০২:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ২৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
শুক্রবারের মধ্যে জুলাই সংবিধানের চূড়ান্ত রোডম্যাপ প্রকাশের আশা স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোট নভেম্বরের মধ্যে চায় জামায়াত হাসিনার বিরুদ্ধে আজ সাক্ষ্য দেবেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ এনবিআরের সিদ্ধান্ত: এমপি কোটার ৩০ বিলাসবহুল গাড়ি নিলামে বিক্রির পরিবর্তে হস্তান্তর তীব্র যানজটে আটকা পড়ে সড়ক উপদেষ্টা মোটরসাইকেলে গন্তব্যে পৌঁছেছেন ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনের পাশে আবর্জনার স্তূপ ঢেকে দেওয়া হলো বিশিষ্ট উপদেষ্টার আগমনের জন্য পাঁচ দিন ধরে সাগরে ভাসমান ২৬ জেলেকে উদ্ধার করলো নৌ বাহিনী মেনন-পলক-দস্তগীরসহ চারজনের বিরুদ্ধে নতুন মামলায় গ্রেফতার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তুরস্কের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ: দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও জোরদার করার প্রত্যয়

প্রায় ১৪০০ কোটি টাকা রয়েছে বিসিবির কোষাগারে

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কোষাগারে থাকা অর্থের পরিমাণ নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে বিভিন্ন আলোচনা ছিল। অবশেষে আনুষ্ঠানিকভাবে জানা গেল, বিদায়ী পরিচালনা পর্ষদ এই সময়ে প্রায় ১৩৯৮ কোটি টাকা বোর্ডে রেখেছিল। এটি একটি বিশাল পরিমাণ অর্থ, যা বোর্ডের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার প্রমাণ দেয়।

প্রায় তিন বছর ধরে এই বোর্ডের পরিচালনায় ছিলেন তিনজন প্রধান। প্রথমে ছিলেন নাজমুল হাসান, যিনি তিনবারের জন্য সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তবে গত বছর আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তিনি তার পদ হারান। এরপর ফারুক আহমেদ মাত্র নয় মাসের জন্য সভাপতি ছিলেন। সর্বশেষ, বিভিন্ন ঘটনার মধ্যে পদে থাকাকালীন সময়ে, প্রায় চার মাস ধরে বিসিবির সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুল। তার দায়িত্ব গ্রহণের পর, চলতি বছর সোমবার বোর্ডের শেষবারের মতো বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এসব সভা সাধারণত দীর্ঘক্ষণ চলে, এদিন রাত ৯টায় শুরু হয় এবং মধ্যরাতে সমাপ্তি ঘটে। সভার দীর্ঘসূত্রতার মূল কারণ ছিল বিসিবি নির্বাচনের জন্য কাউন্সিলর অনুমোদন করা নিয়ে জটিলতা। এই বিষয়টি দেশের ক্রিকেটে অন্যতম আলোচিত বিষয়।

সভা শেষে, মধ্যরাতে বিসিবি পরিচালক ইফতেখার রহমান অর্থনৈতিক অবস্থার আপডেট তথ্য তুলে ধরে জানান, ‘‘আমরা মোট ১৩৯৮ কোটি টাকা কোষাগারে রেখেছি। এর মধ্যে এফডিআর, নগদ অর্থ, ব্যাংক ব্যালেন্স সব মিলিয়ে এই পরিমাণ অর্থ রাখা হয়েছে।’

এছাড়া, সভায় বিপিএল বিষয়েও আলোচনা হয়। ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে বিপিএল আয়োজনের পরিকল্পনা থাকলেও, বোর্ডের নির্বাচন নিয়ে আসন্ন ব্যস্ততার কারণে এই কাজ এখনো চূড়ান্ত হয়নি। ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর ব্যাপারে সিদ্ধান্তও অবশিষ্ট।

