০৪:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫, ২৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
শুক্রবারের মধ্যে জুলাই সংবিধানের চূড়ান্ত রোডম্যাপ প্রকাশের আশা স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোট নভেম্বরের মধ্যে চায় জামায়াত হাসিনার বিরুদ্ধে আজ সাক্ষ্য দেবেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ এনবিআরের সিদ্ধান্ত: এমপি কোটার ৩০ বিলাসবহুল গাড়ি নিলামে বিক্রির পরিবর্তে হস্তান্তর তীব্র যানজটে আটকা পড়ে সড়ক উপদেষ্টা মোটরসাইকেলে গন্তব্যে পৌঁছেছেন ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনের পাশে আবর্জনার স্তূপ ঢেকে দেওয়া হলো বিশিষ্ট উপদেষ্টার আগমনের জন্য পাঁচ দিন ধরে সাগরে ভাসমান ২৬ জেলেকে উদ্ধার করলো নৌ বাহিনী মেনন-পলক-দস্তগীরসহ চারজনের বিরুদ্ধে নতুন মামলায় গ্রেফতার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তুরস্কের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ: দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও জোরদার করার প্রত্যয়

বাংলাদেশ ফুটবল দল নেপাল থেকে দেশে ফিরলো

তিন দিনের অপেক্ষার পর অবশেষে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল দেশের সীমান্তে ফিরল। বিশেষ ফ্লাইটে তারা নেপালের কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিকেল সাড়ে ৪টায় ঢাকার কুর্মিটোলা সামরিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। এ সময় দলের সদস্যরা এর মধ্যে একই ফ্লাইটে দেশের ফিরেছে নেপালে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ-নেপাল ম্যাচের খবর সংগ্রহে থাকা গণমাধ্যমকর্মীরাও।

সকাল থেকে কাঠমান্ডুর ক্রাউন ইম্পিরিয়াল হোটেল থেকে বের হয়ে স্থানীয় সময় সোয়া ৮টার দিকে বিমানবন্দরে পৌঁছায় বাংলাদেশ দল। ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করে বিকেল ২টার কিছু আগে তারা দেশের জন্য বিমান ধরেন।

প্রেসিডেন্টের অনুমতি ও দেশান্তরের সংকটের কারণে দেশের সঙ্গে যোগাযোগের ব্যবস্থা বাধাপ্রাপ্ত হয়। গত মঙ্গলবার নেপালে দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা ও সহিংসতার কারণে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখা দেয়। সরকারবিরোধী এই আন্দোলনে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর চলে – রাজনীতিবিদদের বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়, গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ভবন ও পার্লামেন্ট অগ্নিসংযোগের শিকার হয়। দুই দিনের এই সহিংসতায় নয়জনেরও বেশি নিহত হয়, এবং এর জেরে ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বন্ধ করে দেয় সরকার।

বাংলাদেশ দল ৩ সেপ্টেম্বর নেপাল সফরে যায়। এরপর ৬ সেপ্টেম্বর তারা নেপালের বিপক্ষে একটি প্রীতি ম্যাচ খেলেন। এরপর অপ্রত্যাশিত বিক্ষোভ ও সহিংসতার কারণে ৯ সেপ্টেম্বরের ম্যাচ বাতিল বা পিছিয়ে যায়, আর হোটেল-বন্দী করে রাখতে হয় খেলোয়াড়, কোচ ও স্টাফদের। বুধবার সন্ধ্যার পর পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে কর্তৃপক্ষ বিমানবন্দর খুলে দেয়। ফুটবলাররা চেয়েছিলেন রাতেই ফিরতে, তবে শেষ পর্যন্ত বিশেষ ফ্লাইটের মাধ্যমে আজ তারা কাঠমান্ডু থেকে ঢাকায় ফিরে আসতে সক্ষম হন। ওই ৩২ জনের মধ্যে খেলার ছয়জন সদস্য, কোচ, স্টাফ ও অন্যান্য কর্মকর্তাও রয়েছেন।

বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের পরবর্তী লক্ষ্য এখন এশিয়ান কাপ বাছাইপর্ব। আগামী অক্টোবরে হংকংয়ের বিপক্ষে দুই ম্যাচ খেলবে তারা। প্রথমটি ৯ অক্টোবর ঢাকায়, দ্বিতীয়টি ১৪ অক্টোবর হংকংয়ে অনুষ্ঠিত হবে।

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ ফুটবল দল নেপাল থেকে দেশে ফিরলো

প্রকাশিতঃ ১০:৫২:৩৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

তিন দিনের অপেক্ষার পর অবশেষে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল দেশের সীমান্তে ফিরল। বিশেষ ফ্লাইটে তারা নেপালের কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিকেল সাড়ে ৪টায় ঢাকার কুর্মিটোলা সামরিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। এ সময় দলের সদস্যরা এর মধ্যে একই ফ্লাইটে দেশের ফিরেছে নেপালে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ-নেপাল ম্যাচের খবর সংগ্রহে থাকা গণমাধ্যমকর্মীরাও।

সকাল থেকে কাঠমান্ডুর ক্রাউন ইম্পিরিয়াল হোটেল থেকে বের হয়ে স্থানীয় সময় সোয়া ৮টার দিকে বিমানবন্দরে পৌঁছায় বাংলাদেশ দল। ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করে বিকেল ২টার কিছু আগে তারা দেশের জন্য বিমান ধরেন।

প্রেসিডেন্টের অনুমতি ও দেশান্তরের সংকটের কারণে দেশের সঙ্গে যোগাযোগের ব্যবস্থা বাধাপ্রাপ্ত হয়। গত মঙ্গলবার নেপালে দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা ও সহিংসতার কারণে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখা দেয়। সরকারবিরোধী এই আন্দোলনে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর চলে – রাজনীতিবিদদের বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়, গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ভবন ও পার্লামেন্ট অগ্নিসংযোগের শিকার হয়। দুই দিনের এই সহিংসতায় নয়জনেরও বেশি নিহত হয়, এবং এর জেরে ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বন্ধ করে দেয় সরকার।

বাংলাদেশ দল ৩ সেপ্টেম্বর নেপাল সফরে যায়। এরপর ৬ সেপ্টেম্বর তারা নেপালের বিপক্ষে একটি প্রীতি ম্যাচ খেলেন। এরপর অপ্রত্যাশিত বিক্ষোভ ও সহিংসতার কারণে ৯ সেপ্টেম্বরের ম্যাচ বাতিল বা পিছিয়ে যায়, আর হোটেল-বন্দী করে রাখতে হয় খেলোয়াড়, কোচ ও স্টাফদের। বুধবার সন্ধ্যার পর পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে কর্তৃপক্ষ বিমানবন্দর খুলে দেয়। ফুটবলাররা চেয়েছিলেন রাতেই ফিরতে, তবে শেষ পর্যন্ত বিশেষ ফ্লাইটের মাধ্যমে আজ তারা কাঠমান্ডু থেকে ঢাকায় ফিরে আসতে সক্ষম হন। ওই ৩২ জনের মধ্যে খেলার ছয়জন সদস্য, কোচ, স্টাফ ও অন্যান্য কর্মকর্তাও রয়েছেন।

বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের পরবর্তী লক্ষ্য এখন এশিয়ান কাপ বাছাইপর্ব। আগামী অক্টোবরে হংকংয়ের বিপক্ষে দুই ম্যাচ খেলবে তারা। প্রথমটি ৯ অক্টোবর ঢাকায়, দ্বিতীয়টি ১৪ অক্টোবর হংকংয়ে অনুষ্ঠিত হবে।