১২:১৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
আন্তর্জাতিকভাবে দাবি জানানোয় বন্দিদের মুক্তি ঘোষণা বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দেশবাসীর দোয়ার আবেদন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্কটকালে মায়ের স্নেহ পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা আমারও: তারেক রহমান মৌসুমি সবজি বাজারে ভরপুর, দাম কমে গেছে উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ সভায় খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনায় দোয়া ও মোনাজাত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের জন্য ভর্তুকির দাবি আরব আমিরাতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া ২৪ ব্যক্তির মুক্তি আসছে বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা মনের আকাঙ্ক্ষা ও রাজনৈতিক বাস্তবতার মধ্যে দ্বন্দ্ব: তারেক রহমানের মন্তব্য বাজারে মৌসুমি সবজির সরবরাহ বৃদ্ধি ও দাম কমে যাচ্ছে

৪০ বছরেও পাকা হয়নি কমলনগরের হাওলাদারপাড়া–বারঘর সড়ক

লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার চরকাদিরা ইউনিয়নের চরপাগলা গ্রামে অবস্থিত হাওলাদারপাড়া থেকে বারঘর পর্যন্ত এবং কিল্লার রোড পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কটি এখনও পানিপথের মতো কাঁচা অবস্থায় রয়েছে। এই সড়কটি চার দশক ধরে পাকা নয়, যার কারণে বর্ষাকালে এটি কাদা ও জলাবদ্ধতায় পরিণত হয়, মানুষের চলাচল নির্ধারিত হয়ে পড়ে দুর্ভোগের চরম পর্যায়ে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, এলাকাটির গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এর নজরদারিতে আসেনি। এই সড়কটি গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষের প্রধান যাতায়াতের মাধ্যম হলেও কোনো উন্নয়ন বা সংস্কার কার্যক্রম না হওয়ায় শিক্ষার্থী, কৃষক, রোগী ও শ্রমজীবী মানুষ দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় চরম বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে বাধ্য হচ্ছেন। স্থানীয় বাসিন্দা আকবর হোসেন আরজু হাওলাদার বলেন, ‘এই সড়কটি ৪০ বছর ধরে কাঁচা রয়ে গেছে। বর্ষায় বাজারে যেতে বা রোগী হাসপাতালে নিয়ে আসতে বড় অসুবিধা হয়। বহুবার দাবি জানিয়েছি, কিন্তু কোনো উন্নয়ন হয়নি।’ অপর এক গ্রামবাসী মাওলানা ওসমান গনি জানান, ‘সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজারों মানুষ চলাচল করে। বর্ষায় হাঁটা দৌড়ানো অসম্ভব হয়ে পড়ে। স্কুল, কলেজ ও মাদরাসার শিক্ষার্থীরাও বিপাকে পড়ছেন। এর দ্রুত পাকা করণ দরকার।’ ইউপি সদস্য মো. নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘সড়কটির পাকা নির্মাণের জন্য বহুবার সাবেক সংসদ সদস্যের কাছে অনুরোধ করেছি, কিন্তু কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এলাকাবাসীর দুর্ভোগ কমাতে দ্রুত এই রাস্তা পাকা করার উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।’ চরকাদিরা ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. হারুন বলেন, ‘এটি ইউনিয়নের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। ৪০ বছরে কোনো উন্নয়ন হয়নি, এটি খুবই দুঃখজনক।’ এ বিষয়ে কমলনগর উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী আব্দুল কাদের মোজাহিদ বলেন, ‘সড়কটি সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাহাত-উজ-জামান জানান, ‘এব্যাপারে স্থানীয়দের ভোগান্তির বিষয়টি জানা গেছে। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জানানো হয়েছে।’

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

৪০ বছরেও পাকা হয়নি কমলনগরের হাওলাদারপাড়া–বারঘর সড়ক

প্রকাশিতঃ ১১:৫৪:৩৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫

লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার চরকাদিরা ইউনিয়নের চরপাগলা গ্রামে অবস্থিত হাওলাদারপাড়া থেকে বারঘর পর্যন্ত এবং কিল্লার রোড পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কটি এখনও পানিপথের মতো কাঁচা অবস্থায় রয়েছে। এই সড়কটি চার দশক ধরে পাকা নয়, যার কারণে বর্ষাকালে এটি কাদা ও জলাবদ্ধতায় পরিণত হয়, মানুষের চলাচল নির্ধারিত হয়ে পড়ে দুর্ভোগের চরম পর্যায়ে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, এলাকাটির গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এর নজরদারিতে আসেনি। এই সড়কটি গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষের প্রধান যাতায়াতের মাধ্যম হলেও কোনো উন্নয়ন বা সংস্কার কার্যক্রম না হওয়ায় শিক্ষার্থী, কৃষক, রোগী ও শ্রমজীবী মানুষ দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় চরম বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে বাধ্য হচ্ছেন। স্থানীয় বাসিন্দা আকবর হোসেন আরজু হাওলাদার বলেন, ‘এই সড়কটি ৪০ বছর ধরে কাঁচা রয়ে গেছে। বর্ষায় বাজারে যেতে বা রোগী হাসপাতালে নিয়ে আসতে বড় অসুবিধা হয়। বহুবার দাবি জানিয়েছি, কিন্তু কোনো উন্নয়ন হয়নি।’ অপর এক গ্রামবাসী মাওলানা ওসমান গনি জানান, ‘সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজারों মানুষ চলাচল করে। বর্ষায় হাঁটা দৌড়ানো অসম্ভব হয়ে পড়ে। স্কুল, কলেজ ও মাদরাসার শিক্ষার্থীরাও বিপাকে পড়ছেন। এর দ্রুত পাকা করণ দরকার।’ ইউপি সদস্য মো. নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘সড়কটির পাকা নির্মাণের জন্য বহুবার সাবেক সংসদ সদস্যের কাছে অনুরোধ করেছি, কিন্তু কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এলাকাবাসীর দুর্ভোগ কমাতে দ্রুত এই রাস্তা পাকা করার উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।’ চরকাদিরা ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. হারুন বলেন, ‘এটি ইউনিয়নের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। ৪০ বছরে কোনো উন্নয়ন হয়নি, এটি খুবই দুঃখজনক।’ এ বিষয়ে কমলনগর উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী আব্দুল কাদের মোজাহিদ বলেন, ‘সড়কটি সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাহাত-উজ-জামান জানান, ‘এব্যাপারে স্থানীয়দের ভোগান্তির বিষয়টি জানা গেছে। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জানানো হয়েছে।’