১০:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
সংবিধান সংশোধনে গণভোটের মাধ্যমে বৈধতা নেওয়ার পরামর্শ তীব্র তাপপ্রবাহে দেশের ৬ কোটির বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীরা ‘রাজাকারের নাতিপুতি’ বলায় অপমানবোধ করেছিলেন দিল্লির বায়ুদূষণ: ঐতিহাসিক লালকেল্লা কালো হয়ে যাচ্ছে ব্যবসার ডিজিটাল রূপান্তরে ‘সার্ভিসিং২৪’ এর এআই ও আইওটি সেবা জিআইসিসি সম্মেলনে সেতু বিভাগের সচিবের অংশগ্রহণ ভুয়া প্রমাণিত হলে জুলাই যোদ্ধা তালিকা থেকে বাদ ও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে ইসির দায়িত্ব চান নির্বাচনী কর্মকর্তারা, অবাধ নির্বাচন নিশ্চিতের প্রত্যাশা তীব্র গরমে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ক্ষতি ২১ হাজার কোটি টাকা, সুস্থতা বিপন্ন লিবিয়ার উপকূলে নৌকায় আগুন, কমপক্ষে ৫০ সুদানি শরণার্থী মৃত্যু

জিআইসিসি সম্মেলনে সেতু বিভাগের সচিবের অংশগ্রহণ

দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে আজ থেকে তিন দিনব্যাপী (১৬-১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫) গ্লোবাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার কো-অপারেশন কনফারেন্স (জিআইসিসি)-২০২৫ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলনের আজকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সেতু বিভাগের সচিব ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক জনাব মোহাম্মদ আবদুর রউফ, যিনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সরকারের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনে সেতু সচিব বাংলাদেশে নির্মিত বিভিন্ন সেতু ও অবকাঠামো প্রকল্পের উপর বিস্তারিত প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন। প্রেজেন্টেশনে তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের অনেক সেতু প্রকল্পে কোরিয়ান ইডিসিএফ ও ইডিপিএফ অর্থ যোগানের সুযোগ রয়েছে, যা বাংলাদেশের পরিবহন খাতের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

জিআইসিসি-২০২৫ সম্মেলনের মূল লক্ষ্য হলো কোরিয়ান নির্মাণ সংস্থাগুলোর জন্য আন্তর্জাতিক বাজারে তাদের উপস্থিতি বৃদ্ধি ও বিভিন্ন দেশের প্রকল্প বাস্তবায়নকারীদের সাথে কৌশলগত সম্পর্ক গড়ে তোলা। এটি একটি বাণিজ্য-বান্ধব প্ল্যাটফর্ম, যেখানে কোরিয়ান কোম্পানিগুলো সরাসরি বিদেশী সরকারের, প্রকল্প ডেভেলপার ও আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করতে পারে। এই সম্মেলনে প্রায় ৫০০ জন অংশগ্রহণকারী উপস্থিত ছিলেন, যার মধ্যে ছিল ৩০টি দেশের মন্ত্রী ও উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা, আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিরা এবং কোরিয়ার শীর্ষস্থানীয় নির্মাণ সংস্থাগুলোর কর্মকর্তারা।

এই সম্মেলনের মূল উদ্দেশ্য হলো বিভিন্ন দেশের আসন্ন অবকাঠামো প্রকল্পের তথ্য সংগ্রহ, আদান-প্রদান, এবং রিলেটেড সংস্থাগুলোর মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়ন। এছাড়াও, নতুন প্রকল্পে অংশগ্রহণের চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর ও কোরিয়ান উন্নত প্রযুক্তি যেমন স্মার্ট সিটি, হাই-স্পিড রেল, এবং স্মার্ট পোর্ট সিস্টেমের সাথে পরিচিত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করা।

বাকী অংশে আন্তঃদেশীয় অবকাঠামো উন্নয়নের চ্যালেঞ্জ ও সুযোগ নিয়ে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের প্যানেল আলোচনা, বিভিন্ন দেশের প্রজেক্ট ব্রিফিং, ব্যক্তিগত বিজনেস মিটিং, এবং কোরিয়ার শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানগুলো তাদের নতুন প্রযুক্তি প্রদর্শন করবে। এই সম্মেলন বাংলাদেশের জন্য ভবিষ্যত নির্মাণ ও অবকাঠামো উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ একটি মঞ্চ হিসেবে কাজ করবে।

ট্যাগ :

নির্বাচন করার মাধ্যমে দায়িত্ব থেকে মুক্তি চান প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কি

জিআইসিসি সম্মেলনে সেতু বিভাগের সচিবের অংশগ্রহণ

প্রকাশিতঃ ১০:৪৬:৫৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে আজ থেকে তিন দিনব্যাপী (১৬-১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫) গ্লোবাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার কো-অপারেশন কনফারেন্স (জিআইসিসি)-২০২৫ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলনের আজকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সেতু বিভাগের সচিব ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক জনাব মোহাম্মদ আবদুর রউফ, যিনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সরকারের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনে সেতু সচিব বাংলাদেশে নির্মিত বিভিন্ন সেতু ও অবকাঠামো প্রকল্পের উপর বিস্তারিত প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন। প্রেজেন্টেশনে তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের অনেক সেতু প্রকল্পে কোরিয়ান ইডিসিএফ ও ইডিপিএফ অর্থ যোগানের সুযোগ রয়েছে, যা বাংলাদেশের পরিবহন খাতের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

জিআইসিসি-২০২৫ সম্মেলনের মূল লক্ষ্য হলো কোরিয়ান নির্মাণ সংস্থাগুলোর জন্য আন্তর্জাতিক বাজারে তাদের উপস্থিতি বৃদ্ধি ও বিভিন্ন দেশের প্রকল্প বাস্তবায়নকারীদের সাথে কৌশলগত সম্পর্ক গড়ে তোলা। এটি একটি বাণিজ্য-বান্ধব প্ল্যাটফর্ম, যেখানে কোরিয়ান কোম্পানিগুলো সরাসরি বিদেশী সরকারের, প্রকল্প ডেভেলপার ও আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করতে পারে। এই সম্মেলনে প্রায় ৫০০ জন অংশগ্রহণকারী উপস্থিত ছিলেন, যার মধ্যে ছিল ৩০টি দেশের মন্ত্রী ও উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা, আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিরা এবং কোরিয়ার শীর্ষস্থানীয় নির্মাণ সংস্থাগুলোর কর্মকর্তারা।

এই সম্মেলনের মূল উদ্দেশ্য হলো বিভিন্ন দেশের আসন্ন অবকাঠামো প্রকল্পের তথ্য সংগ্রহ, আদান-প্রদান, এবং রিলেটেড সংস্থাগুলোর মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়ন। এছাড়াও, নতুন প্রকল্পে অংশগ্রহণের চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর ও কোরিয়ান উন্নত প্রযুক্তি যেমন স্মার্ট সিটি, হাই-স্পিড রেল, এবং স্মার্ট পোর্ট সিস্টেমের সাথে পরিচিত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করা।

বাকী অংশে আন্তঃদেশীয় অবকাঠামো উন্নয়নের চ্যালেঞ্জ ও সুযোগ নিয়ে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের প্যানেল আলোচনা, বিভিন্ন দেশের প্রজেক্ট ব্রিফিং, ব্যক্তিগত বিজনেস মিটিং, এবং কোরিয়ার শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানগুলো তাদের নতুন প্রযুক্তি প্রদর্শন করবে। এই সম্মেলন বাংলাদেশের জন্য ভবিষ্যত নির্মাণ ও অবকাঠামো উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ একটি মঞ্চ হিসেবে কাজ করবে।