০২:৫৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
আন্তর্জাতিকভাবে দাবি জানানোয় বন্দিদের মুক্তি ঘোষণা বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দেশবাসীর দোয়ার আবেদন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্কটকালে মায়ের স্নেহ পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা আমারও: তারেক রহমান মৌসুমি সবজি বাজারে ভরপুর, দাম কমে গেছে উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ সভায় খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনায় দোয়া ও মোনাজাত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের জন্য ভর্তুকির দাবি আরব আমিরাতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া ২৪ ব্যক্তির মুক্তি আসছে বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা মনের আকাঙ্ক্ষা ও রাজনৈতিক বাস্তবতার মধ্যে দ্বন্দ্ব: তারেক রহমানের মন্তব্য বাজারে মৌসুমি সবজির সরবরাহ বৃদ্ধি ও দাম কমে যাচ্ছে

নওগাঁর পুলিশ কনস্টেবল পাপেল হাসানের একাধিক বিবাহ, যৌতুকের দাবিতে অশান্তি ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ

নওগাঁর বদলগাছী উপজেলায় পুলিশের কনস্টেবল পাপেল হাসানের বিরুদ্ধে একের পর এক বিয়ের অভিযোগ উঠে এসেছে। তিনি নানা যৌতুকের দাবি করে স্ত্রীদের শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে তার তৃতীয় স্ত্রী, হাফিজা আক্তার আঁখি, একটি সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

রবিবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে বদলগাছীর বিষ্ণুপুর গ্রামে নিজের বাড়িতে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। হাফিজা আক্তি জানান, ২০২৩ সালের ২৭ অক্টোবর পারিবারিকভাবে পাপেল হাসানের সঙ্গে তার বিয়া হয়। বিয়ের সময় তার পরিবারের কাছ থেকে বাড়ি মেরামতের জন্য ৭ লাখ টাকা যৌতুক নেওয়া হয়। বিয়ের পর পাঁচ মাসের জন্য পাপেল বগুড়ায় কর্মস্থল থাকাকালীন তারা ভাড়া বাসায় থাকতেন; হঠাৎ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলে সুস্থ হয়ে ফিরে তাকে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এরপর ভাড়া বাসা ছেড়ে দেয়ার পর, তাদের পরবর্তী অবস্থান ছিল বগুড়ার সারিয়াকন্দির চন্দন বাইশা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে। সেখানে সংসার চলছিল, তবে পাপেল কোনও খরচ দিতেন না। বরং শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করেন; বিষয়টি জানানো সত্ত্বেও শ্বশুরবাড়ির পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

হাফিজা আক্তার আরও বলেছন, পরে পাপেল আরও ৫ লাখ টাকা যৌতুকের দাবি করেন। টাকা না দিলে তাকে মারধর করে বাড়ি থেকে পাঠিয়ে দেন এবং ভরণপোষণ বন্ধ করে দেন। তালাকের হুমকিও দেন। কিছুদিন পর জানলেন, পাপেল আরও দুটি বিয়ে করেছেন এবং যৌতুকের জন্য তাদেরও তালাক দিয়েছেন। পরে গোপনে তৃতীয় স্ত্রী হিসেবে তার বিয়ে করেন।

এ বিষয়ে তিনি বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার, পাবনা পুলিশ সুপার, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি এবং পুলিশ সদর দপ্তরেও লিখিত অভিযোগ করেছেন। কিন্তু এখনো কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে দাবি করেন। বরং মৌখিকভাবে বল্লেও বিষয়টি পারিবারিকভাবে মীমাংসা করতে বলা হয়েছে।

প্রথম স্ত্রী সোনালী আক্তার জানান, পাপেলের পরিবারের অবস্থা ভালো ছিল না। পুলিশে চাকরির জন্য তার বাবার কাছ থেকে ৮ লাখ টাকা নেওয়ার পর তাদের বিয়ে হয়। তবে কিছুদিনের মধ্যে তার স্বামী তালাক দিয়ে অন্য জীবন শুরু করেন। তিনি বলেন, পাপেল একজন অর্থলোভী ও স্বার্থপর ব্যক্তি।

