০১:৫০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
আন্তর্জাতিকভাবে দাবি জানানোয় বন্দিদের মুক্তি ঘোষণা বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দেশবাসীর দোয়ার আবেদন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্কটকালে মায়ের স্নেহ পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা আমারও: তারেক রহমান মৌসুমি সবজি বাজারে ভরপুর, দাম কমে গেছে উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ সভায় খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনায় দোয়া ও মোনাজাত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের জন্য ভর্তুকির দাবি আরব আমিরাতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া ২৪ ব্যক্তির মুক্তি আসছে বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা মনের আকাঙ্ক্ষা ও রাজনৈতিক বাস্তবতার মধ্যে দ্বন্দ্ব: তারেক রহমানের মন্তব্য বাজারে মৌসুমি সবজির সরবরাহ বৃদ্ধি ও দাম কমে যাচ্ছে

আড়াই মাসে মোংলা বন্দরে ১৭১ বিদেশি জাহাজ নোঙর

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্র বন্দর, মোংলা বন্দরে গত আড়াই মাসে মোট ১৭১টি বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ নোঙর করেছে। এর ফলে বন্দরটির রাজস্ব আয় উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই জাহাজগুলোর মধ্যে ১২টি জাহাজ ৮ হাজার ৫১৪টি টিইইউ কন্টেইনার বহন করেছে, আর ষোড়শটি জাহাজে আমদানির জন্য ২ হাজার ১১৮টি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের গাড়ি আনা হয়। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ (এমপিএ) জানিয়েছেন, চলতি বছর ১ জুলাই থেকে ২১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই বন্দরে মোট ১৮.০২ লাখ টন পণ্য পরিবহণ সম্পন্ন হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে মোংলা বন্দরে জাহাজ আগমনের সংখ্যার বৃদ্ধির জন্য বেশ কিছু কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এমপিএর উপপরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ মাকরুজ্জামান জানান, বর্তমানে ১৫৩টি বিদেশি জাহাজ সার, ক্লিংকার, এলপিজি, কয়লা ও পাথর বহন করে বন্দর জেটি, হারবাড়িয়ার বোয়া, বেস ক্রিক, সুন্দরী কোটা ও মুরিং বোয়া পয়েন্টের স্থায়ী নোঙরে রয়েছে। তিনি বলেন, মোংলা বন্দর বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রধান চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করছে, এটি লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করছে। বন্দরটি খাদ্যশস্য, সিমেন্টের কাঁচামাল, ক্লিংকার, সার, অটোমোবাইল, যন্ত্রপাতি, চাল, গম, কয়লা, পেট্রোল, পাথর, ভুট্টা, তৈলবীজ ও এলপিজি গ্যাসসহ নানা ধরনের পণ্য আমদানি করে দেশের চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। পাশাপাশি মাছ, চিংড়ি, পাট ও পাটজাত পণ্য, হিমায়িত খাদ্য, কাঁকড়া, টাইলস, রেশম কাপড় ও অন্যান্য সাধারণ পণ্যও এই বন্দরের মাধ্যমে রপ্তানি হয়। মাকরুজ্জামান বলেন, বন্দরের ক্ষমতা আরও বাড়ানোর লক্ষ্যে দীর্ঘ সময়ের মধ্যে সাতটি উন্নয়ন প্রকল্পের নির্মাণ কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। এই প্রকল্পগুলোর সফল বাস্তবায়ন হলে মোংলা বিমানবন্দর ও ব্যবসায়িক পরিবেশ আরও উন্নত হবে, যা দেশের অর্থনীতি আরও শক্তিশালী করবে। তিনি আশাবাদী, এই উন্নয়নমূলক পদক্ষেপগুলো গ্রহণের ফলে বন্দরটি শুধু দেশের জন্যই নয়, আন্তর্জাতিক ব্যবসা-বাণিজ্যে এক গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে উঠবে।

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

আড়াই মাসে মোংলা বন্দরে ১৭১ বিদেশি জাহাজ নোঙর

প্রকাশিতঃ ১০:০৯:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্র বন্দর, মোংলা বন্দরে গত আড়াই মাসে মোট ১৭১টি বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ নোঙর করেছে। এর ফলে বন্দরটির রাজস্ব আয় উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই জাহাজগুলোর মধ্যে ১২টি জাহাজ ৮ হাজার ৫১৪টি টিইইউ কন্টেইনার বহন করেছে, আর ষোড়শটি জাহাজে আমদানির জন্য ২ হাজার ১১৮টি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের গাড়ি আনা হয়। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ (এমপিএ) জানিয়েছেন, চলতি বছর ১ জুলাই থেকে ২১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই বন্দরে মোট ১৮.০২ লাখ টন পণ্য পরিবহণ সম্পন্ন হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে মোংলা বন্দরে জাহাজ আগমনের সংখ্যার বৃদ্ধির জন্য বেশ কিছু কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এমপিএর উপপরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ মাকরুজ্জামান জানান, বর্তমানে ১৫৩টি বিদেশি জাহাজ সার, ক্লিংকার, এলপিজি, কয়লা ও পাথর বহন করে বন্দর জেটি, হারবাড়িয়ার বোয়া, বেস ক্রিক, সুন্দরী কোটা ও মুরিং বোয়া পয়েন্টের স্থায়ী নোঙরে রয়েছে। তিনি বলেন, মোংলা বন্দর বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রধান চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করছে, এটি লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করছে। বন্দরটি খাদ্যশস্য, সিমেন্টের কাঁচামাল, ক্লিংকার, সার, অটোমোবাইল, যন্ত্রপাতি, চাল, গম, কয়লা, পেট্রোল, পাথর, ভুট্টা, তৈলবীজ ও এলপিজি গ্যাসসহ নানা ধরনের পণ্য আমদানি করে দেশের চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। পাশাপাশি মাছ, চিংড়ি, পাট ও পাটজাত পণ্য, হিমায়িত খাদ্য, কাঁকড়া, টাইলস, রেশম কাপড় ও অন্যান্য সাধারণ পণ্যও এই বন্দরের মাধ্যমে রপ্তানি হয়। মাকরুজ্জামান বলেন, বন্দরের ক্ষমতা আরও বাড়ানোর লক্ষ্যে দীর্ঘ সময়ের মধ্যে সাতটি উন্নয়ন প্রকল্পের নির্মাণ কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। এই প্রকল্পগুলোর সফল বাস্তবায়ন হলে মোংলা বিমানবন্দর ও ব্যবসায়িক পরিবেশ আরও উন্নত হবে, যা দেশের অর্থনীতি আরও শক্তিশালী করবে। তিনি আশাবাদী, এই উন্নয়নমূলক পদক্ষেপগুলো গ্রহণের ফলে বন্দরটি শুধু দেশের জন্যই নয়, আন্তর্জাতিক ব্যবসা-বাণিজ্যে এক গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে উঠবে।