বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, গণতন্ত্রের রক্ষায় যারা প্রাণ দিয়েছেন, তারা সবাই জাতীয় বীর। তিনি আরও বলেন, শুধু গন-অভ্যুত্থানে যারা নিহত হয়েছেন তা নয়, বরং ১৬ বছর ধরে গণতন্ত্রের মুক্তির জন্য যারা জীবন বাজি রেখে লড়াই করেছেন তাদেরকেও জাতীয় বীর হিসেবে গণ্য করা উচিত।
শনিবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত একটি অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি। এই অনুষ্ঠানে গণঅভ্যুত্থানে আহত, ক্যান্সার আক্রান্ত ও অসহায় অসুস্থ ব্যক্তিদের চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করা হয়।
সালাহউদ্দিন আহমেদ মানসিক ও দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, শুধু সরকারের কাঠামো পরিবর্তন করলেই হবে না, যারা রাষ্ট্র চালায় এবং যারা নাগরিক, তাঁদের মনোভাবও বদলানো জরুরি। জনগণের প্রত্যাশার পাশাপাশি তাদের দায়বদ্ধতা ও সচেতনতা বাড়াতে হবে।
তিনি বলেন, “আমরা যে গণতান্ত্রিক সংবিধান পেয়েছি, সেটির মাধ্যমে গঠিত সরকার ব্যবস্থার পরিচালকদের মনোভাব পরিবর্তনের পাশাপাশি সাধারণ জনগণেরও দৃষ্টি ভঙ্গির পরিবর্তন দরকার। কারণ যদি দু’পক্ষের দৃষ্টি ভঙ্গি না বদলে যায়, তবে মানবিক রাষ্ট্র গড়া সম্ভব নয়।”
সালাহউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, “আমাদের মনে রাখতে হবে সরকার আমাদের জন্য কী করবে, কিন্তু আরও önem হলো জনগণ রাষ্ট্রের জন্য কী করতে পারে। এই দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনেই আমরা একটি স্বজনপ্রিয় ও দায়িত্বশীল রাষ্ট্র ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারব।”
তিনি স্বপ্ন দেখান সেই স্বপ্নের, যা স্বাধীনতা সংগ্রামের শহীদ, মুক্তিযোদ্ধা ও ২০২৪ সালের ছাত্র গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্বপ্ন। যারা রক্ত দিয়েছেন, জীবন দিয়েছেন বা পঙ্গু হয়ে বেঁচে আছেন, তাঁদের সেই আদর্শের ওপর দাঁড়িয়ে সমাজ ও রাষ্ট্র গড়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, “আমাদের স্বপ্ন ছিল ঃ শত শত শহীদদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের স্বপ্ন পূরণ করতে হবে।”
সালাহউদ্দিন আহমদ উল্লেখ করেন, বর্তমানে ফ্যাসিস্টরা কোনও অনুশোচনা বা পরাজয়ের স্বীকারোক্তি দেয় না, বরং তাদের দম্ভ আরও বেড়ে গেছে।
শেষে, তিনি বলেন, জনগণের জন্য দাঁড়ানো এবং সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করে, আমরা একটি সুন্দর, মানবিক ও দায়বদ্ধ সমাজ গড়ে তুলতে পারব। আলোচনা সভায় বিএনপি নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।