ক্রিকেটের বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের ইতিহাসে নতুন অধ্যায় যোগ করতে যাচ্ছেন জেসি — দেশের প্রথম নারী আম্পায়ার হিসেবে একটি বড় আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে দায়িত্ব পালন করবেন তিনি। এই তারকা আম্পায়ার নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে ৯ ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব সামলাবেন, যা বাংলাদেশের পক্ষে গর্বের বিষয়। ভারতের গুয়াহাটিতে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর শুরু হবে এই ৮ দলীয় টুর্নামেন্ট, যেখানে সব ম্যাচে নারীরা প্রতিনিধিত্ব করবেন কর্তৃত্বের পরিচয় দিয়ে। এই বিশ্বকাপে মোট ১৪ জন নারী আম্পায়ার কাজ করবেন, যার মধ্যে জেসি ৫ ম্যাচে অনফিল্ড আম্পায়ার হিসেবে থাকবেন। এছাড়া দুটি ম্যাচের জন্য টিভি আম্পায়ার এবং একটি ম্যাচের চতুর্থ আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন তিনি। এখন প্রথম ধাপের ম্যাচের জন্য আইসিসি কর্তৃপক্ষ প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করেছে, সুপারিশ অনুযায়ী সেমিফাইনাল ও ফাইনালের জন্য আলাদা নাম পরে জানানো হবে।
বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে ৩০ সেপ্টেম্বর গুয়াহাটিতে, যেখানে ভারত একাদশ শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হবে। এই ম্যাচে প্রথমবারের মতো চতুর্থ আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন জেসি। গ্রাউন্ডে মাঠের আম্পায়ার হিসেবে তিনি পাঁচ ম্যাচে দায়িত্ব পালন করবেন।
বিশ্বকাপের অন্যান্য ম্যাচগুলোতেও জেসির উপস্থিতি দেখা যাবে। তিনি ৩ অক্টোবর ইন্দোরে ইংল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকা, ৬ অক্টোবর ইন্দোরে নিউজিল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকা, ১৫ অক্টোবর কলম্বোতে ইংল্যান্ড-পাকিস্তান এবং ২৬ অক্টোবর বিশাখাপত্তনমে ইংল্যান্ড-নিউজল্যান্ডের ম্যাচে মাঠে থাকবেন। উদ্বোধনী ম্যাচের পর, ১১ অক্টোবর কলম্বোতে শ্রীলঙ্কা-ইংল্যান্ডের ম্যাচে চতুর্থ আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। পাশাপাশি মোট দুটি ম্যাচে টিভি আম্পায়ার এবং আরও একটি ম্যাচে চতুর্থ আম্পায়ার হিসেবে থাকবেন তিনি।
গত বছর আইসিসির ডেভেলপমেন্ট প্যানেলে নির্বাচিত হয়েছিলেন জেসি। এর আগে তিনি নারী এশিয়া কাপ, অনূর্ধ্ব-১৯ নারী এশিয়া কাপ ও অনূর্ধ্ব-১৯ নারী বিশ্বকাপের পাশাপাশি বাংলাদেশের প্রথম নারী আম্পায়ার হিসেবে পুরুষদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটও পরিচালনা করেছেন। খেলোয়াড় হিসেবে তিনি বাংলাদেশের হয়ে একটি টি-টোয়েন্টি ও দুটি ওয়ানডে খেলেছেন। ২০১৩ সালে শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার পর আম্পায়ারিং শুরু করেন, এবং এর মধ্যেই ঢাকা প্রিমিয়ার লীগে বড় ম্যাচে দায়িত্ব পালন করেছেন।
আগামী সেপ্টেম্বর-নভেম্বরে বাংলাদেশের পাশাপাশি শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত হবে নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের ১৩তম আসর, যেখানে ৩৩ দিনে মোট ৩১টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। মোট আটটি দল এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করে তারাও তাদের সেরার মুকুট জয়ের লক্ষ্য রাখবে।