১১:১২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫, ৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
অপো আনলো রেনো১৪ সিরিজ ফাইভজি নাইটলাইফ রেনোগ্রাফি প্রতিযোগিতা বোয়ালখালীতে প্রবাসীর স্ত্রীর বিষপানে মৃত্যু শেখ হাসিনা ও ৩২ জনের বিরুদ্ধে সুখরঞ্জন বিলির অভিযোগ দাখিল বোয়ালখালীতে যৌথ বাহিনীর অভিযান, অস্ত্রসহ ৩ জন আটক প্রস্তাবিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মেডিকেল কলেজের জন্য মানববন্ধন এনসিপি থেকে বহিষ্কারের পর মাহিনের বিশ্লেষণমূলক মন্তব্য নরওয়ে গবেষণা জাহাজ বঙ্গোপসাগরে মৎস্য ও ইকোসিস্টেম জরিপ শুরু করেছে বয়স হলে ভুল বোঝার ব্যাপারটা বুঝতে পারবে, তখন লজ্জিত হবে নিজেকে নিয়ন্ত্রকদের সম্পদ তদন্ত চাই দুদকের ইইউ ৪ মিলিয়ন ইউরো আর্থিক সহযোগিতা দেবে বাংলাদেশের নির্বাচন উন্নত করতে

সিরাজগঞ্জে আওয়ামী লীগের ৪৫ নেতাকর্মীর পদত্যাগ

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার ভদ্রঘাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ ৪৫ নেতাকর্মী একযোগে পদত্যাগ করেছেন। শুক্রবার (৮ এপ্রিল) সকালে উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক হামিদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

হামিদুল ইসলাম জানান, বুধবার (৬ এপ্রিল) ৪৫ নেতাকর্মীর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছি। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সাথে আলোচনার প্রক্রিয়া চলছে।

এদিকে পদত্যাগী সাধারণ সম্পাদক টি এম মোস্তফা জয় জানান, ভদ্রঘাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মালেক খান দীর্ঘদিন যাবত সংগঠন বিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত রয়েছেন। কিছুদিন আগে তার নিজস্ব বাহিনী দ্বারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নজরুল ইসলামকে অপহরণ করে নির্জন জায়গায় নিয়ে শারীরিক নির্যাতন করে। সহ-সভাপতি আনিছুর রহমানকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং অপর সহ-সভাপতি এস এম লুৎফর রহমান বাবুকে প্রকাশ্য দিবালোকে মারপিট করে আহত করেন। তিনি বিভিন্ন সময়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস ছালামসহ ভদ্রঘাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অন্তত ১৫ জন নেতাকর্মীকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন।

মোস্তফা জয় আরো জানান, আব্দুল মালেক খানের বিরুদ্ধে সংগঠন বিরোধী কার্যকলাপের কারণে গত ৪ এপ্রিল ভদ্রঘাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সভায় মোট ৬৪ জন সদস্যের মধ্যে ৫০ জন উপস্থিতিতে সার্বিক বিষয়ে আলোচনা করে ৪৫ জন একযোগে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

অভিযোগের বিষয়ে ভদ্রঘাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক খান বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। সব অভিযোগ মিথ্যা। মূলত এ কমিটির দুই গ্রুপের মধ্যে বালুমহাল নিয়ে জটিলতা চলছে। আমি বিষয়টি সমঝোতার চেষ্টা করেছি বলে তারা সবাই এ মিথ্যা অভিযোগ করেছে। জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আমিই নেতাকর্মীদের সহায়তা করে থাকি।’

এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট কে এম হোসেন আলী হাসান জানান, আমি আজ একটি পদত্যাগপত্র হাতে পেয়েছি।

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

টিউলিপ সিদ্দিকের অভিযোগ, হাসিনা-ইউনূস দ্বন্দ্বে আমি ‘বলির পাঁঠা’

সিরাজগঞ্জে আওয়ামী লীগের ৪৫ নেতাকর্মীর পদত্যাগ

প্রকাশিতঃ ০১:৩৪:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ এপ্রিল ২০২২

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার ভদ্রঘাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ ৪৫ নেতাকর্মী একযোগে পদত্যাগ করেছেন। শুক্রবার (৮ এপ্রিল) সকালে উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক হামিদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

হামিদুল ইসলাম জানান, বুধবার (৬ এপ্রিল) ৪৫ নেতাকর্মীর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছি। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সাথে আলোচনার প্রক্রিয়া চলছে।

এদিকে পদত্যাগী সাধারণ সম্পাদক টি এম মোস্তফা জয় জানান, ভদ্রঘাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মালেক খান দীর্ঘদিন যাবত সংগঠন বিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত রয়েছেন। কিছুদিন আগে তার নিজস্ব বাহিনী দ্বারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নজরুল ইসলামকে অপহরণ করে নির্জন জায়গায় নিয়ে শারীরিক নির্যাতন করে। সহ-সভাপতি আনিছুর রহমানকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং অপর সহ-সভাপতি এস এম লুৎফর রহমান বাবুকে প্রকাশ্য দিবালোকে মারপিট করে আহত করেন। তিনি বিভিন্ন সময়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস ছালামসহ ভদ্রঘাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অন্তত ১৫ জন নেতাকর্মীকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন।

মোস্তফা জয় আরো জানান, আব্দুল মালেক খানের বিরুদ্ধে সংগঠন বিরোধী কার্যকলাপের কারণে গত ৪ এপ্রিল ভদ্রঘাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সভায় মোট ৬৪ জন সদস্যের মধ্যে ৫০ জন উপস্থিতিতে সার্বিক বিষয়ে আলোচনা করে ৪৫ জন একযোগে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

অভিযোগের বিষয়ে ভদ্রঘাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক খান বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। সব অভিযোগ মিথ্যা। মূলত এ কমিটির দুই গ্রুপের মধ্যে বালুমহাল নিয়ে জটিলতা চলছে। আমি বিষয়টি সমঝোতার চেষ্টা করেছি বলে তারা সবাই এ মিথ্যা অভিযোগ করেছে। জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আমিই নেতাকর্মীদের সহায়তা করে থাকি।’

এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট কে এম হোসেন আলী হাসান জানান, আমি আজ একটি পদত্যাগপত্র হাতে পেয়েছি।