১২:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
আন্তর্জাতিকভাবে দাবি জানানোয় বন্দিদের মুক্তি ঘোষণা বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দেশবাসীর দোয়ার আবেদন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্কটকালে মায়ের স্নেহ পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা আমারও: তারেক রহমান মৌসুমি সবজি বাজারে ভরপুর, দাম কমে গেছে উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ সভায় খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনায় দোয়া ও মোনাজাত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের জন্য ভর্তুকির দাবি আরব আমিরাতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া ২৪ ব্যক্তির মুক্তি আসছে বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা মনের আকাঙ্ক্ষা ও রাজনৈতিক বাস্তবতার মধ্যে দ্বন্দ্ব: তারেক রহমানের মন্তব্য বাজারে মৌসুমি সবজির সরবরাহ বৃদ্ধি ও দাম কমে যাচ্ছে

কিম জং উন পরিদর্শন করলেন উত্তর কোরিয়ার যুদ্ধজাহাজ

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন সাম্প্রতিক সময়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে একটি যুদ্ধজাহাজ পরিদর্শন করেছেন। এই জাহাজটি শত্রুদের উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড মোকাবিলায় সক্ষম যে, তার ওজন পাঁচ হাজার টন। দেশের সরকারি সংস্থা কেসিএনএ জানায়, এই তথ্য সোমবার প্রকাশিত হয়েছে।

উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনীর অস্ত্রাগারে থাকা এই দুটি ডেস্ট্রয়ারের মধ্যে একটি হলো ছো হিওন। এই দুটি জাহাজই এ বছর আনুষ্ঠানিকভাবে সার্ভিসে প্রবেশ করছে, যা দেশের নৌশক্তি বৃদ্ধি ও সামরিক সক্ষমতা উন্নয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপে বিবেচিত হচ্ছে।

রবিবার এই যুদ্ধজাহাজটি পরিদর্শনকালে কিম জং উন বলেন, এই জাহাজটি উত্তর কোরিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর শক্তির এক স্পষ্ট প্রতীক। তিনি আরও বলেন, ‘বিশাল সমুদ্রের উপর আমাদের নৌবাহিনীর সাবলীল ও শক্তিশালী ক্ষমতা অর্জন করা উচিত, যাতে দেশের সার্বভৌমত্বে কোন ধরনের হুমকি বা উস্কানির মোকাবিলা করা যায় এবং শত্রুদের শাস্তি দেওয়া সম্ভব হয়।’

কিম জং উন আগামী বছরের অক্টোবরের মধ্যে একই ধরনের আরও একটি ডেস্ট্রয়ার তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বিশ্লেষকদের ধারনা, এই নৌয়ান ক্ষমতা উন্নয়ন আগামীর জন্য উত্তর কোরিয়ার গুরুত্বপূর্ণ সামরিক পরিকল্পনার অংশ।

সন্দেহের অবকাশ নেই, উত্তর কোরিয়া সম্প্রতি রাশিয়ার সঙ্গে সামরিক সহায়তা ও অস্ত্র সংগ্রহে বেশ সক্রিয়। দক্ষিণ কোরিয়া এবং অন্যান্য দেশ বলছে, কোরিয়া এবং রাশিয়ার মধ্যে চলমান অস্ত্রের চুক্তিতে উত্তর কোরিয়া ছো হিওন ডেস্ট্রয়ার তৈরিতে সহায়তা পেয়েছে।এই পরিস্থিতিতে, গত মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রায় ২৮ হাজার ৫শ সেনা মোতায়েন করেছে এবং একাধিক যৌথ সামরিক মহড়া চালিয়েছে। পিয়ংইয়ং এসব মহড়াকে প্রতিরক্ষামূলক নয় বরং আক্রমণজনক বলে অস্বীকার করে আসছে, যা ওয়াশিংটন ও তার মিত্রদের বিরুদ্ধে প্ররোচনামূলক হিসেবে দেখা হচ্ছে।

