০৬:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
গুম-খুনের অভিযোগে ক্ষমা চেয়ে আয়নাঘরের কথা স্বীকার করলেন র‍্যাব ডিজি ঐক্যের ডাক হাসনাত আব্দুল্লাহর দেশের জন্য ক্ষতিকর চুক্তি বাতিলের দাবি করা হয়েছে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও মর্যাদা রক্ষার প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য চলমান অপচেষ্টা নতুন বাংলাদেশের যাত্রায় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন সাবেক এসপি বাবুল আক্তার রমেন রায়ের ওপর হামলার ঘটনাটি পুরোনো, তিনি চিন্ময়ের আইনজীবী নন ঢাকায় আসছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব কঠিন সময় পার করছে বাংলাদেশ: প্রধান উপদেষ্টা পশ্চিমবঙ্গের ৮ জেলায় বাংলাদেশ সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়ালো ভারত

ইডেন ছাত্রলীগের কমিটি স্থগিত, ১৭ জন বহিষ্কার

ইডেন মহিলা কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি স্থগিত করা হয়েছে। একই সঙ্গে এই কমিটির ১৭ জনকে বহিষ্কার করা করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের এক সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো যাচ্ছে যে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ইডেন মহিলা কলেজ শাখার সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত করা হলো। সেই সাথে শৃঙ্খলা পরিপন্থী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অপরাধে, প্রাথমিকভাবে প্রাপ্ত প্রমাণের ভিন্তিতে ইডেন মহিলা কলেজ ছাত্রলীগ এর সহসভাপতি সোনালি আক্তার, সুস্মিতা বাড়ে, মরজানা উর্মি, সানজিদা পারভীন চৌধুরী, এস এম মিলি, সাদিয়া জাহান সাথী, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ফাতেমা খানম বিন্তি ও সাংগাঠনিক সম্পাদক সামিয়া আক্তার বৈশাখি এবং কর্মী রাফিয়া নীলা, নোশিন শার্মিলী, জান্নাতুল লিমা ও সূচনা আক্তার কে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হলো। অধিকতর তদন্তের মাধ্যমে এই বিশৃঙ্খলার সঙ্গে ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের যারা জড়িত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

তবে সংগঠনটির ১৭ কর্মীকে কেন বহিষ্কার করা হলো —এমন প্রশ্নের জবাবে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা একটা তদন্ত কমিটি করেছিলাম, তারা তাতে আস্থা রাখতে পারছে না। তাই আমরা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ একটি দল মিলে এই ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত করেছি। আমরা ভিডিও ফুটেজ দেখে হামলায় জড়িতদেন চিহ্নিত করে তাদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ ঘটনায় আরও তদন্ত করা হবে বলে জানান লেখক ভট্টাচার্য।

রোববার ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি পক্ষের নেত্রীরা অভিযোগ করে বলেন যে, কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক তাদের ফোন ধরেন না, যার ফলে তারা কোনো অভিযোগ জানাতে পারেন না। এ বিষয়ে লেখক ভট্টাচার্য বলেন, তারা আমাদের কোনো ফোনই করেনি। সবকিছু নিয়ে মিথ্যাচার করছে। তারা যে সিট বাণিজ্য ও চাঁদাবাজির কথা বলছে, এটার কোনো প্রমাণ তো দিতে পারছে না তারা। কমিটি দেওয়ার পর থেকেই একটি অংশ বার বার কমিটিকে বিতর্কিত করা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল।

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

ইডেন ছাত্রলীগের কমিটি স্থগিত, ১৭ জন বহিষ্কার

প্রকাশিতঃ ১২:০২:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২

ইডেন মহিলা কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি স্থগিত করা হয়েছে। একই সঙ্গে এই কমিটির ১৭ জনকে বহিষ্কার করা করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের এক সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো যাচ্ছে যে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ইডেন মহিলা কলেজ শাখার সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত করা হলো। সেই সাথে শৃঙ্খলা পরিপন্থী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অপরাধে, প্রাথমিকভাবে প্রাপ্ত প্রমাণের ভিন্তিতে ইডেন মহিলা কলেজ ছাত্রলীগ এর সহসভাপতি সোনালি আক্তার, সুস্মিতা বাড়ে, মরজানা উর্মি, সানজিদা পারভীন চৌধুরী, এস এম মিলি, সাদিয়া জাহান সাথী, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ফাতেমা খানম বিন্তি ও সাংগাঠনিক সম্পাদক সামিয়া আক্তার বৈশাখি এবং কর্মী রাফিয়া নীলা, নোশিন শার্মিলী, জান্নাতুল লিমা ও সূচনা আক্তার কে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হলো। অধিকতর তদন্তের মাধ্যমে এই বিশৃঙ্খলার সঙ্গে ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের যারা জড়িত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

তবে সংগঠনটির ১৭ কর্মীকে কেন বহিষ্কার করা হলো —এমন প্রশ্নের জবাবে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা একটা তদন্ত কমিটি করেছিলাম, তারা তাতে আস্থা রাখতে পারছে না। তাই আমরা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ একটি দল মিলে এই ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত করেছি। আমরা ভিডিও ফুটেজ দেখে হামলায় জড়িতদেন চিহ্নিত করে তাদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ ঘটনায় আরও তদন্ত করা হবে বলে জানান লেখক ভট্টাচার্য।

রোববার ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি পক্ষের নেত্রীরা অভিযোগ করে বলেন যে, কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক তাদের ফোন ধরেন না, যার ফলে তারা কোনো অভিযোগ জানাতে পারেন না। এ বিষয়ে লেখক ভট্টাচার্য বলেন, তারা আমাদের কোনো ফোনই করেনি। সবকিছু নিয়ে মিথ্যাচার করছে। তারা যে সিট বাণিজ্য ও চাঁদাবাজির কথা বলছে, এটার কোনো প্রমাণ তো দিতে পারছে না তারা। কমিটি দেওয়ার পর থেকেই একটি অংশ বার বার কমিটিকে বিতর্কিত করা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল।