প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদ ও তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘দেশের একজন প্রধানমন্ত্রী হয়ে তিনি এসব কথা বলতে পারেন না। একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দলের নেত্রীকে এভাবে বলা মানে সরাসরি হত্যার হুমকির সামিল। সেতু থেকে ফেলে দেওয়া এটা কখনো স্বাভাবিক বিষয় হতে পারে না।’
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘খালেদা জিয়া বলেছিল, জোড়াতালি দিয়ে পদ্মা সেতু বানাচ্ছে। সেতুতে যে স্প্যানগুলো বসাচ্ছে, এগুলো তার কাছে ছিল জোড়াতালি দেওয়া। বলেছিল, জোড়াতালি দিয়ে পদ্মা সেতু বানাচ্ছে, ওখানে চড়া যাবে না। চড়লে ভেঙে পড়বে। আবার তার সঙ্গে কিছু দোসরেরাও…তাদেরকে এখন কী করা উচিত? পদ্মা সেতুতে নিয়ে গিয়ে ওখান থেকে টুস করে নদীতে ফেলে দেওয়া উচিত।’-এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বৃহস্পতিবার (১৯ মে) দুপুর ৩টায় ঠঁকুরগাঁও শহরের বিএনপি কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার আয়োজনে এক মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ফখরুল।
ফখরুল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর এই উক্তির জন্য আমরা প্রচণ্ড নিন্দা জানাই এবং এরকম অরাজনৈতিক, অশালীন বক্তব্যে কখনো আশা করি না। এই ধরনের মন্তব্যে করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি না হলে এ ধরনের উক্তির জন্য আইনগত ব্যবস্থা নিব।’
বিদেশিদের সঙ্গে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত বিএনপি এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ তো নির্বাচন লুট করে নিয়ে যান। বিদেশিদের সঙ্গে তারাই যোগাযোগ করেন, আমেরিকায় গিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে সাহায্যে চেয়েছে বিএনপিকে ভোটে অংশগ্রহণ করানোর জন্য। আমরা বিদেশিদের সঙ্গে যোগাযোগ করি না, তারাই যোগাযোগ করে তার অনেক প্রমাণ রয়েছে।’
পদ্মা সেতু কারো বাপের টাকায় তৈরি না মন্তব্যে করে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের ট্যাক্সের টাকায় পদ্মা সেতু তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন খাতে মানুষের কাছে টাকা নিয়ে এই সেতু তৈরি করা হয়েছে। এখানেও তারা লুটপাট করেছে, ১০ হাজার কোটি টাকার কাজ ৪০ হাজার কোটি টাকায় করেছে।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন-জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান, শ্রমিক দলের সভাপতি আব্দুল জব্বার, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শাহদাৎ হোসেন প্রমুখ।