০১:০১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
আন্তর্জাতিকভাবে দাবি জানানোয় বন্দিদের মুক্তি ঘোষণা বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দেশবাসীর দোয়ার আবেদন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্কটকালে মায়ের স্নেহ পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা আমারও: তারেক রহমান মৌসুমি সবজি বাজারে ভরপুর, দাম কমে গেছে উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ সভায় খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনায় দোয়া ও মোনাজাত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের জন্য ভর্তুকির দাবি আরব আমিরাতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া ২৪ ব্যক্তির মুক্তি আসছে বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা মনের আকাঙ্ক্ষা ও রাজনৈতিক বাস্তবতার মধ্যে দ্বন্দ্ব: তারেক রহমানের মন্তব্য বাজারে মৌসুমি সবজির সরবরাহ বৃদ্ধি ও দাম কমে যাচ্ছে

বাংলাদেশি সিনেমা ‘নিশি’ এমা অ্যাওয়ার্ডে প্রথমবারের মতো পুরস্কার জিতল

৩৫তম এনভায়রনমেন্টাল মিডিয়া অ্যাসোসিয়েশন (এমা) অ্যাওয়ার্ডে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের সিনেমা ‘নিশি’ পুরস্কার জিতেছে। এই স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটি স্টুডেন্ট ক্যাটাগরিতে सर्वोচ্চ সম্মান অর্জন করেছে। দেশের চলচ্চিত্রজগতের জন্য এটি এক বিশাল সফলতা, কারণ এটি প্রথমবারের মতো দেশের কোনও সিনেমা এই আন্তর্জাতিক পুরস্কার অর্জন করল।

গোলাম রাব্বানী পরিচালিত এই ছবি তার গল্প ও চিত্রনাট্য নিয়ে দর্শকদের মুগ্ধ করেছে। সহপরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন জহিরুল ইসলাম। ১১ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে অনুষ্ঠিত রেডফোর্ড স্টুডিও সেন্টারে পুরস্কার ঘোষণা করা হয়।

প্রযোজনা সংস্থা ইন্টরন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া তাদের সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছে, ‘নিশি’ এখন বিশ্বের সেরা তিনটি স্টুডেন্ট ফিল্মের মধ্যে একটি। এই অর্জন বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের জন্য গর্বের বিষয়।

গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘এই খবর সত্যিই আনন্দের। এমা অ্যাওয়ার্ডের ৩৫তম আসরে আমাদের সিনেমা ‘নিশি’ পুরস্কার পেয়েছে। এটি বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ইতিহাসে এক গৌরবের মাইলফলক।’ তিনি আরো যোগ করেন, ‘এই সফলতা আমার সিনেমা জার্নিকে আরও শক্তিশালী করবে। আমি সবসময় প্রকৃতি ও মানুষের গল্প বলতে চাই।’

এই সিনেমাটি ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশ, গ্রিন ফিল্ম স্কুল অ্যাসোসিয়েশন ও ইউনেস্কোর সহযোগিতায় নির্মিত হয়েছে। এর গল্পে দেখা যাবে একজন চা-শ্রমিকের মেয়ে, যার পড়াশোনা পানির সংকটের কারণে বন্ধ হয়ে যায়। অন্যদিকে, বাড়িতে একটি টিউবওয়েল দেওয়ার নাম করে নাবালিকা নিশিকে যৌতুক হিসেবে লালচাঁন নামের এক কাঠ ব্যবসায়ীর কাছে বিয়ে দেওয়া হয়।

ছবিতে অভিনয় করেছেন নিশি, বিশ্বজিৎ, গণেষ ও ভারতী। পোল্যান্ডের বিখ্যাত লজ ফিল্ম স্কুলে ছবিটির চূড়ান্ত সম্পাদনা, কালার ও সাউন্ডের কাজ হয়েছে। এটি বাংলাদেশের প্রথম ছবি, যার পোস্টপ্রোডাকশনের সব কাজ যেখানে হয়েছে—লজ ফিল্ম স্কুলে। চিত্রগ্রহণে সহায়তা করেছেন এই স্কুলের প্রাক্তনী নাতালিয়া পুসনিক।

শুটিং হয়েছে সিলেটের এক চা বাগানের বিভিন্ন লোকেশনে। গোলাম রাব্বানী জানিয়েছেন, বর্তমানে এই সিনেমা বিশ্বের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে পাঠানোর প্রক্রিয়াধমান। শিগগিরই বাংলাদেশে তাঁর এই সিনেমার প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হবে।