সামনে দেশের জাতীয় নির্বাচন ও অন্যান্য পরিস্থিতির কারণে পরিস্থিতি কিছুটা অনিশ্চিত। তবে ইফতেখার রহমান উল্লেখ করেন, ‘আমরা আশা করছি, ডিসেম্বর বা জানুয়ারিতে বিপিএল হবে। তবে এর দায়িত্ব সম্পূর্ণভাবে পরবর্তী বোর্ডের। আমরা কিছু প্রস্তুতি এগিয়ে রাখছি, যেন নতুন বোর্ড সেই সিদ্ধান্ত নিতে পারে।’

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

প্রায় ১৪০০ কোটি টাকা রয়েছে বিসিবির কোষাগারে

প্রকাশিতঃ ০৬:১৪:১৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কোষাগারে থাকা অর্থের পরিমাণ নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে বিভিন্ন আলোচনা ছিল। অবশেষে আনুষ্ঠানিকভাবে জানা গেল, বিদায়ী পরিচালনা পর্ষদ এই সময়ে প্রায় ১৩৯৮ কোটি টাকা বোর্ডে রেখেছিল। এটি একটি বিশাল পরিমাণ অর্থ, যা বোর্ডের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার প্রমাণ দেয়।

প্রায় তিন বছর ধরে এই বোর্ডের পরিচালনায় ছিলেন তিনজন প্রধান। প্রথমে ছিলেন নাজমুল হাসান, যিনি তিনবারের জন্য সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তবে গত বছর আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তিনি তার পদ হারান। এরপর ফারুক আহমেদ মাত্র নয় মাসের জন্য সভাপতি ছিলেন। সর্বশেষ, বিভিন্ন ঘটনার মধ্যে পদে থাকাকালীন সময়ে, প্রায় চার মাস ধরে বিসিবির সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুল। তার দায়িত্ব গ্রহণের পর, চলতি বছর সোমবার বোর্ডের শেষবারের মতো বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এসব সভা সাধারণত দীর্ঘক্ষণ চলে, এদিন রাত ৯টায় শুরু হয় এবং মধ্যরাতে সমাপ্তি ঘটে। সভার দীর্ঘসূত্রতার মূল কারণ ছিল বিসিবি নির্বাচনের জন্য কাউন্সিলর অনুমোদন করা নিয়ে জটিলতা। এই বিষয়টি দেশের ক্রিকেটে অন্যতম আলোচিত বিষয়।

সভা শেষে, মধ্যরাতে বিসিবি পরিচালক ইফতেখার রহমান অর্থনৈতিক অবস্থার আপডেট তথ্য তুলে ধরে জানান, ‘‘আমরা মোট ১৩৯৮ কোটি টাকা কোষাগারে রেখেছি। এর মধ্যে এফডিআর, নগদ অর্থ, ব্যাংক ব্যালেন্স সব মিলিয়ে এই পরিমাণ অর্থ রাখা হয়েছে।’

এছাড়া, সভায় বিপিএল বিষয়েও আলোচনা হয়। ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে বিপিএল আয়োজনের পরিকল্পনা থাকলেও, বোর্ডের নির্বাচন নিয়ে আসন্ন ব্যস্ততার কারণে এই কাজ এখনো চূড়ান্ত হয়নি। ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর ব্যাপারে সিদ্ধান্তও অবশিষ্ট।

সামনে দেশের জাতীয় নির্বাচন ও অন্যান্য পরিস্থিতির কারণে পরিস্থিতি কিছুটা অনিশ্চিত। তবে ইফতেখার রহমান উল্লেখ করেন, ‘আমরা আশা করছি, ডিসেম্বর বা জানুয়ারিতে বিপিএল হবে। তবে এর দায়িত্ব সম্পূর্ণভাবে পরবর্তী বোর্ডের। আমরা কিছু প্রস্তুতি এগিয়ে রাখছি, যেন নতুন বোর্ড সেই সিদ্ধান্ত নিতে পারে।’