০২:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ২৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
শুক্রবারের মধ্যে জুলাই সংবিধানের চূড়ান্ত রোডম্যাপ প্রকাশের আশা স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোট নভেম্বরের মধ্যে চায় জামায়াত হাসিনার বিরুদ্ধে আজ সাক্ষ্য দেবেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ এনবিআরের সিদ্ধান্ত: এমপি কোটার ৩০ বিলাসবহুল গাড়ি নিলামে বিক্রির পরিবর্তে হস্তান্তর তীব্র যানজটে আটকা পড়ে সড়ক উপদেষ্টা মোটরসাইকেলে গন্তব্যে পৌঁছেছেন ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনের পাশে আবর্জনার স্তূপ ঢেকে দেওয়া হলো বিশিষ্ট উপদেষ্টার আগমনের জন্য পাঁচ দিন ধরে সাগরে ভাসমান ২৬ জেলেকে উদ্ধার করলো নৌ বাহিনী মেনন-পলক-দস্তগীরসহ চারজনের বিরুদ্ধে নতুন মামলায় গ্রেফতার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তুরস্কের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ: দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও জোরদার করার প্রত্যয়

টিআইবির দাবি ভিত্তিহীন, প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গীর সংখ্যা সম্পর্কিত তথ্য সঠিক: প্রেস সচিব

প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে অংশ নিতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সফরসঙ্গীদের সংখ্যা নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) যে দাবি তুলেছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং ভুল তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তৈরি। তিনি বলেন, এই দাবির পিছনের সোর্স হল অযাচাইকৃত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া পোস্ট।

শুক্রবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক মন্তব্যে শফিকুল আলম উল্লেখ করেছেন, প্রধান উপদেষ্টার এই বছরের প্রতিনিধি দল পুরনো সরকারের সময়ের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে ছোট, যেহেতু তারা অধিক মনোযোগী, কর্মঠ এবং ফলাফলমুখীভাবে কাজ করছে।

প্রেস সচিব আরও জানিয়েছেন যে টিআইবি দীর্ঘদিন ধরে স্বচ্ছতার পক্ষে কাজ করছে এবং এটি একটি মর্যাদাপূর্ণ নাগরিক সমাজের সংগঠন। তবে, অযাচাইকৃত গুজব ও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভুয়া তথ্যের ভিত্তিতে জনমতকে বিভ্রান্ত করে এমন বিবৃতি দেয়াটা দুঃখজনক।

প্রতিনিধি দলের বর্তমান সদস্য সংখ্যা ৬২ জন, যা টিআইবির দাবি করা ১০০-এর চেয়ে কম। গত বছর এই দল ছিল ৫৭ জন। তবে, তিনি স্পষ্ট করেছেন যে, এই বছর ভ্রমণে নেওয়া ছয়জন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি, কারণ তারা এই দলের সদস্য ছিলেন না।

শফিকুল আলম আরও জানিয়েছেন, এবারের সফরসঙ্গীদের মধ্যে প্রায় এক-তৃতীয়াংশই নিরাপত্তা কর্মকর্তা, যারা প্রধান উপদেষ্টা ও অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি উল্লেখ করেন, আওয়ামী লীগের সমর্থকদের পক্ষ থেকে কিছু প্রকাশ্য হুমকির কারণে এই স্পেশাল নিরাপত্তা ব্যবস্থা অত্যাবশ্যক হয়ে পড়েছে, এবং বেশিরভাগ নিরাপত্তাকর্মী প্রতিদিন ১৬ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় দায়িত্ব পালন করছেন।

আলোচনাগুলোর মধ্যে অন্তত এক ডজনের বেশি বৈঠক হয়েছে, যার মধ্যে ছয়টির বেশি রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অন্তর্ভুক্ত। প্রেস সচিব বলেন, এই সফর দলের মূল উদ্দেশ্য হলো জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে বাংলাদেশের স্বার্থ সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা, যেখানে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হয়।

তিনি উল্লেখ করেন, এই অধিবেশনের জন্য বাংলাদেশ বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে, কারণ এই সময়ের মাঝে বিভিন্ন মহল দেশের অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে এবং julho গণঅভ্যুত্থান সম্পর্কেও অপপ্রচার চালাচ্ছে।

প্রেস সচিব অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগীরা কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে অস্থিতিশীলতার ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত, এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে ভুয়া তথ্য ও অপপ্রচারে লিপ্ত। এর মধ্যেই কিছু আন্তর্জাতিক মহলের নীরব সমর্থন রয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

