০২:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫, ৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
এনসিপি থেকে বহিষ্কারের পর মাহিনের বিশ্লেষণমূলক মন্তব্য নরওয়ে গবেষণা জাহাজ বঙ্গোপসাগরে মৎস্য ও ইকোসিস্টেম জরিপ শুরু করেছে বয়স হলে ভুল বোঝার ব্যাপারটা বুঝতে পারবে, তখন লজ্জিত হবে নিজেকে নিয়ন্ত্রকদের সম্পদ তদন্ত চাই দুদকের ইইউ ৪ মিলিয়ন ইউরো আর্থিক সহযোগিতা দেবে বাংলাদেশের নির্বাচন উন্নত করতে ইভেন্ট বুকিংয়ে এক বছরের জন্য ৫০% ছাড় দিচ্ছে আইসিসিএল ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার ঝিনাইদহের আওয়ামী লীগ সভাপতি পরীক্ষায় ফেল, টানা ২৬ বছর গৃহবন্দী নারীকে উদ্ধার খাদ্য মন্ত্রনালয়ের রেকর্ড পরিমাণ ধান ও চাল সংগ্রহ গাইবান্ধায় ১৪৯০ মিটার দীর্ঘ ‘মওলানা ভাসানী সেতু’ উদ্বোধন করবেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা

বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি বেসরকারি খাতের জন্য চ্যালেঞ্জিং

বর্তমানে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট এবং বিপর্যস্ত সাপ্লাই চেইন ব্যবস্থায় অবনতি হওয়ার কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতি নানামুখী চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এসব চ্যালেঞ্জের অন্যতম হচ্ছে প্রাথমিক জ্বালানি সংকট, যেহেতু আমাদের প্রাথমিক জ্বালানির উৎস মূলত আমদানিনির্ভর। সম্প্রতি খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি তুলনামূলকভাবে কম হলেও সার্বিকভাবে বেসরকারি খাতে এবং বিদ্যুৎনির্ভর শিল্পকারখানাসহ সামগ্রিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনায় অতিরিক্ত ব্যয় বোঝা হিসেবে বিবেচিত হবে।

এমনিতেই দেশের বেসরকারি খাত উচ্চ মূল্যস্ফীতি, টাকার অবমূল্যায়নসহ অন্যান্য অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের কারণে প্রতিকূল অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ঢাকা চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (ডিসিসিআই) সভাপতি ব্যারিস্টার সামীর সাত্তার এক প্রতিক্রিয়ায় এমন মত দিয়েছেন।

যদিও আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির দামে অস্থিরতার কারণে সরকারকে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে। তবে আশা করেন, সরকার স্থানীয় শিল্প ও বেসরকারি খাতের ওপর যেন বেশি মাত্রায় নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে, তা বিবেচনায় নিয়ে বিদ্যুতের দাম যৌক্তিকভাবে সমন্বয়ের লক্ষ্যে পরবর্তী সময়ে কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে। এটি দৃশ্যমান, বাংলাদেশ সরকার প্রতি মাসেই জ্বালানির দাম সমন্বয়ের পরিকল্পনা করছে এবং এ সংক্রান্ত একটি কৌশল নির্ধারণের কাজ চলছে।

তিনি সরকারের কাছে আহ্বান জানান, সরকার যেন বিদ্যুতের দাম সহনশীলভাবে এবং ক্রমান্বয়ে বাড়ায়, যাতে বেসরকারি খাত অপ্রত্যাশিত বর্ধিত ব্যয়ের বোঝা এড়াতে পারে। ব্যারিস্টার সাত্তার মনে করেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে দাম বাড়ানোর হয়তো বিকল্প নেই, তবুও সরকারের একটি অনুমানযোগ্য দাম নির্ধারণ নীতিমালা নিশ্চিত করা প্রয়োজন; যাতে এ ধরনের দাম বাড়ার কারণে সৃষ্ট প্রভাব সম্পর্কে বেসরকারি খাত আগে থেকে প্রস্তুতি গ্রহণসহ তাদের ব্যবসা পরিচালনায় কৌশলী সিদ্ধান্ত নিতে পারে। যদিও বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে, তবে চলমান পরিস্থিতি অনুকূলে এলে সরকার যেন পুনরায় এই বর্ধিত দাম হ্রাসের উদ্যোগ নেয়। বিষয়টি কোনোভাবেই একমুখী হওয়া উচিত হবে না।

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

আজ উদ্বোধন হচ্ছে মাওলানা ভাসানী সেতু

বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি বেসরকারি খাতের জন্য চ্যালেঞ্জিং

প্রকাশিতঃ ১২:৩৩:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৩

বর্তমানে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট এবং বিপর্যস্ত সাপ্লাই চেইন ব্যবস্থায় অবনতি হওয়ার কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতি নানামুখী চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এসব চ্যালেঞ্জের অন্যতম হচ্ছে প্রাথমিক জ্বালানি সংকট, যেহেতু আমাদের প্রাথমিক জ্বালানির উৎস মূলত আমদানিনির্ভর। সম্প্রতি খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি তুলনামূলকভাবে কম হলেও সার্বিকভাবে বেসরকারি খাতে এবং বিদ্যুৎনির্ভর শিল্পকারখানাসহ সামগ্রিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনায় অতিরিক্ত ব্যয় বোঝা হিসেবে বিবেচিত হবে।

এমনিতেই দেশের বেসরকারি খাত উচ্চ মূল্যস্ফীতি, টাকার অবমূল্যায়নসহ অন্যান্য অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের কারণে প্রতিকূল অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ঢাকা চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (ডিসিসিআই) সভাপতি ব্যারিস্টার সামীর সাত্তার এক প্রতিক্রিয়ায় এমন মত দিয়েছেন।

যদিও আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির দামে অস্থিরতার কারণে সরকারকে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে। তবে আশা করেন, সরকার স্থানীয় শিল্প ও বেসরকারি খাতের ওপর যেন বেশি মাত্রায় নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে, তা বিবেচনায় নিয়ে বিদ্যুতের দাম যৌক্তিকভাবে সমন্বয়ের লক্ষ্যে পরবর্তী সময়ে কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে। এটি দৃশ্যমান, বাংলাদেশ সরকার প্রতি মাসেই জ্বালানির দাম সমন্বয়ের পরিকল্পনা করছে এবং এ সংক্রান্ত একটি কৌশল নির্ধারণের কাজ চলছে।

তিনি সরকারের কাছে আহ্বান জানান, সরকার যেন বিদ্যুতের দাম সহনশীলভাবে এবং ক্রমান্বয়ে বাড়ায়, যাতে বেসরকারি খাত অপ্রত্যাশিত বর্ধিত ব্যয়ের বোঝা এড়াতে পারে। ব্যারিস্টার সাত্তার মনে করেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে দাম বাড়ানোর হয়তো বিকল্প নেই, তবুও সরকারের একটি অনুমানযোগ্য দাম নির্ধারণ নীতিমালা নিশ্চিত করা প্রয়োজন; যাতে এ ধরনের দাম বাড়ার কারণে সৃষ্ট প্রভাব সম্পর্কে বেসরকারি খাত আগে থেকে প্রস্তুতি গ্রহণসহ তাদের ব্যবসা পরিচালনায় কৌশলী সিদ্ধান্ত নিতে পারে। যদিও বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে, তবে চলমান পরিস্থিতি অনুকূলে এলে সরকার যেন পুনরায় এই বর্ধিত দাম হ্রাসের উদ্যোগ নেয়। বিষয়টি কোনোভাবেই একমুখী হওয়া উচিত হবে না।