বিশ্বব্যাপী ব্যবসার ধরন hızে বদলাচ্ছে এআই (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স) এবং আইওটি (ইন্টারনেট অব থিংস) ভিত্তিক নতুন প্রযুক্তি ও পণ্যসমূহের মাধ্যমে। আগে যেখানে ব্যবসা মানে ছিল উৎপাদন, ট্র্যাডিশনাল মার্কেটিং এবং সেলস, বর্তমানে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ছাড়া একটি আধুনিক ব্যবসার কল্পনাই সম্ভব নয়। এ পরিবর্তনের সঙ্গে অবিচ্ছিন্নভাবে স্থান করে নিচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও আইওটি প্রযুক্তি। এই ক্ষেত্রের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় সম্প্রতি ‘সার্ভিসিং২৪’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও আইওটি কনসালটেন্সি কেন্দ্রিক নতুন সেবা চালু করেছে।
বর্তমানে ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডে ডেটার ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গ্রাহক ও ব্যবসায়ের বৃহৎ ডেটা ভাণ্ডার কাজে লাগিয়ে এআই ও আইওটি বিভিন্ন প্রযুক্তি ডিভাইস ও সিস্টেমকে রিয়েল-টাইমে মনিটর করে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ, ব্যবসার বিকাশ ও মুনাফা বাড়ানো সহজ করে তুলছে।
তবে, একটি প্রতিষ্ঠান এ ধরনের সেবা নেওয়ার জন্য কিছু প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হয়। এর মধ্যে রয়েছে ডেটা সংগ্রহ ও ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা অর্জন, সঠিক ইন্ফ্রাস্ট্রাকচার (সার্ভার, স্টোরেজ, নেটওয়ার্ক) তৈরি, কর্মীদের ডিজিটাল স্কিল উন্নয়ন এবং সাইবার সেকিউরিটির উন্নত মান বজায় রাখা।
ব্যবসায়িক ডিজিটালাইজেশনের এই প্রক্রিয়ার অনেক সুফল রয়েছে। এর মাধ্যমে কাস্টমার বেহেভিয়ার থেকে শুরু করে প্রোডাকশন প্ল্যান—allের মধ্যে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া, অটোমেশনের মাধ্যমে কম জনবল দিয়ে বড় আকারের কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব। এর ফলে খরচ সাশ্রয় হয়, ম্যানুয়াল ত্রুটি কমে যায়, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পায়, সুরক্ষা শক্তিশালী হয় এবং সাইবার হামলা প্রতিরোধ সহজ হয়। এর মাধ্যমে কেবল গ্রাহক সন্তুষ্টিই বৃদ্ধি পায় না, বরং গ্রাহকরা পাচ্ছেন নিরবচ্ছিন্ন ও উন্নত সেবা।
‘সার্ভিসিং২৪’ এর নতুন এই সেবা প্রস্তাবনায় রয়েছে একটি ব্যবসার ডিজিটাল রূপান্তর পরিকল্পনা তৈরি, এআই ভিত্তিক ডেটা অ্যানালাইসিস ও অটোমেশন স্থাপন, আইওটি ইন্টিগ্রেশনের মাধ্যমে সার্ভার, স্টোরেজ ও নেটওয়ার্ককে স্মার্টভাবে সংযুক্ত করা, সাইবার সিকিউরিটি আরও শক্তিশালী করা, ক্লাউড ও হাইব্রিড অবকাঠামো ব্যবস্থাপনা সহজ করা, রিয়েল-টাইমে সিস্টেম নিয়ন্ত্রণ ও মনিটরিং, উদ্ভাবনী সহযোগিতা ও দ্রুততম সাপোর্ট প্রদান।
সার্ভিসিং২৪-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নাসির ফিরোজ বলেন, “আমরা এআই এবং আইওটি কনসালটেন্সি সেবার মাধ্যমে আমাদের গ্রাহকদের ব্যবসা বিস্তারে সহায়তা দিতে পারব বলে আমরা আশাবাদী। এতে তাদের খরচ কমে যাবে, মুনাফা বাড়বে, তাঁদের ব্যবসা আরও ভবিষ্যত-প্রস্তুত ও প্রতিযোগিতামূলক হয়ে উঠবে। নতুন নতুন সেবার মাধ্যমে গ্রাহকদের পাশে থাকার অঙ্গীকারই আমাদের লক্ষ্য।”