০২:৪০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তির প্রত্যাশা চিফ প্রসিকিউটরের তিন দলের সঙ্গে আজ বিশেষ বৈঠক করছেন ড. ইউনূস নবজাতক নবীনমা হাসপাতালের বেডে একা পড়ে থাকায় চাঞ্চল্য নওগাঁয় বায়ুদূষণে শীর্ষ পাঁচ শহরের চারটি মধ্যপ্রাচ্যের, ঢাকার বাতাস এখনও ‘মাঝারি’ ভৈরবে অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ১০ কোটি টাকার ক্ষতি সম্ভাবনা বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের ৫৬তম সীমান্ত সম্মেলনের যৌথ বিবৃতি ও গুরুত্ব জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক চর্চায় নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে গুম প্রতিরোধে মৃত্যুদণ্ডসহ কঠোর আইন চূড়ান্ত খসড়া অনুমোদন রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের পদমর্যাদাক্রম নিয়ে আপিল শুনানি ৪ নভেম্বর নুরের ওপর হামলার ঘটনায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নিন্দা

তিন দলের সঙ্গে আজ বিশেষ বৈঠক করছেন ড. ইউনূস

আজ রোববার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস তিনটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করবেন। এই বৈঠকগুলো মাল্টি-লেভেল রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আগামী সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে জানান দিতে গুরুত্বপূর্ণ। বিকেল তিনটায় বিএনপির সঙ্গে প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এরপর সাড়ে ৪টায় জামায়াতের নেতাদের সঙ্গে এবং সন্ধ্যা ৬টায় নারাজিপন্থী দল এনসিপির সঙ্গে আলোচনা হবে। জানানো হয়েছে, শনিবার বিকালে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন জামে নদী এলাকার সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য প্রকাশ করেন তাঁর প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

প্রসঙ্গত, গত ২২ জুলাই বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি এবং ইসলামী আন্দোলনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন ড. ইউনূস। ওইদিনের বৈঠকগুলোতে তিনি সবাইকে একত্রে থাকার আহ্বান জানান। এর আগে ২১ জুলাই বিমান দুর্ঘটনায় নিহতের ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করে দেশবাসীর প্রতি সহমর্মিতা জানান তিনি। এরপরের দিনগুলোতেও সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করে ঐক্যবদ্ধ থাকার বার্তা দেন তিনি।

অভ্যুত্থানের পর, গত বছরের ৮ আগস্ট, ড. ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করে। ওই বছরের ১১ আগস্ট প্রথমবারের মতো তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেন। এর পর থেকেই রাজনৈতিক উত্তেজনা প্রশমিত করতে বিভিন্ন দলকে একত্রে আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। গত এক বছরে বিএনপি এবং জামায়াতের সঙ্গে মোট পাঁচবার করে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অন্যদিকে, শুক্রবার ঢাকায় জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের পর পুলিশ ও সেনাসদস্যরা নুরুল হক নুরের উপর হামলা করে। গুরুতর আহত এই গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি মাথায় আঘাত পেয়ে নাকের হাড় ভেঙে গেছে। এই ঘটনার পর, আবারো রাজনৈতিক সমঝোতার প্রয়োজনে দলগুলোকে ডেকে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ভবিষ্যতে অন্য রাজনৈতিক দলগুলোকেও বৈঠকে ডাকার সম্ভাবনার কথাও বলা হয়েছে।

প্রেস ব্রিফিংয়ে সরকারের পক্ষ থেকে নুরের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়ে তাদের দায়ীদের শাস্তির আওতায় আনার ঘোষণা দেওয়া হয়। এছাড়াও, বিচারবিভাগীয় তদন্তের অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়েছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচনের ব্যাপারে সরকার নিশ্চিত করেছে। তবে, ভোটের তারিখ নিয়ে বিভিন্ন বিরোধ থাকলেও সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। বিএনপির একজন সিনিয়র নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আল্লাহ ছাড়া এই নির্বাচন ঠেকানোর কেউ পারে না।

আসন্ন বৈঠকে অংশগ্রহণের জন্য এনসিপির সহকারী যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব জানিয়েছেন। জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের জানান, নির্বাচনের পথে রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা চলছে। জামায়াত মূলত ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের দাবি তুলেছিল। তবে তারা নির্বাচন বিষয়ে কোনো আপত্তি করছেন না, যদি আগে ৭ জুলাইয়ের নির্বাচনী সনদ বাস্তবায়ন হয় এবং ভোট পেপার রিডার পদ্ধতিতে হয়।

