১০:১৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ২৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
তীব্র যানজটে আটকা পড়ে সড়ক উপদেষ্টা মোটরসাইকেলে গন্তব্যে পৌঁছেছেন ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনের পাশে আবর্জনার স্তূপ ঢেকে দেওয়া হলো বিশিষ্ট উপদেষ্টার আগমনের জন্য পাঁচ দিন ধরে সাগরে ভাসমান ২৬ জেলেকে উদ্ধার করলো নৌ বাহিনী মেনন-পলক-দস্তগীরসহ চারজনের বিরুদ্ধে নতুন মামলায় গ্রেফতার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তুরস্কের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ: দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও জোরদার করার প্রত্যয় আওয়ামী লীগের বিচারকাজের জন্য আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু জয়পুরহাটের কানাইপুকুর গ্রামে বিরল শামুকখোল পাখির অভয়ারণ্য শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়ার প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন সিইসির মনে অবস্থান: এবারের নির্বাচন জীবনশেষের সুযোগ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিদায় সাক্ষাৎ জাতিসংঘের অভিবাসী সমন্বয়কের

বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি বেসরকারি খাতের জন্য চ্যালেঞ্জিং

বর্তমানে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট এবং বিপর্যস্ত সাপ্লাই চেইন ব্যবস্থায় অবনতি হওয়ার কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতি নানামুখী চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এসব চ্যালেঞ্জের অন্যতম হচ্ছে প্রাথমিক জ্বালানি সংকট, যেহেতু আমাদের প্রাথমিক জ্বালানির উৎস মূলত আমদানিনির্ভর। সম্প্রতি খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি তুলনামূলকভাবে কম হলেও সার্বিকভাবে বেসরকারি খাতে এবং বিদ্যুৎনির্ভর শিল্পকারখানাসহ সামগ্রিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনায় অতিরিক্ত ব্যয় বোঝা হিসেবে বিবেচিত হবে।

এমনিতেই দেশের বেসরকারি খাত উচ্চ মূল্যস্ফীতি, টাকার অবমূল্যায়নসহ অন্যান্য অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের কারণে প্রতিকূল অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ঢাকা চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (ডিসিসিআই) সভাপতি ব্যারিস্টার সামীর সাত্তার এক প্রতিক্রিয়ায় এমন মত দিয়েছেন।

যদিও আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির দামে অস্থিরতার কারণে সরকারকে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে। তবে আশা করেন, সরকার স্থানীয় শিল্প ও বেসরকারি খাতের ওপর যেন বেশি মাত্রায় নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে, তা বিবেচনায় নিয়ে বিদ্যুতের দাম যৌক্তিকভাবে সমন্বয়ের লক্ষ্যে পরবর্তী সময়ে কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে। এটি দৃশ্যমান, বাংলাদেশ সরকার প্রতি মাসেই জ্বালানির দাম সমন্বয়ের পরিকল্পনা করছে এবং এ সংক্রান্ত একটি কৌশল নির্ধারণের কাজ চলছে।

তিনি সরকারের কাছে আহ্বান জানান, সরকার যেন বিদ্যুতের দাম সহনশীলভাবে এবং ক্রমান্বয়ে বাড়ায়, যাতে বেসরকারি খাত অপ্রত্যাশিত বর্ধিত ব্যয়ের বোঝা এড়াতে পারে। ব্যারিস্টার সাত্তার মনে করেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে দাম বাড়ানোর হয়তো বিকল্প নেই, তবুও সরকারের একটি অনুমানযোগ্য দাম নির্ধারণ নীতিমালা নিশ্চিত করা প্রয়োজন; যাতে এ ধরনের দাম বাড়ার কারণে সৃষ্ট প্রভাব সম্পর্কে বেসরকারি খাত আগে থেকে প্রস্তুতি গ্রহণসহ তাদের ব্যবসা পরিচালনায় কৌশলী সিদ্ধান্ত নিতে পারে। যদিও বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে, তবে চলমান পরিস্থিতি অনুকূলে এলে সরকার যেন পুনরায় এই বর্ধিত দাম হ্রাসের উদ্যোগ নেয়। বিষয়টি কোনোভাবেই একমুখী হওয়া উচিত হবে না।

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

দৌলতপুরে মা ইলিশ রক্ষায় অভিযান, অবৈধ জাল জব্দ ও জেলেকে জরিমানা

বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি বেসরকারি খাতের জন্য চ্যালেঞ্জিং

প্রকাশিতঃ ১২:৩৩:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৩

বর্তমানে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট এবং বিপর্যস্ত সাপ্লাই চেইন ব্যবস্থায় অবনতি হওয়ার কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতি নানামুখী চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এসব চ্যালেঞ্জের অন্যতম হচ্ছে প্রাথমিক জ্বালানি সংকট, যেহেতু আমাদের প্রাথমিক জ্বালানির উৎস মূলত আমদানিনির্ভর। সম্প্রতি খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি তুলনামূলকভাবে কম হলেও সার্বিকভাবে বেসরকারি খাতে এবং বিদ্যুৎনির্ভর শিল্পকারখানাসহ সামগ্রিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনায় অতিরিক্ত ব্যয় বোঝা হিসেবে বিবেচিত হবে।

এমনিতেই দেশের বেসরকারি খাত উচ্চ মূল্যস্ফীতি, টাকার অবমূল্যায়নসহ অন্যান্য অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের কারণে প্রতিকূল অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ঢাকা চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (ডিসিসিআই) সভাপতি ব্যারিস্টার সামীর সাত্তার এক প্রতিক্রিয়ায় এমন মত দিয়েছেন।

যদিও আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির দামে অস্থিরতার কারণে সরকারকে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে। তবে আশা করেন, সরকার স্থানীয় শিল্প ও বেসরকারি খাতের ওপর যেন বেশি মাত্রায় নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে, তা বিবেচনায় নিয়ে বিদ্যুতের দাম যৌক্তিকভাবে সমন্বয়ের লক্ষ্যে পরবর্তী সময়ে কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে। এটি দৃশ্যমান, বাংলাদেশ সরকার প্রতি মাসেই জ্বালানির দাম সমন্বয়ের পরিকল্পনা করছে এবং এ সংক্রান্ত একটি কৌশল নির্ধারণের কাজ চলছে।

তিনি সরকারের কাছে আহ্বান জানান, সরকার যেন বিদ্যুতের দাম সহনশীলভাবে এবং ক্রমান্বয়ে বাড়ায়, যাতে বেসরকারি খাত অপ্রত্যাশিত বর্ধিত ব্যয়ের বোঝা এড়াতে পারে। ব্যারিস্টার সাত্তার মনে করেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে দাম বাড়ানোর হয়তো বিকল্প নেই, তবুও সরকারের একটি অনুমানযোগ্য দাম নির্ধারণ নীতিমালা নিশ্চিত করা প্রয়োজন; যাতে এ ধরনের দাম বাড়ার কারণে সৃষ্ট প্রভাব সম্পর্কে বেসরকারি খাত আগে থেকে প্রস্তুতি গ্রহণসহ তাদের ব্যবসা পরিচালনায় কৌশলী সিদ্ধান্ত নিতে পারে। যদিও বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে, তবে চলমান পরিস্থিতি অনুকূলে এলে সরকার যেন পুনরায় এই বর্ধিত দাম হ্রাসের উদ্যোগ নেয়। বিষয়টি কোনোভাবেই একমুখী হওয়া উচিত হবে না।