০৪:৫৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
আন্তর্জাতিকভাবে দাবি জানানোয় বন্দিদের মুক্তি ঘোষণা বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দেশবাসীর দোয়ার আবেদন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্কটকালে মায়ের স্নেহ পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা আমারও: তারেক রহমান মৌসুমি সবজি বাজারে ভরপুর, দাম কমে গেছে উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ সভায় খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনায় দোয়া ও মোনাজাত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের জন্য ভর্তুকির দাবি আরব আমিরাতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া ২৪ ব্যক্তির মুক্তি আসছে বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা মনের আকাঙ্ক্ষা ও রাজনৈতিক বাস্তবতার মধ্যে দ্বন্দ্ব: তারেক রহমানের মন্তব্য বাজারে মৌসুমি সবজির সরবরাহ বৃদ্ধি ও দাম কমে যাচ্ছে

জিআইসিসি সম্মেলনে সেতু বিভাগের সচিবের অংশগ্রহণ

দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে আজ থেকে তিন দিনব্যাপী (১৬-১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫) গ্লোবাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার কো-অপারেশন কনফারেন্স (জিআইসিসি)-২০২৫ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলনের আজকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সেতু বিভাগের সচিব ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক জনাব মোহাম্মদ আবদুর রউফ, যিনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সরকারের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনে সেতু সচিব বাংলাদেশে নির্মিত বিভিন্ন সেতু ও অবকাঠামো প্রকল্পের উপর বিস্তারিত প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন। প্রেজেন্টেশনে তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের অনেক সেতু প্রকল্পে কোরিয়ান ইডিসিএফ ও ইডিপিএফ অর্থ যোগানের সুযোগ রয়েছে, যা বাংলাদেশের পরিবহন খাতের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

জিআইসিসি-২০২৫ সম্মেলনের মূল লক্ষ্য হলো কোরিয়ান নির্মাণ সংস্থাগুলোর জন্য আন্তর্জাতিক বাজারে তাদের উপস্থিতি বৃদ্ধি ও বিভিন্ন দেশের প্রকল্প বাস্তবায়নকারীদের সাথে কৌশলগত সম্পর্ক গড়ে তোলা। এটি একটি বাণিজ্য-বান্ধব প্ল্যাটফর্ম, যেখানে কোরিয়ান কোম্পানিগুলো সরাসরি বিদেশী সরকারের, প্রকল্প ডেভেলপার ও আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করতে পারে। এই সম্মেলনে প্রায় ৫০০ জন অংশগ্রহণকারী উপস্থিত ছিলেন, যার মধ্যে ছিল ৩০টি দেশের মন্ত্রী ও উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা, আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিরা এবং কোরিয়ার শীর্ষস্থানীয় নির্মাণ সংস্থাগুলোর কর্মকর্তারা।

এই সম্মেলনের মূল উদ্দেশ্য হলো বিভিন্ন দেশের আসন্ন অবকাঠামো প্রকল্পের তথ্য সংগ্রহ, আদান-প্রদান, এবং রিলেটেড সংস্থাগুলোর মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়ন। এছাড়াও, নতুন প্রকল্পে অংশগ্রহণের চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর ও কোরিয়ান উন্নত প্রযুক্তি যেমন স্মার্ট সিটি, হাই-স্পিড রেল, এবং স্মার্ট পোর্ট সিস্টেমের সাথে পরিচিত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করা।

বাকী অংশে আন্তঃদেশীয় অবকাঠামো উন্নয়নের চ্যালেঞ্জ ও সুযোগ নিয়ে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের প্যানেল আলোচনা, বিভিন্ন দেশের প্রজেক্ট ব্রিফিং, ব্যক্তিগত বিজনেস মিটিং, এবং কোরিয়ার শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানগুলো তাদের নতুন প্রযুক্তি প্রদর্শন করবে। এই সম্মেলন বাংলাদেশের জন্য ভবিষ্যত নির্মাণ ও অবকাঠামো উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ একটি মঞ্চ হিসেবে কাজ করবে।

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

জিআইসিসি সম্মেলনে সেতু বিভাগের সচিবের অংশগ্রহণ

প্রকাশিতঃ ১০:৪৬:৫৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে আজ থেকে তিন দিনব্যাপী (১৬-১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫) গ্লোবাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার কো-অপারেশন কনফারেন্স (জিআইসিসি)-২০২৫ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলনের আজকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সেতু বিভাগের সচিব ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক জনাব মোহাম্মদ আবদুর রউফ, যিনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সরকারের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনে সেতু সচিব বাংলাদেশে নির্মিত বিভিন্ন সেতু ও অবকাঠামো প্রকল্পের উপর বিস্তারিত প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন। প্রেজেন্টেশনে তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের অনেক সেতু প্রকল্পে কোরিয়ান ইডিসিএফ ও ইডিপিএফ অর্থ যোগানের সুযোগ রয়েছে, যা বাংলাদেশের পরিবহন খাতের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

জিআইসিসি-২০২৫ সম্মেলনের মূল লক্ষ্য হলো কোরিয়ান নির্মাণ সংস্থাগুলোর জন্য আন্তর্জাতিক বাজারে তাদের উপস্থিতি বৃদ্ধি ও বিভিন্ন দেশের প্রকল্প বাস্তবায়নকারীদের সাথে কৌশলগত সম্পর্ক গড়ে তোলা। এটি একটি বাণিজ্য-বান্ধব প্ল্যাটফর্ম, যেখানে কোরিয়ান কোম্পানিগুলো সরাসরি বিদেশী সরকারের, প্রকল্প ডেভেলপার ও আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করতে পারে। এই সম্মেলনে প্রায় ৫০০ জন অংশগ্রহণকারী উপস্থিত ছিলেন, যার মধ্যে ছিল ৩০টি দেশের মন্ত্রী ও উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা, আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিরা এবং কোরিয়ার শীর্ষস্থানীয় নির্মাণ সংস্থাগুলোর কর্মকর্তারা।

এই সম্মেলনের মূল উদ্দেশ্য হলো বিভিন্ন দেশের আসন্ন অবকাঠামো প্রকল্পের তথ্য সংগ্রহ, আদান-প্রদান, এবং রিলেটেড সংস্থাগুলোর মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়ন। এছাড়াও, নতুন প্রকল্পে অংশগ্রহণের চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর ও কোরিয়ান উন্নত প্রযুক্তি যেমন স্মার্ট সিটি, হাই-স্পিড রেল, এবং স্মার্ট পোর্ট সিস্টেমের সাথে পরিচিত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করা।

বাকী অংশে আন্তঃদেশীয় অবকাঠামো উন্নয়নের চ্যালেঞ্জ ও সুযোগ নিয়ে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের প্যানেল আলোচনা, বিভিন্ন দেশের প্রজেক্ট ব্রিফিং, ব্যক্তিগত বিজনেস মিটিং, এবং কোরিয়ার শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানগুলো তাদের নতুন প্রযুক্তি প্রদর্শন করবে। এই সম্মেলন বাংলাদেশের জন্য ভবিষ্যত নির্মাণ ও অবকাঠামো উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ একটি মঞ্চ হিসেবে কাজ করবে।