নারায়ণগঞ্জ শহরের জিমখানা এলাকার পুলিশ, সেনাবাহিনী ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সমন্বিত অভিযান চালিয়ে মোট ২৪ জনকে আটক করেছে। এই অভিযানের মধ্যে পুলিশ ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে পাঁচজনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করেছেন। বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে জিমখানা লেকপার্ক এলাকার এই যৌথ অভিযান পরিচালিত হয়।
সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন মো. ফয়সাল (২১), রিফাত (২০), জুবায়ের ভূইয়া রানা (৩৬), মো. মোস্তফা হোসেন (২৬) এবং অভিনন্দী (৩০)। তাদেরকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এই সময় আরও ১৬ জনকে সদর মডেল থানায় যাচাই-বাছাইয়ের জন্য নেওয়া হয়; তাদের নাম ও পরিচয় জানা যায়নি। এছাড়া, অভিযান ৮ ব্যক্তির মধ্যে তিনজনের কাছ থেকে মাদক ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। তারা হলেন- আলম চাঁন, পারভীন আক্তার ও আফরিনা ওরফে হাসি।
প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শুরু হওয়া এই অভিযান চলাকালীন ওই এলাকার মাদক কারবারি আলম চাঁনকে আটক করা হয়। তার বাসা থেকে আধা কেজির বেশি গাঁজা, ২৫০ মিলি লিটার বিদেশি মদ, তিনটি বড় ছোড়া, একটি স্টীলের চাপাতি, একটি টেটা ও দুই লোহার পাইপ উদ্ধার করেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ঘটনায় তাঁকে মাদক ও অস্ত্র আইনে মামলা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এর আগে আলম চাঁনের বিরুদ্ধে সদর থানায় ১০টি মাদক মামলা থাকছে।
এছাড়াও, পারভীন আক্তার থেকে ২৪ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও আফরিনা ওরফে হাসি থেকে ৩৬ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন।
উল্লেখ্য, ভ্রাম্যমান আদালত এই সময়ে গাঁজা রাখার ও সেবনের অপরাধে পাঁচজনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ঘোষণা করেন। মো. ফয়সাল ও রিফাত পেয়েছেন ১২ দিন করে, জুবায়ের ভূইয়া ২০ দিন, মোস্তফা হোসেন ১৪ দিন ও অভিনন্দী ৭ দিনের কারাদণ্ড।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক আল মেহেদী গণমাধ্যমকে জানান, অভিযানে মোট ২৪ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৬ জনকে সদর মডেল থানায় প্রেরণ করে যাচাই-বাছাই চালানো হচ্ছে। উল্লেখ্য, তিনজন আগে থেকে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ছিলেন, যাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে। তিনি আরও বলেন, এই অভিযান স্থিতিশীল অপরাধ দমন ও আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।