০২:৩০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
আন্তর্জাতিকভাবে দাবি জানানোয় বন্দিদের মুক্তি ঘোষণা বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দেশবাসীর দোয়ার আবেদন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্কটকালে মায়ের স্নেহ পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা আমারও: তারেক রহমান মৌসুমি সবজি বাজারে ভরপুর, দাম কমে গেছে উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ সভায় খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনায় দোয়া ও মোনাজাত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের জন্য ভর্তুকির দাবি আরব আমিরাতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া ২৪ ব্যক্তির মুক্তি আসছে বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা মনের আকাঙ্ক্ষা ও রাজনৈতিক বাস্তবতার মধ্যে দ্বন্দ্ব: তারেক রহমানের মন্তব্য বাজারে মৌসুমি সবজির সরবরাহ বৃদ্ধি ও দাম কমে যাচ্ছে

বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য বৈদেশিক লেনদেন সহজতর

দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) উদ্যোক্তাদের জন্য বৈদেশিক লেনদেনের প্রক্রিয়াকে আরও সহজিকরণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে নিবন্ধিত এসএমই প্রতিষ্ঠানগুলো আন্তর্জাতিক ক্রেডিট, ডেবিট বা প্রিপেইড কার্ড ব্যবহার করে বছরে সর্বোচ্চ তিন হাজার মার্কিন ডলার পর্যন্ত বিদেশে পাঠাতে পারবে।

গত রোববার বাংলাদেশ ব্যাংক এক গুরুত্বপূর্ণ সার্কুলার জারি করেছে এই বিষয়ে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, দেশের অর্থনীতিতে এসএমই খাতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা বিবেচনায় এনে বৈদেশিক লেনদেনের প্রক্রিয়া আরও সহজ ও কার্যকর করার উদ্দেশ্যেই এই নতুন ব্যবস্থা চালু করা হলো। মূল লক্ষ্য হলো প্রচলিত ব্যাংকিং চ্যানেলের পাশাপাশি কার্ডের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পেমেন্টের সুবিধা প্রদান।

সার্কুলারে উল্লেখ করা হয়, নিবন্ধিত এসএমই প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের মনোনীত কর্মকর্তার নামে রিফিলযোগ্য আন্তর্জাতিক কার্ড বা ‘এসএমই কার্ড’ নিতে পারবে। প্রাথমিকভাবে এই কার্ডে সর্বোচ্চ ৬০০ মার্কিন ডলার লোড করা যাবে, যা অনলাইন খরচ পরিশোধে ব্যবহার হবে। তবে, মোট বৈদেশিক লেনদেনের সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে বছরে তিন হাজার মার্কিন ডলার, যেখানে নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানটি লেনদেন ও সরাসরি রেমিট্যান্স— উভয় ক্ষেত্রেই এই মোট সীমার মধ্যে থাকতে হবে। এই অর্থ দিয়ে তারা আন্তর্জাতিক সেমিনার, সম্মেলন, প্রযুক্তিগত সহায়তা ফি, ফ্র্যাঞ্চাইজির ফি ইত্যাদি খরচ মেটাতে পারবে।

নির্দেশনায় আরও উল্লেখ করা হয়, প্রতিটি প্রতিষ্ঠান কেবল একটি অনুমোদিত ডিলার (এডি) ব্যাংকের মাধ্যমে এই সুবিধা গ্রহণ করতে পারবে। শাখা পরিবর্তনের জন্য প্রতিষ্ঠানকে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের অনুমোদন নিতে হবে।

লেনদেনের সময় ব্যাংকগুলোকে কঠোর নিয়ম মানার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে উৎস কর, ভ্যাট ও অন্যান্য শুল্ক সংগ্রহ, গ্রাহক যাচাই, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ ও বৈধ মুদ্রা পাঠানোর নীতিমালা অনুসরণ। এই উদ্যোগের ফলে এসএমই উদ্যোক্তারা সহজেই বৈদেশিক লেনদেন করতে পারবেন, যা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়ক হবে।

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য বৈদেশিক লেনদেন সহজতর

প্রকাশিতঃ ১০:৪৯:২৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর ২০২৫

দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) উদ্যোক্তাদের জন্য বৈদেশিক লেনদেনের প্রক্রিয়াকে আরও সহজিকরণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে নিবন্ধিত এসএমই প্রতিষ্ঠানগুলো আন্তর্জাতিক ক্রেডিট, ডেবিট বা প্রিপেইড কার্ড ব্যবহার করে বছরে সর্বোচ্চ তিন হাজার মার্কিন ডলার পর্যন্ত বিদেশে পাঠাতে পারবে।

গত রোববার বাংলাদেশ ব্যাংক এক গুরুত্বপূর্ণ সার্কুলার জারি করেছে এই বিষয়ে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, দেশের অর্থনীতিতে এসএমই খাতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা বিবেচনায় এনে বৈদেশিক লেনদেনের প্রক্রিয়া আরও সহজ ও কার্যকর করার উদ্দেশ্যেই এই নতুন ব্যবস্থা চালু করা হলো। মূল লক্ষ্য হলো প্রচলিত ব্যাংকিং চ্যানেলের পাশাপাশি কার্ডের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পেমেন্টের সুবিধা প্রদান।

সার্কুলারে উল্লেখ করা হয়, নিবন্ধিত এসএমই প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের মনোনীত কর্মকর্তার নামে রিফিলযোগ্য আন্তর্জাতিক কার্ড বা ‘এসএমই কার্ড’ নিতে পারবে। প্রাথমিকভাবে এই কার্ডে সর্বোচ্চ ৬০০ মার্কিন ডলার লোড করা যাবে, যা অনলাইন খরচ পরিশোধে ব্যবহার হবে। তবে, মোট বৈদেশিক লেনদেনের সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে বছরে তিন হাজার মার্কিন ডলার, যেখানে নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানটি লেনদেন ও সরাসরি রেমিট্যান্স— উভয় ক্ষেত্রেই এই মোট সীমার মধ্যে থাকতে হবে। এই অর্থ দিয়ে তারা আন্তর্জাতিক সেমিনার, সম্মেলন, প্রযুক্তিগত সহায়তা ফি, ফ্র্যাঞ্চাইজির ফি ইত্যাদি খরচ মেটাতে পারবে।

নির্দেশনায় আরও উল্লেখ করা হয়, প্রতিটি প্রতিষ্ঠান কেবল একটি অনুমোদিত ডিলার (এডি) ব্যাংকের মাধ্যমে এই সুবিধা গ্রহণ করতে পারবে। শাখা পরিবর্তনের জন্য প্রতিষ্ঠানকে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের অনুমোদন নিতে হবে।

লেনদেনের সময় ব্যাংকগুলোকে কঠোর নিয়ম মানার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে উৎস কর, ভ্যাট ও অন্যান্য শুল্ক সংগ্রহ, গ্রাহক যাচাই, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ ও বৈধ মুদ্রা পাঠানোর নীতিমালা অনুসরণ। এই উদ্যোগের ফলে এসএমই উদ্যোক্তারা সহজেই বৈদেশিক লেনদেন করতে পারবেন, যা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়ক হবে।