এর আগে, প্রধান উপদেষ্টা ও তাঁর সমর্থক দলের বৈঠকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান ও স্বরাষ্ট্রবিষয়ক বিশেষ সহকারী খোদা বখস চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। সেখানে নুরের ওপর হামলার ঘটনায় বিস্তারিত আলোচনা হয়। ঐ বৈঠক থেকেই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে জানানো হয়, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, যা অন্তর্বর্তী সরকারের অঙ্গীকার। সরকারের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়, কোনও ষড়যন্ত্র বা বাধা থাকলেও তা শক্তি দিয়ে মোকাবেলা করবে তারা। নির্বাচন বিলম্ব বা বানচাল করতে যেকোনো অপচেষ্টা কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদে এসেছেন রেকর্ড টাকা দু’বারের বেশি দান

তিন দলের সঙ্গে আজ বিশেষ বৈঠক করছেন ড. ইউনূস

প্রকাশিতঃ ১০:৪৬:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৫

আজ রোববার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস তিনটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করবেন। এই বৈঠকগুলো মাল্টি-লেভেল রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আগামী সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে জানান দিতে গুরুত্বপূর্ণ। বিকেল তিনটায় বিএনপির সঙ্গে প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এরপর সাড়ে ৪টায় জামায়াতের নেতাদের সঙ্গে এবং সন্ধ্যা ৬টায় নারাজিপন্থী দল এনসিপির সঙ্গে আলোচনা হবে। জানানো হয়েছে, শনিবার বিকালে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন জামে নদী এলাকার সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য প্রকাশ করেন তাঁর প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

প্রসঙ্গত, গত ২২ জুলাই বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি এবং ইসলামী আন্দোলনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন ড. ইউনূস। ওইদিনের বৈঠকগুলোতে তিনি সবাইকে একত্রে থাকার আহ্বান জানান। এর আগে ২১ জুলাই বিমান দুর্ঘটনায় নিহতের ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করে দেশবাসীর প্রতি সহমর্মিতা জানান তিনি। এরপরের দিনগুলোতেও সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করে ঐক্যবদ্ধ থাকার বার্তা দেন তিনি।

অভ্যুত্থানের পর, গত বছরের ৮ আগস্ট, ড. ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করে। ওই বছরের ১১ আগস্ট প্রথমবারের মতো তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেন। এর পর থেকেই রাজনৈতিক উত্তেজনা প্রশমিত করতে বিভিন্ন দলকে একত্রে আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। গত এক বছরে বিএনপি এবং জামায়াতের সঙ্গে মোট পাঁচবার করে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অন্যদিকে, শুক্রবার ঢাকায় জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের পর পুলিশ ও সেনাসদস্যরা নুরুল হক নুরের উপর হামলা করে। গুরুতর আহত এই গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি মাথায় আঘাত পেয়ে নাকের হাড় ভেঙে গেছে। এই ঘটনার পর, আবারো রাজনৈতিক সমঝোতার প্রয়োজনে দলগুলোকে ডেকে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ভবিষ্যতে অন্য রাজনৈতিক দলগুলোকেও বৈঠকে ডাকার সম্ভাবনার কথাও বলা হয়েছে।

প্রেস ব্রিফিংয়ে সরকারের পক্ষ থেকে নুরের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়ে তাদের দায়ীদের শাস্তির আওতায় আনার ঘোষণা দেওয়া হয়। এছাড়াও, বিচারবিভাগীয় তদন্তের অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়েছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচনের ব্যাপারে সরকার নিশ্চিত করেছে। তবে, ভোটের তারিখ নিয়ে বিভিন্ন বিরোধ থাকলেও সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। বিএনপির একজন সিনিয়র নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আল্লাহ ছাড়া এই নির্বাচন ঠেকানোর কেউ পারে না।

আসন্ন বৈঠকে অংশগ্রহণের জন্য এনসিপির সহকারী যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব জানিয়েছেন। জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের জানান, নির্বাচনের পথে রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা চলছে। জামায়াত মূলত ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের দাবি তুলেছিল। তবে তারা নির্বাচন বিষয়ে কোনো আপত্তি করছেন না, যদি আগে ৭ জুলাইয়ের নির্বাচনী সনদ বাস্তবায়ন হয় এবং ভোট পেপার রিডার পদ্ধতিতে হয়।

এর আগে, প্রধান উপদেষ্টা ও তাঁর সমর্থক দলের বৈঠকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান ও স্বরাষ্ট্রবিষয়ক বিশেষ সহকারী খোদা বখস চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। সেখানে নুরের ওপর হামলার ঘটনায় বিস্তারিত আলোচনা হয়। ঐ বৈঠক থেকেই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে জানানো হয়, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, যা অন্তর্বর্তী সরকারের অঙ্গীকার। সরকারের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়, কোনও ষড়যন্ত্র বা বাধা থাকলেও তা শক্তি দিয়ে মোকাবেলা করবে তারা। নির্বাচন বিলম্ব বা বানচাল করতে যেকোনো অপচেষ্টা কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে বলে জানানো হয়েছে।