১২:৩৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
আন্তর্জাতিকভাবে দাবি জানানোয় বন্দিদের মুক্তি ঘোষণা বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দেশবাসীর দোয়ার আবেদন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্কটকালে মায়ের স্নেহ পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা আমারও: তারেক রহমান মৌসুমি সবজি বাজারে ভরপুর, দাম কমে গেছে উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ সভায় খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনায় দোয়া ও মোনাজাত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের জন্য ভর্তুকির দাবি আরব আমিরাতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া ২৪ ব্যক্তির মুক্তি আসছে বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা মনের আকাঙ্ক্ষা ও রাজনৈতিক বাস্তবতার মধ্যে দ্বন্দ্ব: তারেক রহমানের মন্তব্য বাজারে মৌসুমি সবজির সরবরাহ বৃদ্ধি ও দাম কমে যাচ্ছে

আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে পরিসংখ্যান তৈরির ওপর গুরুত্ব আরোপ

পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, বিশ্বাসযোগ্য পরিসংখ্যান তৈরি এক ধরনের বিনিয়োগ। এই কারণে পরিসংখ্যান তৈরির ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণ অনেক জরুরি। তিনি বলেন, শিল্পমাধ্যমে তথ্যের সুরক্ষা ও নৈতিকতাও নিশ্চিত করতে হবে যেন সত্য ও নির্ভরযোগ্য তথ্য প্রকাশে কোনও আপস না হয়।

সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় ও বিশ্ব পরিসংখ্যান দিবস-২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন তিনি। এই সেমিনারটি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এবং জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়।

বিশ্ব পরিসংখ্যান দিবস ২০২৫-এর প্রতিপাদ্য বিষয় ‘সবার জন্য মানসম্মত পরিসংখ্যান’, যা মূলত পরিসংখ্যানের মান ও যথার্থতা নিশ্চিত করার গুরুত্বের প্রতি আলোকপাত করে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী এবং ড. হোসেন জিল্লুর রহমান, পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশান রিসার্চ সেন্টারের (পিপিআরসি) নির্বাহী চেয়ারম্যান।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব আলেয়া আক্তার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইউএনডিপি বাংলাদেশের সহকারী আবাসিক প্রতিনিধি সোনালী দায়ারাত্নে।

প্রধান বক্তা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘সরকারি পরিসংখ্যানের বিশ্বাসযোগ্যতা, স্বচ্ছতা ও মান বজায় রাখা অর্থনৈতিক অগ্রগতির অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি। বর্তমানে বিবিএস আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণ করে তথ্য সংগ্রহ ও প্রকাশ করছে, কিন্তু আরও স্বচ্ছতা ও স্বাধীনতা অর্জনের জন্য আরও পদক্ষেপ নিতে হবে।’

তিনি আরো যোগ করেন, ‘নতুন নীতিমালা অনুসারে বিবিএস এখন নিজস্ব উদ্যোগে জিডিপি প্রবৃদ্ধি, মূল্যস্ফীতি ও অন্যান্য সূচক প্রকাশ করতে পারবে যা গণমানুষের জন্য আরও গুরুত্বপূর্ণ।’ আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা ছিল, ‘ডেটা সবাইকে মনে রাখতে হবে—নগর, উদ্যোক্তা, গবেষক, গণমাধ্যমকর্মী আর সাধারণ মানুষের জন্যও এটি সমানভাবে প্রয়োজন। তাই ‘ডাটা ফর এভরিওয়ান’ বা সবাই জন্য ডেটা শ্লোগানের মাধ্যমে সবাইকে পরিসংখ্যানের গুরুত্ব বুঝতে হবে।’

যোগ করেন, ‘বাংলাদেশের সরকারি পরিসংখ্যান দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় বেশি নির্ভরযোগ্য। বিবিএস এখন প্রযুক্তিনির্ভর ও সক্ষম একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে।’

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিবিএস মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিবিএসের পরিচালক কবির উদ্দিন আহাম্মদ। এছাড়াও, প্যানেল আলোচনায় বাংলাদেশের উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মহাপরিচালক অধ্যাপক এ কে এনামুল হক, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. সৈয়দ শাহাদৎ হোসেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. জাফর আহমেদ খান এই বিষয়গুলো আলোচনা করেন।

জাতিসংঘের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০১০ সাল থেকে পাঁচ বছরে একবার বিশ্ব পরিসংখ্যান দিবস পালিত হয়ে আসছে, যার অংশ হিসেবে বাংলাদেশও নানা কর্মসূচির মাধ্যমে এ দিবসটি যথাযোগ্যভাবে উদযাপন করছে।

কর্মসূচির মধ্যে র‌্যালি, সেমিনার, ক্রোড়পত্র ও স্মরণিকা প্রকাশ, আলোচনা সভা ও অন্যান্য কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত। এছাড়াও, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী জাতীয় এবং বিশ্ব পরিসংখ্যান দিবস একীভূত করে এ দিনটি পালিত হয়েছে।

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে পরিসংখ্যান তৈরির ওপর গুরুত্ব আরোপ

প্রকাশিতঃ ০৫:৫৫:৩৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫

পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, বিশ্বাসযোগ্য পরিসংখ্যান তৈরি এক ধরনের বিনিয়োগ। এই কারণে পরিসংখ্যান তৈরির ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণ অনেক জরুরি। তিনি বলেন, শিল্পমাধ্যমে তথ্যের সুরক্ষা ও নৈতিকতাও নিশ্চিত করতে হবে যেন সত্য ও নির্ভরযোগ্য তথ্য প্রকাশে কোনও আপস না হয়।

সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় ও বিশ্ব পরিসংখ্যান দিবস-২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন তিনি। এই সেমিনারটি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এবং জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়।

বিশ্ব পরিসংখ্যান দিবস ২০২৫-এর প্রতিপাদ্য বিষয় ‘সবার জন্য মানসম্মত পরিসংখ্যান’, যা মূলত পরিসংখ্যানের মান ও যথার্থতা নিশ্চিত করার গুরুত্বের প্রতি আলোকপাত করে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী এবং ড. হোসেন জিল্লুর রহমান, পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশান রিসার্চ সেন্টারের (পিপিআরসি) নির্বাহী চেয়ারম্যান।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব আলেয়া আক্তার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইউএনডিপি বাংলাদেশের সহকারী আবাসিক প্রতিনিধি সোনালী দায়ারাত্নে।

প্রধান বক্তা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘সরকারি পরিসংখ্যানের বিশ্বাসযোগ্যতা, স্বচ্ছতা ও মান বজায় রাখা অর্থনৈতিক অগ্রগতির অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি। বর্তমানে বিবিএস আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণ করে তথ্য সংগ্রহ ও প্রকাশ করছে, কিন্তু আরও স্বচ্ছতা ও স্বাধীনতা অর্জনের জন্য আরও পদক্ষেপ নিতে হবে।’

তিনি আরো যোগ করেন, ‘নতুন নীতিমালা অনুসারে বিবিএস এখন নিজস্ব উদ্যোগে জিডিপি প্রবৃদ্ধি, মূল্যস্ফীতি ও অন্যান্য সূচক প্রকাশ করতে পারবে যা গণমানুষের জন্য আরও গুরুত্বপূর্ণ।’ আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা ছিল, ‘ডেটা সবাইকে মনে রাখতে হবে—নগর, উদ্যোক্তা, গবেষক, গণমাধ্যমকর্মী আর সাধারণ মানুষের জন্যও এটি সমানভাবে প্রয়োজন। তাই ‘ডাটা ফর এভরিওয়ান’ বা সবাই জন্য ডেটা শ্লোগানের মাধ্যমে সবাইকে পরিসংখ্যানের গুরুত্ব বুঝতে হবে।’

যোগ করেন, ‘বাংলাদেশের সরকারি পরিসংখ্যান দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় বেশি নির্ভরযোগ্য। বিবিএস এখন প্রযুক্তিনির্ভর ও সক্ষম একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে।’

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিবিএস মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিবিএসের পরিচালক কবির উদ্দিন আহাম্মদ। এছাড়াও, প্যানেল আলোচনায় বাংলাদেশের উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মহাপরিচালক অধ্যাপক এ কে এনামুল হক, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. সৈয়দ শাহাদৎ হোসেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. জাফর আহমেদ খান এই বিষয়গুলো আলোচনা করেন।

জাতিসংঘের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০১০ সাল থেকে পাঁচ বছরে একবার বিশ্ব পরিসংখ্যান দিবস পালিত হয়ে আসছে, যার অংশ হিসেবে বাংলাদেশও নানা কর্মসূচির মাধ্যমে এ দিবসটি যথাযোগ্যভাবে উদযাপন করছে।

কর্মসূচির মধ্যে র‌্যালি, সেমিনার, ক্রোড়পত্র ও স্মরণিকা প্রকাশ, আলোচনা সভা ও অন্যান্য কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত। এছাড়াও, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী জাতীয় এবং বিশ্ব পরিসংখ্যান দিবস একীভূত করে এ দিনটি পালিত হয়েছে।