতা ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতা উন্নয়নে চীনের সহায়তা কামনা করেছেন। সোমবার ঢাকায় চীনা দূতাবাসে অনুষ্ঠিত দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য আলোচনায় তিনি এ দাবি জানান। বৈঠকে ঢাকাস্থ চীনা দূতাবাসের কার্যালয়ে, তাসকীন আহমেদ বলেন, ২০২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ-চীন দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১৭.৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে বাংলাদেশের আমদানি ছিল ১৬.৬৪ বিলিয়ন এবং রপ্তানি ৭১৫.৩৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ডিসিসিআই সভাপতি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের টেকসই সামাজিক-অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও এলডিসি থেকে উত্তরণের লক্ষ্য অর্জনের জন্য এই দ্বিপক্ষীয় অর্থনৈতিক সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তিনি বলেন, চীন বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় আমদানিকারক দেশ এবং দু’দেশের মধ্যে অবকাঠামো, জ্বালানি, বিদ্যুৎ, শিক্ষা, মানবসম্পদ উন্নয়নসহ নানা খাতে সুদৃঢ় সম্পর্ক বিদ্যমান। এছাড়াও, কৃষি ও খাদ্যপ্রক্রিয়াজাতকরণ, তথ্যপ্রযুক্তি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, অটোমোবাইল, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, পাদুকা, লজিস্টিকস, চিকিৎসা সরঞ্জাম ও স্বাস্থ্যসেবা, অ্যাপিআই, সেমিকন্ডাক্টর, জাহাজ নির্মাণসহ বিভিন্ন খাতে চীনের সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি। পাশাপাশি, বৈশ্বিক বাণিজ্যে টিকে থাকতে বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের দক্ষতা ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য চীনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান। চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত চীনের ২০টিরও বেশি পোশাক ও টেক্সটাইল শিল্পের নতুন প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে প্রায় ৮০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের অঙ্গীকার করেছে, যা সম্পন্ন হলে বাংলাদেশের রপ্তানি আরও বাড়বে। তিনি আরও জানান, বিদ্যুৎচালিত যানবাহন, বিশেষ করে ইলেকট্রনিক ভেহিকেল খাতে চীনা উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগের আগ্রহ রয়েছে। তবে, উচ্চ শুল্ক ও অনুকূল নীতির অভাবে এই খাতে বিনিয়োগে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। রাষ্ট্রদূত আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশ সরকার এসব বিষয় গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে নীতিমালা সংশোধনের উদ্যোগ নেবে এবং ঢাকাভিত্তিক ব্যবসায়ের উন্নয়নে ডিসিসিআইকে সহায়তা করবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মোট রপ্তানির ৮৫ শতাংশই আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে, যা দীর্ঘমেয়াদে টেকসই নয়। এজন্য বাংলাদেশের অন্য রপ্তানি খাতগুলোকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে উন্নয়ন ও বহুমুখীকরণের ওপর গুরুত্ব দেন। অবশেষে, বাংলাদেশের উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধিতে চীনের প্রযুক্তিগত সহায়তা গ্রহণের কথাও উল্লেখ করেন চীনের রাষ্ট্রদূত।

ট্যাগ :

দেশের জীববৈচিত্রের জন্য হুমকি ৬৯টি বিদেশি আগ্রাসী প্রজাতি

বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বাড়াতে চীনের সহযোগিতা চায় ডিসিসিআই

প্রকাশিতঃ ১০:৪৯:০৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি তাসকীন আহমেদ বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের দক্ষতা ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতা উন্নয়নে চীনের সহায়তা কামনা করেছেন। সোমবার ঢাকায় চীনা দূতাবাসে অনুষ্ঠিত দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য আলোচনায় তিনি এ দাবি জানান। বৈঠকে ঢাকাস্থ চীনা দূতাবাসের কার্যালয়ে, তাসকীন আহমেদ বলেন, ২০২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ-চীন দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১৭.৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে বাংলাদেশের আমদানি ছিল ১৬.৬৪ বিলিয়ন এবং রপ্তানি ৭১৫.৩৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ডিসিসিআই সভাপতি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের টেকসই সামাজিক-অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও এলডিসি থেকে উত্তরণের লক্ষ্য অর্জনের জন্য এই দ্বিপক্ষীয় অর্থনৈতিক সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তিনি বলেন, চীন বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় আমদানিকারক দেশ এবং দু’দেশের মধ্যে অবকাঠামো, জ্বালানি, বিদ্যুৎ, শিক্ষা, মানবসম্পদ উন্নয়নসহ নানা খাতে সুদৃঢ় সম্পর্ক বিদ্যমান। এছাড়াও, কৃষি ও খাদ্যপ্রক্রিয়াজাতকরণ, তথ্যপ্রযুক্তি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, অটোমোবাইল, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, পাদুকা, লজিস্টিকস, চিকিৎসা সরঞ্জাম ও স্বাস্থ্যসেবা, অ্যাপিআই, সেমিকন্ডাক্টর, জাহাজ নির্মাণসহ বিভিন্ন খাতে চীনের সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি। পাশাপাশি, বৈশ্বিক বাণিজ্যে টিকে থাকতে বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের দক্ষতা ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য চীনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান। চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত চীনের ২০টিরও বেশি পোশাক ও টেক্সটাইল শিল্পের নতুন প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে প্রায় ৮০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের অঙ্গীকার করেছে, যা সম্পন্ন হলে বাংলাদেশের রপ্তানি আরও বাড়বে। তিনি আরও জানান, বিদ্যুৎচালিত যানবাহন, বিশেষ করে ইলেকট্রনিক ভেহিকেল খাতে চীনা উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগের আগ্রহ রয়েছে। তবে, উচ্চ শুল্ক ও অনুকূল নীতির অভাবে এই খাতে বিনিয়োগে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। রাষ্ট্রদূত আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশ সরকার এসব বিষয় গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে নীতিমালা সংশোধনের উদ্যোগ নেবে এবং ঢাকাভিত্তিক ব্যবসায়ের উন্নয়নে ডিসিসিআইকে সহায়তা করবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মোট রপ্তানির ৮৫ শতাংশই আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে, যা দীর্ঘমেয়াদে টেকসই নয়। এজন্য বাংলাদেশের অন্য রপ্তানি খাতগুলোকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে উন্নয়ন ও বহুমুখীকরণের ওপর গুরুত্ব দেন। অবশেষে, বাংলাদেশের উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধিতে চীনের প্রযুক্তিগত সহায়তা গ্রহণের কথাও উল্লেখ করেন চীনের রাষ্ট্রদূত।