উত্তর কোরিয়া এসব সামরিক মহড়ার জবাবে নিয়মিতভাবে কঠোর ভাষায় উপস্থাপন করে, এগুলোকে আক্রমণের প্রস্তুতি হিসেবে অভিহিত করেছে। তবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বলছে, এগুলো কেবল নিজেকে রক্ষা করার জন্য উপকারী বলেই মনে করা হয়।

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

কিম জং উন পরিদর্শন করলেন উত্তর কোরিয়ার যুদ্ধজাহাজ

প্রকাশিতঃ ১০:৫৪:৩৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর ২০২৫

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন সাম্প্রতিক সময়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে একটি যুদ্ধজাহাজ পরিদর্শন করেছেন। এই জাহাজটি শত্রুদের উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড মোকাবিলায় সক্ষম যে, তার ওজন পাঁচ হাজার টন। দেশের সরকারি সংস্থা কেসিএনএ জানায়, এই তথ্য সোমবার প্রকাশিত হয়েছে।

উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনীর অস্ত্রাগারে থাকা এই দুটি ডেস্ট্রয়ারের মধ্যে একটি হলো ছো হিওন। এই দুটি জাহাজই এ বছর আনুষ্ঠানিকভাবে সার্ভিসে প্রবেশ করছে, যা দেশের নৌশক্তি বৃদ্ধি ও সামরিক সক্ষমতা উন্নয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপে বিবেচিত হচ্ছে।

রবিবার এই যুদ্ধজাহাজটি পরিদর্শনকালে কিম জং উন বলেন, এই জাহাজটি উত্তর কোরিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর শক্তির এক স্পষ্ট প্রতীক। তিনি আরও বলেন, ‘বিশাল সমুদ্রের উপর আমাদের নৌবাহিনীর সাবলীল ও শক্তিশালী ক্ষমতা অর্জন করা উচিত, যাতে দেশের সার্বভৌমত্বে কোন ধরনের হুমকি বা উস্কানির মোকাবিলা করা যায় এবং শত্রুদের শাস্তি দেওয়া সম্ভব হয়।’

কিম জং উন আগামী বছরের অক্টোবরের মধ্যে একই ধরনের আরও একটি ডেস্ট্রয়ার তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বিশ্লেষকদের ধারনা, এই নৌয়ান ক্ষমতা উন্নয়ন আগামীর জন্য উত্তর কোরিয়ার গুরুত্বপূর্ণ সামরিক পরিকল্পনার অংশ।

সন্দেহের অবকাশ নেই, উত্তর কোরিয়া সম্প্রতি রাশিয়ার সঙ্গে সামরিক সহায়তা ও অস্ত্র সংগ্রহে বেশ সক্রিয়। দক্ষিণ কোরিয়া এবং অন্যান্য দেশ বলছে, কোরিয়া এবং রাশিয়ার মধ্যে চলমান অস্ত্রের চুক্তিতে উত্তর কোরিয়া ছো হিওন ডেস্ট্রয়ার তৈরিতে সহায়তা পেয়েছে।এই পরিস্থিতিতে, গত মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রায় ২৮ হাজার ৫শ সেনা মোতায়েন করেছে এবং একাধিক যৌথ সামরিক মহড়া চালিয়েছে। পিয়ংইয়ং এসব মহড়াকে প্রতিরক্ষামূলক নয় বরং আক্রমণজনক বলে অস্বীকার করে আসছে, যা ওয়াশিংটন ও তার মিত্রদের বিরুদ্ধে প্ররোচনামূলক হিসেবে দেখা হচ্ছে।

উত্তর কোরিয়া এসব সামরিক মহড়ার জবাবে নিয়মিতভাবে কঠোর ভাষায় উপস্থাপন করে, এগুলোকে আক্রমণের প্রস্তুতি হিসেবে অভিহিত করেছে। তবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বলছে, এগুলো কেবল নিজেকে রক্ষা করার জন্য উপকারী বলেই মনে করা হয়।