তারা জানান, সফরসঙ্গীদের তালিকায় এমন ব্যক্তিরাও আছেন যারা আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য রোহিঙ্গা সম্মেলনে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করবেন; এর মাধ্যমে বোঝা যায়, মানবিক ও নিরাপত্তা ইস্যুতে ঢাকা নেতৃত্ব অব্যাহত।

প্রেস সচিব আরও জানান, কয়েকজন উপদেষ্টা অফিসিয়াল প্রতিনিধি দলের বাইরে থেকেও বৈশ্বিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন এবং দেশের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বকেও এই সফরে অংশ নেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এতে স্পষ্ট হয়, বাংলাদেশ শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক পথে এগিয়ে যাওয়ার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ।

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

টিআইবির দাবি ভিত্তিহীন, প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গীর সংখ্যা সম্পর্কিত তথ্য সঠিক: প্রেস সচিব

প্রকাশিতঃ ১০:০৬:৩০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে অংশ নিতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সফরসঙ্গীদের সংখ্যা নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) যে দাবি তুলেছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং ভুল তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তৈরি। তিনি বলেন, এই দাবির পিছনের সোর্স হল অযাচাইকৃত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া পোস্ট।

শুক্রবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক মন্তব্যে শফিকুল আলম উল্লেখ করেছেন, প্রধান উপদেষ্টার এই বছরের প্রতিনিধি দল পুরনো সরকারের সময়ের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে ছোট, যেহেতু তারা অধিক মনোযোগী, কর্মঠ এবং ফলাফলমুখীভাবে কাজ করছে।

প্রেস সচিব আরও জানিয়েছেন যে টিআইবি দীর্ঘদিন ধরে স্বচ্ছতার পক্ষে কাজ করছে এবং এটি একটি মর্যাদাপূর্ণ নাগরিক সমাজের সংগঠন। তবে, অযাচাইকৃত গুজব ও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভুয়া তথ্যের ভিত্তিতে জনমতকে বিভ্রান্ত করে এমন বিবৃতি দেয়াটা দুঃখজনক।

প্রতিনিধি দলের বর্তমান সদস্য সংখ্যা ৬২ জন, যা টিআইবির দাবি করা ১০০-এর চেয়ে কম। গত বছর এই দল ছিল ৫৭ জন। তবে, তিনি স্পষ্ট করেছেন যে, এই বছর ভ্রমণে নেওয়া ছয়জন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি, কারণ তারা এই দলের সদস্য ছিলেন না।

শফিকুল আলম আরও জানিয়েছেন, এবারের সফরসঙ্গীদের মধ্যে প্রায় এক-তৃতীয়াংশই নিরাপত্তা কর্মকর্তা, যারা প্রধান উপদেষ্টা ও অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি উল্লেখ করেন, আওয়ামী লীগের সমর্থকদের পক্ষ থেকে কিছু প্রকাশ্য হুমকির কারণে এই স্পেশাল নিরাপত্তা ব্যবস্থা অত্যাবশ্যক হয়ে পড়েছে, এবং বেশিরভাগ নিরাপত্তাকর্মী প্রতিদিন ১৬ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় দায়িত্ব পালন করছেন।

আলোচনাগুলোর মধ্যে অন্তত এক ডজনের বেশি বৈঠক হয়েছে, যার মধ্যে ছয়টির বেশি রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অন্তর্ভুক্ত। প্রেস সচিব বলেন, এই সফর দলের মূল উদ্দেশ্য হলো জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে বাংলাদেশের স্বার্থ সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা, যেখানে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হয়।

তিনি উল্লেখ করেন, এই অধিবেশনের জন্য বাংলাদেশ বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে, কারণ এই সময়ের মাঝে বিভিন্ন মহল দেশের অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে এবং julho গণঅভ্যুত্থান সম্পর্কেও অপপ্রচার চালাচ্ছে।

প্রেস সচিব অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগীরা কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে অস্থিতিশীলতার ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত, এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে ভুয়া তথ্য ও অপপ্রচারে লিপ্ত। এর মধ্যেই কিছু আন্তর্জাতিক মহলের নীরব সমর্থন রয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

তারা জানান, সফরসঙ্গীদের তালিকায় এমন ব্যক্তিরাও আছেন যারা আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য রোহিঙ্গা সম্মেলনে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করবেন; এর মাধ্যমে বোঝা যায়, মানবিক ও নিরাপত্তা ইস্যুতে ঢাকা নেতৃত্ব অব্যাহত।

প্রেস সচিব আরও জানান, কয়েকজন উপদেষ্টা অফিসিয়াল প্রতিনিধি দলের বাইরে থেকেও বৈশ্বিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন এবং দেশের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বকেও এই সফরে অংশ নেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এতে স্পষ্ট হয়, বাংলাদেশ শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক পথে এগিয়ে যাওয়ার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ।