বৃষ্টিপাতের ধীরে ধীরে থামা এবং সরবরাহের ঘাটতির কারণে রাজধানীর বাজারে সবজির দাম দিয়ে আবারো অস্বাভাবিক বৃদ্ধি ঘটছে। বৃহস্পতিবার কারওয়ান বাজার, মহাখালী, হাতিরপুল, ফকিরাপুল ও গোপীবাগসহ বেশ কিছু প্রধান বাজারে কাঁচামরিচের দাম হঠাৎ করে এক লাফে কেজিতে ১০০ টাকা বেড়ে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকায় পৌঁছে গেছে। এর আগে, গত বুধবারity প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছিল ২০০ টাকায়। এই অপ্রত্যাশিত দাম বৃদ্ধি সাধারণ ক্রেতাদের মধ্যে আতঙ্ক ও ভোগান্তি সৃষ্টি করেছে।
শুধু কাঁচামরিচ নয়, অন্যান্য সবজির দামও ব্যাপক হারে বাড়ছে। বৃহস্পতিবারের বাজারে দেখা গেছে, মোটামুটি সব ধরনের সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এতে করে বাজারে ক্রেতাদের চাপ আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।
সেগুনবাগিচার একজন সবজি বিক্রেতা আব্দুল হাই জানান, ‘পাইকারি বাজারে হঠাৎ করে কাঁচামরিচের দাম কেজিতে ১০০ টাকা বেড়ে গেছে। এ জন্য আমরাও বাধ্য হয়েই খুচরা বিক্রিতে ৩০০ টাকার বেশি দামে বিক্রি করছি।’
সবজি ব্যবসায়ীরা বলছেন, টানা বর্ষণ ও জলাবদ্ধতার কারণে মাঠ থেকে সবজি তোলা কঠিন হয়ে পড়েছে। অনেক নিম্নাঞ্চলের খেত পানির নিচে তলিয়ে গেছে, ফলে ঢাকাসহ আশপাশের জেলাগুলো থেকে সবজির সরবরাহ কমে গেছে।
সবজি বিক্রেতা খলিল বললেন, ‘বৃষ্টির কারণে কৃষকরা মাঠ থেকে সবজি তুলতে পারছেন না। জলাবদ্ধতা ও ক্ষয়ক্ষতির কারণে অনেকখেত নষ্ট হয়ে গেছে, ফলে আগাম শীতকালীন সবজির উৎপাদনেও প্রভাব ফেলেছে। এর ফলে বাজারে সরবরাহ কমছে, এবং দাম বেড়ে চলেছে।’
বাজারে দেখা গেছে, প্রতি কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকা, বেগুন ৭০-৮০ টাকা, ফুলকপি ৮০-১০০ টাকা, টমেটো ১৫০ টাকা, লাউ ৭০-৮০ টাকা এবং কুমড়া ১০০ টাকার ওপরে। এছাড়াও ঢেঁড়স, পুঁইশাক, মুলা, ধনেপাতা সহ অন্যান্য সবজির দামও সপ্তাহের তুলনায় ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়ে গেছে।
ক্রেতাদের অভিযোগ, বাজারে বৃষ্টিকে অজুহাত করে ব্যবসায়ীরা দাম বাড়াচ্ছেন। তবে বিক্রেতারা দাবি করেছেন, সরবরাহের অভাবের জন্য তারা উচ্চমূল্যে কিনে আনছেন, আর তাই খুচরা বিক্রিতে দামের ঊর্ধ্বগতির প্রভাব পড়ছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ধারা অব্যাহত থাকলে আগাম শীতকালীন সবজির বাজারেও তার প্রভাব পড়বে। সরকারের তদারকি ও বাজার মনিটরিং জোরদার না হলে ভোক্তাদের কষ্ট আরও বাড়তে পারে, বলে সতর্ক করেছেন তারা।