চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসে সৌদি আরবের রিয়াদে অনুষ্ঠিত হবে ফিফা ই-বিশ্বকাপের মূল আসর। এর আগে ই-ফুটবল সম্পর্কিত বিভিন্ন বিভাগে বাছাই পর্ব অনুষ্ঠিত হবে, যার অন্যতম হলো ই-ফুটবল কনসোল, মোবাইলের পাশাপাশি রকেট লীগ। এই প্রতিযোগিতাগুলি অক্টোবর মাসে অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে বাংলাদেশের খেলোয়াড়েরা প্রথমবারের মতো অংশগ্রহণের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) দেশের এই বিশেষ বহুসংখ্যক ও বৈচিত্র্যময় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের লক্ষ্য নিয়ে প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। আগামী ৫ সেপ্টেম্বর, ২০ সেপ্টেম্বর এবং ৫ অক্টোবর তিন ধাপে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিভাগের বাছাইপর্ব অনুষ্ঠিত হবে। এই বাছাই থেকে নির্বাচিত খেলোয়াড়রা এশিয়া-ইস্ট এবং ওশেনিয়া অঞ্চলের অনলাইন রিজিওনাল কোয়ালিফায়ার্সে দেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন। সেখানে সেরা তিনটি দলের মধ্যে কনসোল বিভাগে তিনজন এবং মোবাইল বিভাগে চারজন খেলোয়াড় সরাসরি ফিফা ই-বিশ্বকাপে রিয়াদে অংশগ্রহণের টিকিট লাভ করবেন।
গত রোববার বাফুফে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে সভাপতি তাবিথ আউয়াল বলেন, ‘আমরা নতুন এক যাত্রার শুরু করলাম, যা হলো ই-স্পোর্টসের জগৎ। সকল খেলা এখনই ই-স্পোর্টসের আওতায় চলে এসেছে, এবং আমরা মূলত ফুটবল কেবল এতে সম্পৃক্ত থাকব। আমাদের আশা, অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও এ খাতে দ্রুত অগ্রসর হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘একসময় ই-স্পোর্টসকে কেবল বিনোদনের অংশ হিসেবে দেখা হলেও এখন এটি বিশ্বজুড়ে প্রতিযোগিতামূলক ও অর্থবাণিজ্যিক ক্ষেত্র। বাংলাদেশের গেমাররা যদি তাদের দক্ষতা দেখাতে পারে, তাহলে আমরা শীঘ্রই আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিজেদের স্থান করে নেব।’
বাংলাদেশের গেমার এবং ই-স্পোর্টস খেলার ক্ষেত্রে নতুন অর্জন হিসেবে গত ১৩ জুলাই যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ই-স্পোর্টসকে সরকারি স্বীকৃতি প্রদান করে। এই স্বীকৃতি বাংলাদেশের ই-স্পোর্টসের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল করে তুলছে, যা দেশের তরুণ জাগরণের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।