আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেট বোর্ডের (ইউএসএসি) ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে গত মঙ্গলবার এক ভার্চুয়াল বৈঠকে, যেখানে আইসিসির শীর্ষ কর্মকর্তারা অংশ নেন।
প্রথমে, চলতি বছরের জুলাইয়ে বার্ষিক সাধারণ সভায় ইউএসএসির জন্য তিন মাসের সময় নির্ধারণ করা হয়েছিল, যেখানে শর্ত ছিল, ‘স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন’ সংস্থান করতে হবে এবং ‘শাসন কাঠামোতে বড় পরিবর্তন’ আনতে হবে। এই শর্তগুলো পূরণে ব্যর্থ হওয়ায়, অবশেষে, আইসিসি ইউএসএসির সদস্যপদ স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয়। এর ফলে, যুক্তরাষ্ট্রে থাকা জাতীয় দলগুলো এখন আন্তর্জাতিক কোন টুর্নামেন্টে অংশ নিতে পারবে না বললেই চলে। তবে, এটি তাদের জন্য খুব বড় বাধা নয়। তারা আগের মতোই আইসিসির বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় খেলতে পারবে এবং আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও অংশগ্রহণের পথ খোলা থাকবে। এছাড়া, ২০২৮ লস অ্যান্ড জেলেস অলিম্পিকের প্রস্তুতিতেও কোনও প্রভাব পড়বে না।
আইসিসির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এই পদক্ষেপটি নেওয়া হয়েছে ক্রিকেটের দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন ও স্বার্থরক্ষার্থে। পাশাপাশি, নিশ্চিত করা হয়েছে যে, দেশের খেলোয়াড়দের ক্যারিয়ার বা যুক্তরাষ্ট্রে ক্রিকেটের বিকাশ কোনওভাবেই বাধাগ্রস্ত হবে না।
এছাড়াও, যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেটের জন্য একটি নরমালাইজেশন কমিটি গঠন করা হবে। এই কমিটি শাসন কাঠামো, কার্যক্রম ও সংগঠনের সংস্কার পরিকল্পনা তৈরি করবে এবং পুরো প্রক্রিয়ার পর্যবেক্ষণ ও নজরদারি চালাবে। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে, আইসিসি দেশের ক্রিকেট বোর্ডের উন্নতির জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়নে সহায়তা দেবে এবং ভবিষ্যতের জন্য একটি সুসংগঠিত ও স্বচ্ছ ক্রিকেট ব্যবস্থা গড়ে তুলবে।