বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচন নিয়ে বেশ কিছু আলোচনার জন্ম দিয়েছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল। তবে শেষ মুহুর্তে তিনি তার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন। নির্বাচন শেষের দিন আচমকাই বিসিবির নির্বাচনী কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে তিনি তার নামের পাশে থাকা প্রার্থী তালিকা থেকে নিজের নাম সরিয়ে দিয়েছেন।
বুধবার (১ অক্টোবর) সকাল ১০টায় এই নির্বাচনের জন্য ভোটগ্রহণের প্রথম দিন খোলা হয় বিসিবির নির্বাচনী অফিস। তামিম সকাল ১০টা ২০ মিনিটে সেখানে উপস্থিত হন। তবে তিনি নিজের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করার বিষয়টি স্পষ্ট করে কিছু জানাননি। তবে তাদের মধ্যে থাকা বেশ কিছু অভিযোগ এবং নানা আলোচনার মধ্যেই আজকের এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন বলে জানা গেছে।
প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ছিল দুপুর ১২টা। এর মধ্যেই আরও বেশ কয়েকজন প্রার্থী নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিতে পারেন বলে গুঞ্জন রয়েছে। ফলাফল ঘোষণা করা হবে দুপুর ২টায়, তখনই চূড়ান্ত প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ হবে।
প্রত্যাহার বা অন্যান্য কারণের জন্য হয়তো এই তালিকা অনেকটাই চূড়ান্ত হয় না। তবে জানা গেছে, এই সময়ের মধ্যে তামিম ছাড়াও আরও কয়েকজন প্রার্থী নিজেদের নাম প্রত্যাহার করতে পারেন বলে আশা করছে বোর্ডের কিছু সূত্র।
বিসিবির আগামী ৬ অক্টোবর এই নির্বাচনের দিন নির্ধারিত। গঠনতন্ত্র অনুসারে, এই নির্বাচনে মূলত তিনটি ক্যাটাগরিতে পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে একটি হলো জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে, যেখানে মোট ১০ জন পরিচালক নির্বাচিত হন নিজ নিজ বিভাগের কাউন্সিলরদের ভোটে। যারা নির্বাচন করবেন ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনা বিভাগ থেকে দুজন করে এবং বরিশাল, সিলেট, রাজশাহী ও রংপুর থেকে একজন করে পরিচালক। এই ক্যাটাগরিতে মোট ৭১ জন কাউন্সিলর ভোট দেন।
ক্যাটাগরির অন্য একটি অংশ হলো ক্লাব ক্যাটাগরি, যেখানে ১২ জন পরিচালক নির্বাচিত হন ৭৬ জন কাউন্সিলরের ভোটে। এছাড়া, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিত্ব প্রাধান্য পায় তৃতীয় ক্যাটাগরিতে, যেখানে ৪৫ জন কাউন্সিলরের ভোটে একজন পরিচালক নির্বাচিত হন। নির্বাচন শেষে, ২৫ পরিচালক ভোটে নির্বাচিত হন সভাপতি।
এই নির্বাচনটি বাংলাদেশের ক্রিকেটের গুরুত্বপূর্ণ আনুষঙ্গিক ঘটনা হিসেবে দেখা হচ্ছে, যেখানে নতুন পরিচালকদের সমন্বয়ে ভবিষ্যতের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা হবে।