০৮:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫, ১৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
চন্দ্রনাথ পাহাড়ের উসকানিমূলক কার্যক্রমের চিহ্ন দেখামাত্র ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা আজ সম্ভাবনা বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, চলতি বছরে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা প্রায় ৩০ হাজারের কাছাকাছি সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের ৫৬তম সীমান্ত সম্মেলনের যৌথ বিবৃতিতে উদ্বেগ, সমাধান ও যৌথ অংশগ্রহণের বার্তা আজ কক্সবাজারে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে অংশীজন সংলাপ শুরু দেশে সাংবাদিক ও বুদ্ধিজীবীদের আত্মহননের ঘটনা বেড়ে যাচ্ছে ডিসেম্বরের মধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সাড়ে ১৩ হাজার শিক্ষক নিয়োগের পরিকল্পনা খুলনায় পলিথিন জব্দ, তিন প্রতিষ্ঠানকে অর্থদণ্ড ২৬টি রাজনৈতিক দল জুলাই সনদ পর্যালোচনা করে মতামত জমা দিল

চন্দ্রনাথ পাহাড়ের উসকানিমূলক কার্যক্রমের চিহ্ন দেখামাত্র ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী চন্দ্রনাথ পাহাড়ে উসকানিমূলক কার্যক্রমের কোনো ছায়া দেখা মাত্রই দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন সরকারছাড়ের তিন উপদেষ্টা। গতকাল বুধবার রেলভবনে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে তারা এই নির্দেশ দেন। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার এবং ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন। পরবর্তীতে তাদের মধ্যে বৈঠকের ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে একজন প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত পাঁচ বছর ধরে মন্দিরের আশপাশে বিভিন্ন ধরনের উসকানিমূলক কার্যক্রম দেখা যাচ্ছে। এসব কর্মকাণ্ড সম্প্রীতির পরিবেশ নষ্টের অপচেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে তারা মাঠ প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন। কোনো উসকানিমূলক চিহ্ন দেখা মাত্রই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়। কমিটির সদস্যরা বলেন, পাহাড়ে অবস্থিত মন্দিরে যাতায়াতের জন্য সিঁড়ির সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে। তারা উল্লেখ করেন, বর্তমানে সিঁড়িগুলি খুবই খারাপ অবস্থায়, যা দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তারা চট্টগ্রামের স্থানীয় সরকারের সচিব রেজাউল মাকছুদ জাহেদীকে ফোন করে বিষয়টি জানান উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান। বৈঠকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, আওয়ামী সরকারের মূল লক্ষ্য হচ্ছে ধর্ম, বর্ণ ও শ্রেণি নির্বিশেষে একটি বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের কাজ। অন্যদিকে, ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, যারা অন্য ধর্মের মানুষের স্থাপনায় আঘাত করে, তারা কখনোই ধার্মিক হতে পারেন না। এ ধরনের অপরাধই ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্ট করে। তিনি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনারা আপনার দাবিগুলো মন্ত্রণালয়ে হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের কাছে পাঠান, আমরা উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করব। রেল উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেন, চন্দ্রনাথ মন্দিরের সাথে ইতিহাস ও ঐতিহ্য জড়িত। আমাদের সম্প্রীতি বিনষ্ট হতে পারে, এমন কোনো উসকানিমূলক কার্যক্রম আমরা বরদাশত করব না। কোনো উসকানির সন্ধান পেলেই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

চন্দ্রনাথ পাহাড়ের উসকানিমূলক কার্যক্রমের চিহ্ন দেখামাত্র ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ

প্রকাশিতঃ ১০:৪৬:৪২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী চন্দ্রনাথ পাহাড়ে উসকানিমূলক কার্যক্রমের কোনো ছায়া দেখা মাত্রই দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন সরকারছাড়ের তিন উপদেষ্টা। গতকাল বুধবার রেলভবনে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে তারা এই নির্দেশ দেন। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার এবং ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন। পরবর্তীতে তাদের মধ্যে বৈঠকের ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে একজন প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত পাঁচ বছর ধরে মন্দিরের আশপাশে বিভিন্ন ধরনের উসকানিমূলক কার্যক্রম দেখা যাচ্ছে। এসব কর্মকাণ্ড সম্প্রীতির পরিবেশ নষ্টের অপচেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে তারা মাঠ প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন। কোনো উসকানিমূলক চিহ্ন দেখা মাত্রই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়। কমিটির সদস্যরা বলেন, পাহাড়ে অবস্থিত মন্দিরে যাতায়াতের জন্য সিঁড়ির সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে। তারা উল্লেখ করেন, বর্তমানে সিঁড়িগুলি খুবই খারাপ অবস্থায়, যা দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তারা চট্টগ্রামের স্থানীয় সরকারের সচিব রেজাউল মাকছুদ জাহেদীকে ফোন করে বিষয়টি জানান উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান। বৈঠকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, আওয়ামী সরকারের মূল লক্ষ্য হচ্ছে ধর্ম, বর্ণ ও শ্রেণি নির্বিশেষে একটি বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের কাজ। অন্যদিকে, ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, যারা অন্য ধর্মের মানুষের স্থাপনায় আঘাত করে, তারা কখনোই ধার্মিক হতে পারেন না। এ ধরনের অপরাধই ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্ট করে। তিনি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনারা আপনার দাবিগুলো মন্ত্রণালয়ে হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের কাছে পাঠান, আমরা উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করব। রেল উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেন, চন্দ্রনাথ মন্দিরের সাথে ইতিহাস ও ঐতিহ্য জড়িত। আমাদের সম্প্রীতি বিনষ্ট হতে পারে, এমন কোনো উসকানিমূলক কার্যক্রম আমরা বরদাশত করব না। কোনো উসকানির সন্ধান পেলেই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।