০৫:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫, ৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
এনসিপি থেকে বহিষ্কারের পর মাহিনের বিশ্লেষণমূলক মন্তব্য নরওয়ে গবেষণা জাহাজ বঙ্গোপসাগরে মৎস্য ও ইকোসিস্টেম জরিপ শুরু করেছে বয়স হলে ভুল বোঝার ব্যাপারটা বুঝতে পারবে, তখন লজ্জিত হবে নিজেকে নিয়ন্ত্রকদের সম্পদ তদন্ত চাই দুদকের ইইউ ৪ মিলিয়ন ইউরো আর্থিক সহযোগিতা দেবে বাংলাদেশের নির্বাচন উন্নত করতে ইভেন্ট বুকিংয়ে এক বছরের জন্য ৫০% ছাড় দিচ্ছে আইসিসিএল ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার ঝিনাইদহের আওয়ামী লীগ সভাপতি পরীক্ষায় ফেল, টানা ২৬ বছর গৃহবন্দী নারীকে উদ্ধার খাদ্য মন্ত্রনালয়ের রেকর্ড পরিমাণ ধান ও চাল সংগ্রহ গাইবান্ধায় ১৪৯০ মিটার দীর্ঘ ‘মওলানা ভাসানী সেতু’ উদ্বোধন করবেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা

টিউলিপ সিদ্দিকের অভিযোগ: হাসিনা-ইউনূস দ্বন্দ্বের বলি আমি

বাংলাদেশে দুর্নীতির এক মামলার আসামি হিসেবে নিজেকে ‘বলির পাঁঠা’ হিসেবে দাবি করেছেন ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্য ও প্রাক্তন ট্রেজারি মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক। তিনি বলেন, এই মামলাটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হচ্ছেন। ব্রিটিশ জনপ্রিয় সংবাদপত্র দ্য গার্ডিয়ানে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব মন্তব্য করেন।

৪২ বছর বয়সি এই লেবার পার্টির নেত্রী জানান, তিনি সম্প্রতি ওই মামলার বিষয়ে জানতে পারেন যে, ঢাকার পূর্বাচল প্রকল্পে জমি বরাদ্দে প্রভাব বিস্তার করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে এবং আরও ২০ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হবে ১১ আগস্ট। তবে তিনি জানিয়েছেন, এখনও তিনি কোনো আনুষ্ঠানিক সমন পাননি এবং অভিযোগপত্রও দেখেননি। তাঁর ভাষায়, ‘আমি যেন একটি অদ্ভুত দুঃস্বপ্নের মধ্য দিয়েই চলছি, যেখানে বিচার শুরু হবে কিন্তু আমি জানি না আমার বিরুদ্ধে আসল অভিযোগ কি।’

বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের মতে, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রত্যর্পণ চুক্তি না থাকায় তিনি অনুপস্থিত থাকলেও তার বিরুদ্ধে বিচার হতে পারে।

গত বছরের জুলাইয়ে লেবার পার্টির নির্বাচনী জয়ে তিনি অর্থনৈতিক সচিব ও সিটি মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছিলেন এবং এই কাজ উপভোগ করছিলেন। কিন্তু সে সময় বাংলাদেশে ছাত্র সমাজের নেতৃত্বে বিক্ষোভের কারণে শেখ হাসিনার সরকার পতন হয়। ক্ষমতা পরিবর্তনের পর, মুহাম্মদ ইউনূস তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ আনেন।

প্রথমত, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি থেকে ৫ বিলিয়ন ডলার আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে, যা তিনি পুরোপুরি অস্বীকার করেন। এরপর ২০০৪ সালে লন্ডনের কিংস ক্রস এলাকায় একটি ফ্ল্যাট উপহার পাওয়ার অভিযোগ ওঠে, যা তিনি ব্যাখ্যা করেছেন।

নিরাপত্তার কারণে অন্য কারো মালিকানাধীন বাড়িতে থাকার ঘটনায়ও সমালোচনার মুখে পড়েছেন টিউলিপ। তবে, যুক্তরাজ্যের মন্ত্রীদের নীতিগত আচরণবিধি পর্যালোচনার জন্য গঠিত স্বতন্ত্র পরামর্শদাতা স্যার লরি ম্যাগনাস তার আর্থিক বিষয়াদি পর্যালোচনা করে বলে, তাকে এই অভিযোগ থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।