এর আগে গোলাম রাব্বানীর ‘ছুরত’ ও ‘আনটিং’ ভেনিস ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল, বুদাপেস্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল ও ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে সম্মানজনক মনোযোগ পেয়েছে।

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশি সিনেমা ‘নিশি’ এমা অ্যাওয়ার্ডে প্রথমবারের মতো পুরস্কার জিতল

প্রকাশিতঃ ১০:৫২:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫

৩৫তম এনভায়রনমেন্টাল মিডিয়া অ্যাসোসিয়েশন (এমা) অ্যাওয়ার্ডে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের সিনেমা ‘নিশি’ পুরস্কার জিতেছে। এই স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটি স্টুডেন্ট ক্যাটাগরিতে सर्वोচ্চ সম্মান অর্জন করেছে। দেশের চলচ্চিত্রজগতের জন্য এটি এক বিশাল সফলতা, কারণ এটি প্রথমবারের মতো দেশের কোনও সিনেমা এই আন্তর্জাতিক পুরস্কার অর্জন করল।

গোলাম রাব্বানী পরিচালিত এই ছবি তার গল্প ও চিত্রনাট্য নিয়ে দর্শকদের মুগ্ধ করেছে। সহপরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন জহিরুল ইসলাম। ১১ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে অনুষ্ঠিত রেডফোর্ড স্টুডিও সেন্টারে পুরস্কার ঘোষণা করা হয়।

প্রযোজনা সংস্থা ইন্টরন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া তাদের সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছে, ‘নিশি’ এখন বিশ্বের সেরা তিনটি স্টুডেন্ট ফিল্মের মধ্যে একটি। এই অর্জন বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের জন্য গর্বের বিষয়।

গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘এই খবর সত্যিই আনন্দের। এমা অ্যাওয়ার্ডের ৩৫তম আসরে আমাদের সিনেমা ‘নিশি’ পুরস্কার পেয়েছে। এটি বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ইতিহাসে এক গৌরবের মাইলফলক।’ তিনি আরো যোগ করেন, ‘এই সফলতা আমার সিনেমা জার্নিকে আরও শক্তিশালী করবে। আমি সবসময় প্রকৃতি ও মানুষের গল্প বলতে চাই।’

এই সিনেমাটি ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশ, গ্রিন ফিল্ম স্কুল অ্যাসোসিয়েশন ও ইউনেস্কোর সহযোগিতায় নির্মিত হয়েছে। এর গল্পে দেখা যাবে একজন চা-শ্রমিকের মেয়ে, যার পড়াশোনা পানির সংকটের কারণে বন্ধ হয়ে যায়। অন্যদিকে, বাড়িতে একটি টিউবওয়েল দেওয়ার নাম করে নাবালিকা নিশিকে যৌতুক হিসেবে লালচাঁন নামের এক কাঠ ব্যবসায়ীর কাছে বিয়ে দেওয়া হয়।

ছবিতে অভিনয় করেছেন নিশি, বিশ্বজিৎ, গণেষ ও ভারতী। পোল্যান্ডের বিখ্যাত লজ ফিল্ম স্কুলে ছবিটির চূড়ান্ত সম্পাদনা, কালার ও সাউন্ডের কাজ হয়েছে। এটি বাংলাদেশের প্রথম ছবি, যার পোস্টপ্রোডাকশনের সব কাজ যেখানে হয়েছে—লজ ফিল্ম স্কুলে। চিত্রগ্রহণে সহায়তা করেছেন এই স্কুলের প্রাক্তনী নাতালিয়া পুসনিক।

শুটিং হয়েছে সিলেটের এক চা বাগানের বিভিন্ন লোকেশনে। গোলাম রাব্বানী জানিয়েছেন, বর্তমানে এই সিনেমা বিশ্বের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে পাঠানোর প্রক্রিয়াধমান। শিগগিরই বাংলাদেশে তাঁর এই সিনেমার প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হবে।

এর আগে গোলাম রাব্বানীর ‘ছুরত’ ও ‘আনটিং’ ভেনিস ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল, বুদাপেস্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল ও ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে সম্মানজনক মনোযোগ পেয়েছে।