শারদীয় দুর্গাপূজা ২০২৫ যাতে নির্বিঘ্ন ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়, সে লক্ষ্যে সমাজকল্যাণ ও মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন অধিদপ্তর ও সংস্থার প্রায় ৮০ হাজার কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং স্বেচ্ছাসেবক মাঠে কাজ করবে। এই ব্যাপারে মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ জানিয়েছেন, তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করবেন।
এসব প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশের সবুজের বিভিন্ন স্থানসহ, বিশেষ করে পূজা মণ্ডপগুলোতেও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। প্রতিটি পূজা মণ্ডপে স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মণ্ডপে উপস্থিত থাকবেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, মেডিকেল টিম, ফায়ার সার্ভিস এবং অন্যান্য বিভাগের প্রতিনিধিরা। নারী, শিশু ও বয়স্কদের নিরাপত্তায় বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
একইসঙ্গে, সমাজকল্যাণ ও মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় “সহায়তা ডেস্ক” স্থাপন করেছে, যেখানে নারী ও শিশুরা কোনও জরুরি পরিস্থিতিতে দ্রুত যোগাযোগ করতে পারবেন। হটলাইন নম্বর ১০৯৮ ও ১০৯ এর পাশাপাশি অন্যান্য কলকেন্দ্রের নম্বরগুলো চালু থাকবে।
আর্থিক সহায়তার অংশ হিসেবে, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় স্বল্প আয়ের হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য পূজামণ্ডপের জন্য অর্থ সহায়তা দিয়েছে, যাতে তারা সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপন করতে পারেন। একইসঙ্গে, নারী ও শিশুদের প্রতি সহিংসতা রোধে বিশেষ সচেতনতামূলক ক্যাম্পেন চালানো হবে।
অভিযোগ গ্রহণের জন্যও প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। যদি কোনও নারী বা শিশু পূজার সময় হেনস্থা বা হয়রানির শিকার হন, সেই বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে এ জন্য বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেন, “ধর্মীয় উৎসবের আনন্দ সকলের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া সকল নাগরিকের অধিকার। নারী ও শিশুর নিরাপত্তা ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করাই আমাদের অগ্রাধিকার।” তিনি আরও যোগ করেন, “সামাজিক সম্প্রীতির প্রতীক দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। হিন্দু ধর্মাবলম্বী নাগরিকদের ধর্মীয় অধিকার ও মর্যাদা রক্ষায় সরকার সব সময় সচেষ্ট।”
এ বছর সারাদেশে মোট ৩৩,৩৫৫টি পূজা মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে, যা গত বছরের থেকে প্রায় ১,১১৯টি বেশি। পূজা উদযাপন পরিষদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে, এর মধ্যে ঢাকা মহানগরে ব্র সংখ্যা ২৫৮।