চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে বাংলাদেশে রেমিট্যান্সের প্রবাহ উল্লেখযোগ্য আকারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ে যেখানে রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ৬ হাজার ৫৪৩ মিলিয়ন ডলার, সেখানে চলতি বছরের একই সময় এটি পৌঁছেছে ৭ হাজার ৫৮৬ মিলিয়ন ডলারে, যা প্রায় ১৫.৯ শতাংশ বেশি। এই বৃদ্ধির ফলে দেশের বৈদেশিক অর্থনীতিতে শক্তিশালী ভিত্তি গড়ে উঠছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে প্রবাসীরা দেশে রিকোয়েস্ট করেছেন মোট ২ হাজার ৬৮৫ মিলিয়ন ডলার, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় উল্লেখযোগ্য বেশি। এ সময়ে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের মধ্যে অন্যতম অংশ এসেছে বিভিন্ন ব্যাংকের মাধ্যমে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, সেপ্টেম্বর মাসে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলো ৪৬ কোটি ৬৮ লাখ ডলার, কৃষি ব্যাংক ২৫ কোটি ৮২ লাখ ডলার, এবং বেসরকারি ব্যাংকগুলো ১৯৫ কোটি ৪৬ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে। এছাড়া, বিদেশি ব্যাংকগুলো থেকে এসেছে ৬২ লাখ ৪০ হাজার ডলার।
প্রবাসীরা এই অর্থ পাঠাচ্ছেন মূলত ঈদ, অনিবার্য ব্যবসায়িক সুবিধা এবং সাধারণ জীবনযাত্রার প্রয়োজনীয়তার জন্য। চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইতেই রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল প্রায় ২৪৭ কোটি ডলার, আর আগস্টে তা বৃদ্ধি পেয়ে ২৪২ কোটি ডলারে পৌঁছায়।
বিশেষ করে, মার্চ মাসে রেকর্ড দিয়ে সর্বোচ্চ ৩শ’২৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, যা পুরো অর্থবছরের রেকর্ড হিসেবে কাজ করে। ফলে, এই অর্থবছরে মোট প্রবাসী আয় দাঁড়িয়েছে ৩০.৩৩ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় ২৬.৮ শতাংশ বৃদ্ধি।
বাংলাদেশের মোট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন ৩১.৫০ বিলিয়ন ডলার, যা দেশের বৈদেশিক লেনদেনকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। তবে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে দেখলে, দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কিছুটা কমে গিয়ে ২৬.৬২ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।