০২:৪৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
আন্তর্জাতিকভাবে দাবি জানানোয় বন্দিদের মুক্তি ঘোষণা বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দেশবাসীর দোয়ার আবেদন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্কটকালে মায়ের স্নেহ পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা আমারও: তারেক রহমান মৌসুমি সবজি বাজারে ভরপুর, দাম কমে গেছে উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ সভায় খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনায় দোয়া ও মোনাজাত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের জন্য ভর্তুকির দাবি আরব আমিরাতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া ২৪ ব্যক্তির মুক্তি আসছে বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা মনের আকাঙ্ক্ষা ও রাজনৈতিক বাস্তবতার মধ্যে দ্বন্দ্ব: তারেক রহমানের মন্তব্য বাজারে মৌসুমি সবজির সরবরাহ বৃদ্ধি ও দাম কমে যাচ্ছে

বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের ৫৬তম সীমান্ত সম্মেলনের যৌথ বিবৃতি ও গুরুত্ব

আজ শেষ হয়েছে চার দিনব্যাপী (আগস্ট ২৫-২৮) বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের ৫৬তম সীমান্ত সম্মেলন। এই সম্মেলনে দুই পক্ষের প্রতিনিধিরা গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা ও বহু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন যাতে সীমান্তে শান্তি ও নিরাপত্তা অটুট রাখা যায়। বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে মহামান্য বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী নেতৃত্ব দেন, যার সাথে ছিলেন বিস্তারিত কর্মকর্তাদের দল। ভারতীয় প্রতিনিধিদলে ছিলেন বিএসএফ মহাপরিচালক শ্রী দালজিৎ সিং চৌধুরী এবং ভারতের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা সকলেই। সম্মেলনের মূল অংশ ছিল সীমান্তে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা ও সমাধানের জন্য সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণ। বিশেষ করে সীমান্তে নিরীহ বাংলাদেশির ওপর অপরাধমূলক হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। বিএসএফের পক্ষ থেকে সতর্কতা ও নিরাপত্তা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। পাশাপাশি, অবৈধ অনুপ্রবেশ, মাদক ও চোরাচালান প্রতিরোধে যৌথ পরিকল্পনা এবং তথ্য শেয়ার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সীমান্তে অবৈধ কার্যকলাপ বন্ধ ও আন্তঃসীমান্ত অপরাধ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য উভয় পক্ষ একমত। সীমান্তে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে এবং ভবিষ্যতে কোনো ভুল বোঝাবুঝি এড়াতে একসাথে কাজ করার অঙ্গীকার করেন তারা। এছাড়া, সীমান্তের নিখুঁত সীমানা নির্ধারণে নজর দেওয়া, উন্নয়নমূলক কাজের ত্বরিত সম্পন্নকরণ এবং সীমান্তে অপ্রয়োজনীয় কর্মকাণ্ড বন্ধ করার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। ভারতীয় পক্ষের কাছ থেকে দহগ্রাম সংযোগের জন্য দ্রুত অটপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক স্থাপনের আশ্বাস পাওয়া যায়। উভয় পক্ষ আবারও জোর দেন যে, সীমান্তে শত্রু সম্প্রদায় বা অগ্নিসংযোগী গোষ্ঠীদের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অব্যাহত থাকবে। ভবিষ্যতে কোনো আকাশসীমা লঙ্ঘন ও ভুল বোঝাবুঝি এড়াতে রিয়েল-টাইম তথ্য শেয়ারিং ও সংবাদ মাধ্যমে বিভ্রান্তি রোধে সচেতনতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সম্মেলনের শেষে মহাপরিচালকরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ও সীমান্তে শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্য একসাথে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন।

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের ৫৬তম সীমান্ত সম্মেলনের যৌথ বিবৃতি ও গুরুত্ব

প্রকাশিতঃ ১০:৪৬:৩৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৫

আজ শেষ হয়েছে চার দিনব্যাপী (আগস্ট ২৫-২৮) বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের ৫৬তম সীমান্ত সম্মেলন। এই সম্মেলনে দুই পক্ষের প্রতিনিধিরা গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা ও বহু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন যাতে সীমান্তে শান্তি ও নিরাপত্তা অটুট রাখা যায়। বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে মহামান্য বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী নেতৃত্ব দেন, যার সাথে ছিলেন বিস্তারিত কর্মকর্তাদের দল। ভারতীয় প্রতিনিধিদলে ছিলেন বিএসএফ মহাপরিচালক শ্রী দালজিৎ সিং চৌধুরী এবং ভারতের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা সকলেই। সম্মেলনের মূল অংশ ছিল সীমান্তে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা ও সমাধানের জন্য সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণ। বিশেষ করে সীমান্তে নিরীহ বাংলাদেশির ওপর অপরাধমূলক হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। বিএসএফের পক্ষ থেকে সতর্কতা ও নিরাপত্তা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। পাশাপাশি, অবৈধ অনুপ্রবেশ, মাদক ও চোরাচালান প্রতিরোধে যৌথ পরিকল্পনা এবং তথ্য শেয়ার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সীমান্তে অবৈধ কার্যকলাপ বন্ধ ও আন্তঃসীমান্ত অপরাধ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য উভয় পক্ষ একমত। সীমান্তে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে এবং ভবিষ্যতে কোনো ভুল বোঝাবুঝি এড়াতে একসাথে কাজ করার অঙ্গীকার করেন তারা। এছাড়া, সীমান্তের নিখুঁত সীমানা নির্ধারণে নজর দেওয়া, উন্নয়নমূলক কাজের ত্বরিত সম্পন্নকরণ এবং সীমান্তে অপ্রয়োজনীয় কর্মকাণ্ড বন্ধ করার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। ভারতীয় পক্ষের কাছ থেকে দহগ্রাম সংযোগের জন্য দ্রুত অটপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক স্থাপনের আশ্বাস পাওয়া যায়। উভয় পক্ষ আবারও জোর দেন যে, সীমান্তে শত্রু সম্প্রদায় বা অগ্নিসংযোগী গোষ্ঠীদের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অব্যাহত থাকবে। ভবিষ্যতে কোনো আকাশসীমা লঙ্ঘন ও ভুল বোঝাবুঝি এড়াতে রিয়েল-টাইম তথ্য শেয়ারিং ও সংবাদ মাধ্যমে বিভ্রান্তি রোধে সচেতনতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সম্মেলনের শেষে মহাপরিচালকরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ও সীমান্তে শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্য একসাথে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন।