০৪:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫, ৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
নরওয়ে গবেষণা জাহাজ বঙ্গোপসাগরে মৎস্য ও ইকোসিস্টেম জরিপ শুরু করেছে এনসিপি থেকে বহিষ্কারের পর মাহিনের বিশ্লেষণমূলক মন্তব্য বয়স হলে ভুল বোঝার ব্যাপারটা বুঝতে পারবে, তখন লজ্জিত হবে নিজেকে নিয়ন্ত্রকদের সম্পদ তদন্ত চাই দুদকের ইইউ ৪ মিলিয়ন ইউরো আর্থিক সহযোগিতা দেবে বাংলাদেশের নির্বাচন উন্নত করতে ইভেন্ট বুকিংয়ে এক বছরের জন্য ৫০% ছাড় দিচ্ছে আইসিসিএল ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার ঝিনাইদহের আওয়ামী লীগ সভাপতি পরীক্ষায় ফেল, টানা ২৬ বছর গৃহবন্দী নারীকে উদ্ধার খাদ্য মন্ত্রনালয়ের রেকর্ড পরিমাণ ধান ও চাল সংগ্রহ গাইবান্ধায় ১৪৯০ মিটার দীর্ঘ ‘মওলানা ভাসানী সেতু’ উদ্বোধন করবেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা

সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার ১১ বছরের কারাদণ্ড

পৃথক দুটি ধারায় সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহার ১১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এরমধ্যে ফারমার্স ব্যাংক থেকে ৪ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের দায়ে ৪ বছর এবং মানি লন্ডারিংয়ের আরেক ধারায় সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া এস কে সিনহার ৭৮ লাখ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) সকাল ১১টায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক শেখ নাজমুল আলমের আদালত মামলাটির ১৮২ পৃষ্ঠার এই রায় পড়া শুরু করেন।

আইনজীবীরা বলছেন, আর্থিক কেলেঙ্কারিতে এই প্রথম বাংলাদেশের কোনও প্রধান বিচারপতি সাজাপ্রাপ্ত হলেন।

মামলাটিতে সাবেক এই প্রধান বিচারপতি ছাড়াও আরও ১০ জন আসামি রয়েছেন। তাদের মধ্যে বিচারের মুখোমুখি হওয়া সাত আসামি আজ আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এদের মধ্যে ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডের অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুল হক চিশতী (বাবুল চিশতী) এতদিন কারাগারে ছিলেন।

এ ছাড়া ফারমার্স ব্যাংকের সাবেক এমডি এ কে এম শামীমকে চার বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডের অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুল হক চিশতী (বাবুল চিশতী), ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. লুৎফুল হক, সাবেক এসইভিপি গাজী সালাহউদ্দিন, ফারমার্স ব্যাংকের ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সাফিউদ্দিন আসকারী, রণজিৎ চন্দ্র সাহা ও তার স্ত্রী সান্ত্রী রায় এই ছয় আসামির প্রত্যেকের ৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

আর মামলার অপর দুই আসামি টাঙ্গাইলের বাসিন্দা মো. শাহজাহান ও একই এলাকার বাসিন্দা নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা খালাস পেয়েছেন।

এর আগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর একই আদালতে মামলাটির উভয় পক্ষের যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন শুনানি শেষ হয়। এরপর রায় ঘোষণার জন্য ৫ অক্টোবর তারিখ ধার্য করেন আদালত। কিন্তু এদিন বিচারক পারিবারিক কারণে ছুটিতে থাকায় মামলার রায় পিছিয়ে আগামীকাল ২১ অক্টোবর দিন ধার্য করা হয়েছে। এরপর ২১ অক্টোবর বিচারক রায় প্রস্তুত করতে না পারায় ৯ নভেম্বর (মঙ্গলবার) দিন নির্ধারণ করা হয়।

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

আজ উদ্বোধন হচ্ছে মাওলানা ভাসানী সেতু

সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার ১১ বছরের কারাদণ্ড

প্রকাশিতঃ ১২:১০:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ নভেম্বর ২০২১

পৃথক দুটি ধারায় সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহার ১১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এরমধ্যে ফারমার্স ব্যাংক থেকে ৪ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের দায়ে ৪ বছর এবং মানি লন্ডারিংয়ের আরেক ধারায় সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া এস কে সিনহার ৭৮ লাখ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) সকাল ১১টায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক শেখ নাজমুল আলমের আদালত মামলাটির ১৮২ পৃষ্ঠার এই রায় পড়া শুরু করেন।

আইনজীবীরা বলছেন, আর্থিক কেলেঙ্কারিতে এই প্রথম বাংলাদেশের কোনও প্রধান বিচারপতি সাজাপ্রাপ্ত হলেন।

মামলাটিতে সাবেক এই প্রধান বিচারপতি ছাড়াও আরও ১০ জন আসামি রয়েছেন। তাদের মধ্যে বিচারের মুখোমুখি হওয়া সাত আসামি আজ আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এদের মধ্যে ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডের অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুল হক চিশতী (বাবুল চিশতী) এতদিন কারাগারে ছিলেন।

এ ছাড়া ফারমার্স ব্যাংকের সাবেক এমডি এ কে এম শামীমকে চার বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডের অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুল হক চিশতী (বাবুল চিশতী), ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. লুৎফুল হক, সাবেক এসইভিপি গাজী সালাহউদ্দিন, ফারমার্স ব্যাংকের ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সাফিউদ্দিন আসকারী, রণজিৎ চন্দ্র সাহা ও তার স্ত্রী সান্ত্রী রায় এই ছয় আসামির প্রত্যেকের ৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

আর মামলার অপর দুই আসামি টাঙ্গাইলের বাসিন্দা মো. শাহজাহান ও একই এলাকার বাসিন্দা নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা খালাস পেয়েছেন।

এর আগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর একই আদালতে মামলাটির উভয় পক্ষের যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন শুনানি শেষ হয়। এরপর রায় ঘোষণার জন্য ৫ অক্টোবর তারিখ ধার্য করেন আদালত। কিন্তু এদিন বিচারক পারিবারিক কারণে ছুটিতে থাকায় মামলার রায় পিছিয়ে আগামীকাল ২১ অক্টোবর দিন ধার্য করা হয়েছে। এরপর ২১ অক্টোবর বিচারক রায় প্রস্তুত করতে না পারায় ৯ নভেম্বর (মঙ্গলবার) দিন নির্ধারণ করা হয়।