টিউলিপ অভিযোগ করেন, বাংলাদেশে ক্ষমতা পরিবর্তনের পর থেকে তাকে ‘নোংরা রাজনীতি’ এর শিকার করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘এটি মুহাম্মদ ইউনূস এবং আমার খালাতা শেখ হাসিনার মধ্যে রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের ফলাফল, এবং আমি এই পরিস্থিতির বলি হয়ে গেছি। বাংলাদেশের যেখানে অপরাধী রয়েছে, তাদের অবশ্যই শাস্তি হওয়া উচিত, কিন্তু আমি সেখানে অন্তর্ভুক্ত নয়।’

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

আজ উদ্বোধন হচ্ছে মাওলানা ভাসানী সেতু

টিউলিপ সিদ্দিকের অভিযোগ: হাসিনা-ইউনূস দ্বন্দ্বের বলি আমি

প্রকাশিতঃ ১০:৪৮:২৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫

বাংলাদেশে দুর্নীতির এক মামলার আসামি হিসেবে নিজেকে ‘বলির পাঁঠা’ হিসেবে দাবি করেছেন ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্য ও প্রাক্তন ট্রেজারি মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক। তিনি বলেন, এই মামলাটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হচ্ছেন। ব্রিটিশ জনপ্রিয় সংবাদপত্র দ্য গার্ডিয়ানে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব মন্তব্য করেন।

৪২ বছর বয়সি এই লেবার পার্টির নেত্রী জানান, তিনি সম্প্রতি ওই মামলার বিষয়ে জানতে পারেন যে, ঢাকার পূর্বাচল প্রকল্পে জমি বরাদ্দে প্রভাব বিস্তার করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে এবং আরও ২০ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হবে ১১ আগস্ট। তবে তিনি জানিয়েছেন, এখনও তিনি কোনো আনুষ্ঠানিক সমন পাননি এবং অভিযোগপত্রও দেখেননি। তাঁর ভাষায়, ‘আমি যেন একটি অদ্ভুত দুঃস্বপ্নের মধ্য দিয়েই চলছি, যেখানে বিচার শুরু হবে কিন্তু আমি জানি না আমার বিরুদ্ধে আসল অভিযোগ কি।’

বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের মতে, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রত্যর্পণ চুক্তি না থাকায় তিনি অনুপস্থিত থাকলেও তার বিরুদ্ধে বিচার হতে পারে।

গত বছরের জুলাইয়ে লেবার পার্টির নির্বাচনী জয়ে তিনি অর্থনৈতিক সচিব ও সিটি মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছিলেন এবং এই কাজ উপভোগ করছিলেন। কিন্তু সে সময় বাংলাদেশে ছাত্র সমাজের নেতৃত্বে বিক্ষোভের কারণে শেখ হাসিনার সরকার পতন হয়। ক্ষমতা পরিবর্তনের পর, মুহাম্মদ ইউনূস তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ আনেন।

প্রথমত, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি থেকে ৫ বিলিয়ন ডলার আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে, যা তিনি পুরোপুরি অস্বীকার করেন। এরপর ২০০৪ সালে লন্ডনের কিংস ক্রস এলাকায় একটি ফ্ল্যাট উপহার পাওয়ার অভিযোগ ওঠে, যা তিনি ব্যাখ্যা করেছেন।

নিরাপত্তার কারণে অন্য কারো মালিকানাধীন বাড়িতে থাকার ঘটনায়ও সমালোচনার মুখে পড়েছেন টিউলিপ। তবে, যুক্তরাজ্যের মন্ত্রীদের নীতিগত আচরণবিধি পর্যালোচনার জন্য গঠিত স্বতন্ত্র পরামর্শদাতা স্যার লরি ম্যাগনাস তার আর্থিক বিষয়াদি পর্যালোচনা করে বলে, তাকে এই অভিযোগ থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।

টিউলিপ অভিযোগ করেন, বাংলাদেশে ক্ষমতা পরিবর্তনের পর থেকে তাকে ‘নোংরা রাজনীতি’ এর শিকার করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘এটি মুহাম্মদ ইউনূস এবং আমার খালাতা শেখ হাসিনার মধ্যে রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের ফলাফল, এবং আমি এই পরিস্থিতির বলি হয়ে গেছি। বাংলাদেশের যেখানে অপরাধী রয়েছে, তাদের অবশ্যই শাস্তি হওয়া উচিত, কিন্তু আমি সেখানে অন্তর্ভুক্ত নয়।’