১১:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
একাত্তরের ভুল প্রমাণিত হলে জাতির কাছে ক্ষমা চাইব: জামায়াত আমির নতুন আইজিপি বাহারুল আলম, ডিএমপি কমিশনার সাজ্জাদ আলী ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করা নিয়ে যা জানালেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে, আওয়ামী লীগের নির্বাচন করায় আপত্তি নেই: দ্য হিন্দুকে ইউনূস সোনারগাঁয়ে মেঘনা গ্রুপের ফ্যাক্টরিতে অগ্নিকাণ্ড, ক্ষতি ৪০০ কোটি টাকা বিডিআরের নির্দোষ সদস্যদের চাকরি পুর্নবহালের দাবি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ করে প্রজ্ঞাপন জারি ৪৪, ৪৫ ও ৪৬তম বিসিএস নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত খাদ্যের মান যাচাইয়ে এসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে খেলেন উপাচার্য সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম গ্রেপ্তার

সিরাজগঞ্জে আওয়ামী লীগের ৪৫ নেতাকর্মীর পদত্যাগ

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার ভদ্রঘাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ ৪৫ নেতাকর্মী একযোগে পদত্যাগ করেছেন। শুক্রবার (৮ এপ্রিল) সকালে উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক হামিদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

হামিদুল ইসলাম জানান, বুধবার (৬ এপ্রিল) ৪৫ নেতাকর্মীর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছি। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সাথে আলোচনার প্রক্রিয়া চলছে।

এদিকে পদত্যাগী সাধারণ সম্পাদক টি এম মোস্তফা জয় জানান, ভদ্রঘাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মালেক খান দীর্ঘদিন যাবত সংগঠন বিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত রয়েছেন। কিছুদিন আগে তার নিজস্ব বাহিনী দ্বারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নজরুল ইসলামকে অপহরণ করে নির্জন জায়গায় নিয়ে শারীরিক নির্যাতন করে। সহ-সভাপতি আনিছুর রহমানকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং অপর সহ-সভাপতি এস এম লুৎফর রহমান বাবুকে প্রকাশ্য দিবালোকে মারপিট করে আহত করেন। তিনি বিভিন্ন সময়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস ছালামসহ ভদ্রঘাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অন্তত ১৫ জন নেতাকর্মীকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন।

মোস্তফা জয় আরো জানান, আব্দুল মালেক খানের বিরুদ্ধে সংগঠন বিরোধী কার্যকলাপের কারণে গত ৪ এপ্রিল ভদ্রঘাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সভায় মোট ৬৪ জন সদস্যের মধ্যে ৫০ জন উপস্থিতিতে সার্বিক বিষয়ে আলোচনা করে ৪৫ জন একযোগে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

অভিযোগের বিষয়ে ভদ্রঘাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক খান বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। সব অভিযোগ মিথ্যা। মূলত এ কমিটির দুই গ্রুপের মধ্যে বালুমহাল নিয়ে জটিলতা চলছে। আমি বিষয়টি সমঝোতার চেষ্টা করেছি বলে তারা সবাই এ মিথ্যা অভিযোগ করেছে। জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আমিই নেতাকর্মীদের সহায়তা করে থাকি।’

এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট কে এম হোসেন আলী হাসান জানান, আমি আজ একটি পদত্যাগপত্র হাতে পেয়েছি।

ট্যাগ :

রুশ হামলার আশঙ্কায় কিয়েভে দূতাবাস বন্ধ করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

সিরাজগঞ্জে আওয়ামী লীগের ৪৫ নেতাকর্মীর পদত্যাগ

প্রকাশিতঃ ০১:৩৪:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ এপ্রিল ২০২২

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার ভদ্রঘাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ ৪৫ নেতাকর্মী একযোগে পদত্যাগ করেছেন। শুক্রবার (৮ এপ্রিল) সকালে উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক হামিদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

হামিদুল ইসলাম জানান, বুধবার (৬ এপ্রিল) ৪৫ নেতাকর্মীর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছি। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সাথে আলোচনার প্রক্রিয়া চলছে।

এদিকে পদত্যাগী সাধারণ সম্পাদক টি এম মোস্তফা জয় জানান, ভদ্রঘাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মালেক খান দীর্ঘদিন যাবত সংগঠন বিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত রয়েছেন। কিছুদিন আগে তার নিজস্ব বাহিনী দ্বারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নজরুল ইসলামকে অপহরণ করে নির্জন জায়গায় নিয়ে শারীরিক নির্যাতন করে। সহ-সভাপতি আনিছুর রহমানকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং অপর সহ-সভাপতি এস এম লুৎফর রহমান বাবুকে প্রকাশ্য দিবালোকে মারপিট করে আহত করেন। তিনি বিভিন্ন সময়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস ছালামসহ ভদ্রঘাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অন্তত ১৫ জন নেতাকর্মীকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন।

মোস্তফা জয় আরো জানান, আব্দুল মালেক খানের বিরুদ্ধে সংগঠন বিরোধী কার্যকলাপের কারণে গত ৪ এপ্রিল ভদ্রঘাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সভায় মোট ৬৪ জন সদস্যের মধ্যে ৫০ জন উপস্থিতিতে সার্বিক বিষয়ে আলোচনা করে ৪৫ জন একযোগে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

অভিযোগের বিষয়ে ভদ্রঘাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক খান বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। সব অভিযোগ মিথ্যা। মূলত এ কমিটির দুই গ্রুপের মধ্যে বালুমহাল নিয়ে জটিলতা চলছে। আমি বিষয়টি সমঝোতার চেষ্টা করেছি বলে তারা সবাই এ মিথ্যা অভিযোগ করেছে। জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আমিই নেতাকর্মীদের সহায়তা করে থাকি।’

এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট কে এম হোসেন আলী হাসান জানান, আমি আজ একটি পদত্যাগপত্র হাতে পেয়েছি।