বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন জানিয়েছেন যে, আগামী নভেম্বর মাস থেকে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) তাঁর পণ্য তালিকায় আরো পাঁচটি নতুন পণ্য অন্তর্ভুক্ত করবে। এই পণ্যসমূহের মধ্যে রয়েছে চা, লবণ, ডিটারজেন্ট এবং দুই ধরনের সাবান। তিনি এই ঘোষণা দেন yesterday সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে টিসিবির উপকারভোগী নির্বাচন ও সক্রিয়করণ বিষয়ক এক সভায়। এই সভায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রশাসকসহ ঢাকার পার্শ্ববর্তী জেলাসমূহের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ অংশগ্রহণ করেন।
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, সরকার টিসিবির মাধ্যমে বাজারের চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে সমতা আনার জন্য প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকার ভর্তুকি প্রদান করছে। এই নতুন পণ্যসমূহ দরিদ্র মানুষের জীবনযাত্রায় কিছুটা স্বস্তি আনবে এবং মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করবে। তিনি আরও বলেন, সরকার টিসিবি চালানোর কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এর জন্য এক কোটি উপকারভোগীকে সঠিকভাবে নির্বাচন করে তাদের মধ্যে স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড বিতরণ ও সক্রিয়করণের দায়িত্বশীলতা রাখতে তিনিজনেদের আহ্বান জানান।
শেখ বশিরউদ্দীন বিশ্বাস করেন, উপকারভোগীদের মধ্যে দরিদ্র ও অসহায় ব্যক্তিদের দেখভাল নিশ্চিত হলে বাংলাদেশ একটি কল্যাণমুখী রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে উঠবে। তাঁর প্রত্যাশা, প্রকৃত দরিদ্র মানুষরা সহজে এই স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড পাবে, যাতে তাদের পরিচয় স্পষ্ট ও মান্য হয়। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, আগামী এক মাসের মধ্যে সিটি করপোরেশনসহ সারাদেশে উপকারভোগী নির্বাচন ও কার্ড সক্রিয়করণে কার্যকর অগ্রগতি অর্জিত হবে।
বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান বলেন, সঠিক করে উপকারভোগী নির্বাচন অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। পাশাপাশি, সিটি করপোরেশনের কার্যক্রমে কিছুটা ধীরগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে, তবে এই সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধান হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুর রহিম খান এবং টিসিবির চেয়ারম্যান বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ ফয়শল আজাদ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও, সভায় টিসিবির স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়। জানা যায়, বর্তমানে মোট সক্রিয় কার্ডের সংখ্যা ৬০ লাখ ৩৪ হাজার ৩১৬টি, এবং অপেক্ষমাণ অনুবর্তী কার্ডের সংখ্যা ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৪৫৪।