দেশের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণের জন্য সরকার নীতিগতভাবে অনুমোদন দিয়েছে প্রায় ৫০ হাজার মেট্রিক টন গ্যাসোলিন এবং প্রায় ৯৫ হাজার টন সার আমদানির পরিকল্পনা। এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের বৈঠকে, মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির ৩৮তম সভায়। সভাপতিত্ব করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ প্রস্তাব করলে, ২০২৫ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে ইন্দোনেশিয়ার পিটি বুমি সিয়াক পুসাকো যাপিন (বিএসপি) থেকে ৫০ হাজার টন গ্যাসোলিন ৯৫ আনলেডেড (অকটেন) আমদানির জন্য মোট খরচ হবে ৪১৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। এর নীতিগত অনুমোদন এসেছে।
অপর দিকে, শিল্প মন্ত্রণালয় প্রস্তাব দিয়েছে, সৌদি আরবের এসএবিআইসি এগ্রি-নিউট্রিএন্টস কোম্পানি থেকে প্রথম লটের জন্য ৩০ হাজার টন বাল্ক গ্রানুলার ইউরিয়া সার আমদানি করা হবে, যার মূল্য হবে ১৬৪ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। প্রতি টনের দাম পড়বে ৪৪৭.৫০ ডলার।
আরেকটি প্রস্তাবের মধ্যে, কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো) থেকে ৩০ হাজার টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার কেনা হবে, যার মূল্য হবে প্রায় ১৫২ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। প্রতিটির দাম হবে ৪১৪.৮৭ ডলার প্রতি টন।
इसके পাশাপাশি, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) রাশিয়ার জেএসসি ফরেন ইকোনমিক কর্পোরেশন (প্রোডিন্টর্গ) এর সঙ্গে রাষ্ট্রীয় চুক্তির আওতায় ৩৫ হাজার টন এমওপি সার ক্রয় করবে, যার মূল্য হবে প্রায় ১৫৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা। প্রতিটি টনের মূল্য নির্ধারিত হবে ৩৬১ ডলার।