পাপেল হাসান মুঠোফোনে বলেন, আমি সরকারি চাকরি করি। কেন আমি ভরণপোষণ করব না? আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তদন্ত হচ্ছে। এর বেশি কিছু বলব না।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, হাফিজা আক্তার আক্তির বাবা রকিব উদ্দিন, চাচা রফিকুল ইসলাম ও পরিবারের অন্য সদস্যরা।

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

নওগাঁর পুলিশ কনস্টেবল পাপেল হাসানের একাধিক বিবাহ, যৌতুকের দাবিতে অশান্তি ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ

প্রকাশিতঃ ১০:৫০:১৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫

নওগাঁর বদলগাছী উপজেলায় পুলিশের কনস্টেবল পাপেল হাসানের বিরুদ্ধে একের পর এক বিয়ের অভিযোগ উঠে এসেছে। তিনি নানা যৌতুকের দাবি করে স্ত্রীদের শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে তার তৃতীয় স্ত্রী, হাফিজা আক্তার আঁখি, একটি সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

রবিবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে বদলগাছীর বিষ্ণুপুর গ্রামে নিজের বাড়িতে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। হাফিজা আক্তি জানান, ২০২৩ সালের ২৭ অক্টোবর পারিবারিকভাবে পাপেল হাসানের সঙ্গে তার বিয়া হয়। বিয়ের সময় তার পরিবারের কাছ থেকে বাড়ি মেরামতের জন্য ৭ লাখ টাকা যৌতুক নেওয়া হয়। বিয়ের পর পাঁচ মাসের জন্য পাপেল বগুড়ায় কর্মস্থল থাকাকালীন তারা ভাড়া বাসায় থাকতেন; হঠাৎ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলে সুস্থ হয়ে ফিরে তাকে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এরপর ভাড়া বাসা ছেড়ে দেয়ার পর, তাদের পরবর্তী অবস্থান ছিল বগুড়ার সারিয়াকন্দির চন্দন বাইশা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে। সেখানে সংসার চলছিল, তবে পাপেল কোনও খরচ দিতেন না। বরং শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করেন; বিষয়টি জানানো সত্ত্বেও শ্বশুরবাড়ির পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

হাফিজা আক্তার আরও বলেছন, পরে পাপেল আরও ৫ লাখ টাকা যৌতুকের দাবি করেন। টাকা না দিলে তাকে মারধর করে বাড়ি থেকে পাঠিয়ে দেন এবং ভরণপোষণ বন্ধ করে দেন। তালাকের হুমকিও দেন। কিছুদিন পর জানলেন, পাপেল আরও দুটি বিয়ে করেছেন এবং যৌতুকের জন্য তাদেরও তালাক দিয়েছেন। পরে গোপনে তৃতীয় স্ত্রী হিসেবে তার বিয়ে করেন।

এ বিষয়ে তিনি বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার, পাবনা পুলিশ সুপার, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি এবং পুলিশ সদর দপ্তরেও লিখিত অভিযোগ করেছেন। কিন্তু এখনো কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে দাবি করেন। বরং মৌখিকভাবে বল্লেও বিষয়টি পারিবারিকভাবে মীমাংসা করতে বলা হয়েছে।

প্রথম স্ত্রী সোনালী আক্তার জানান, পাপেলের পরিবারের অবস্থা ভালো ছিল না। পুলিশে চাকরির জন্য তার বাবার কাছ থেকে ৮ লাখ টাকা নেওয়ার পর তাদের বিয়ে হয়। তবে কিছুদিনের মধ্যে তার স্বামী তালাক দিয়ে অন্য জীবন শুরু করেন। তিনি বলেন, পাপেল একজন অর্থলোভী ও স্বার্থপর ব্যক্তি।

পাপেল হাসান মুঠোফোনে বলেন, আমি সরকারি চাকরি করি। কেন আমি ভরণপোষণ করব না? আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তদন্ত হচ্ছে। এর বেশি কিছু বলব না।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, হাফিজা আক্তার আক্তির বাবা রকিব উদ্দিন, চাচা রফিকুল ইসলাম ও পরিবারের অন্য সদস্যরা।