অস্থায়ী বাজেটের ব্যাপারে কংগ্রেসে সমঝোতা না হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকার আংশিকভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। এর ফলে বুধবার মার্কিন ডলারের মূল্য ০.২৭ শতাংশের বেশি কমে যায়, যা গত ২২ বছর ধরে দেখা সবচেয়ে বড় বার্ষিক পতনের পথে ডলারের নামকরণ করে। খবর এঁনাদোলুর।
খবরে জানানো হয়, ইউরো এবং জাপানি ইয়েনসহ ছয়টি মুদ্রার সঙ্গে তুলনা করে ডলারের মান নির্ধারণ করা হয়। এর ফলস্বরূপ, ডলার সূচক ৯৭.১৯-এ এসে দাঁড়ায়, যা ২০২৫ সালের মধ্যে প্রায় ১০ শতাংশ কমে যাওয়ার পূর্বাভাস দেয়। এটি ২০০৩ সালের পর সর্বোচ্চ দরপতন, যখন ডলার ১৪.৬ শতাংশ কমেছিল।
সরকারি বিভিন্ন সংস্থা শাটডাউনের কারণে খুব শিগগিরই গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক তথ্য প্রকাশ করতে পারবে না। শ্রম পরিসংখ্যান ব্যুরো জানিয়েছে, শাটডাউনের সময় কৃষি বহির্ভূত চাকরি, বেকার ভাতা আবেদন এবং মুদ্রাস্ফীতির তথ্য প্রকাশ বিলম্বিত হবে।
যদিও এই শাটডাউন সরাসরি অর্থনৈতিক সংকট তৈরি করেনি, তবে এর ফলে মার্কিন জীবনযাত্রার নানা ক্ষেত্রে বড় ধরনের বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। অনেক সরকারি কর্মচারী বিনা বেতনে কাজ করতে বাধ্য হবেন অথবা নতুন বাজেট পাস না হওয়া পর্যন্ত বাধ্যতামূলক ছুটিতে থাকতে হবে।