যদিও পারস্পরিক ও আন্তর্জাতিক বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুক্ত থাকার ক্ষেত্রে রাশিয়া কিছুটা দ্বন্দ্বে থাকলেও গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে তাদের মনোভাব স্পষ্ট। সম্প্রতি রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজায় রক্তপাত বন্ধের জন্য প্রস্তাবিত পরিকল্পনা এখন পর্যন্ত সবচেয়ে কার্যকরী ও উপযুক্ত। তবে তিনি এটিই বলেন যে, এটি নিখুঁত বা আদর্শ নয়। ল্যাভরভ আরও উল্লেখ করেন, গাজায় স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং যুদ্ধবিরতি নিশ্চিতের জন্য ইসরায়েল, হামাস এবং মধ্যস্থতাকারী অন্যান্য দেশ—মিসর ও কাতার—রাশিয়ার কাছে সহযোগিতা চাইলে, রাশিয়া সবসময় সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প তার পরিকল্পনার কথা প্রকাশ করেন। এই পরিকল্পনায় ইসরায়েল, হামাস ও অন্যান্য মধ্যস্থতাকারী দেশের সঙ্গে আলোচনা, গাজায় যুদ্ধবিরতিসহ শান্তির দৃঢ় প্রস্তাব ছাড়াও গাজার পরিস্থিতি সামান্য হলেও উন্নতি লক্ষ্য করা যায়। ট্রাম্পের মতে, এই পরিকল্পনাটি গাজায় রক্তপাত বন্ধ করতে সবচেয়ে কার্যকর। এই সময় তিনি জানান, গাজায় স্থায়ী শান্তি ও শান্তিপূর্ণ সমাধান করতে অন্যান্য দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
এর পর ৩ অক্টোবর পরিকল্পনায় হামাসের সম্মতি আসে। এরপর ৪ অক্টোবর, ট্রাম্প ইসরায়েলকে গাজায় বোমাবর্ষণ বন্ধ করতে বলেন। শারম আল শেখে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে ইসরায়েল, হামাস, মিসর, যুক্তরাষ্ট্র ও কাতারের প্রতিনিধিরা আলোচনায় বসেন। আলোচনা দুই দিনের বেশি চলে, যেখানে ট্রাম্পের পরিকল্পনার প্রাথমিক পর্যায়ের বাস্তবায়নের কথা চূড়ান্ত করা হয় এবং স্বাক্ষর হয় চুক্তি। ট্রাম্প তার সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এই খবর শেয়ার করেন।
মধ্যপ্রাচ্যে রাশিয়া দীর্ঘদিন ধরে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। গাজায় হামাসের হামলার জবাবে ২০২৩ সালের ৮ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি অভিযান শুরু হয়, যেখানে প্রথমে গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো দেশগুলোর মধ্যে রাশিয়া ছিল অন্যতম। চলতি বছর, ১৬ অক্টোবরে, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ প্রথমবার গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব উত্থাপন করে রাশিয়া।