১২:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি সভা অনুষ্ঠিত ভূমধ্যসাগরে পাড়ি দিতে গিয়ে বাংলাদেশির মৃত্যু প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জাতিসংঘ আবাসিক সমন্বয়কের সাক্ষাৎ, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন নিয়ে সহযোগিতা আশা মৎস্য অধিদপ্তরের অফিস প্রাঙ্গণ সম্পূর্ণভাবে তামাকমুক্ত করতে সভা অনুষ্ঠিত ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী উপলক্ষে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থার পরিকল্পনা প্রার্থী ভোটে ব্যয় করতে পারবেন সর্বোচ্চ ১০ টাকা করে সাবেক আইজিপির জবানবন্দি: হাসিনার দুঃশাসনের অবিচ্ছেদ্য দলিল আজ থেকে দেশের স্বর্ণের সর্বোচ্চ দামে বিক্রি শুরু পিএসসির নন-ক্যাডার পরীক্ষার প্রশ্ন বিক্রির অভিযোগে মূল হোতাকে গ্রেপ্তার ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টারত বাংলাদেশির ভূমধ্যসাগরে মৃত্যু

রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্ঠার সঙ্গে সেনাপ্রধানের গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষাৎ

সোমবার (০১ সেপ্টেম্বর) সকালে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্ঠা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান। এই সাক্ষাৎটি তিনি তার বাসভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত করেন। পরে সেখানে থেকে বেরিয়ে তিনি বঙ্গভবনে যান এবং রাষ্ট্রপতির সঙ্গে মুখোমুখি হন। এই সময়ের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক শুরু হয় যেখানে সেনাপ্রধান গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন।

এর আগে রোববার সকালে সেনাপ্রধান প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এছাড়া, ২১ আগস্ট তিনি দেশের বাইরে চীনে সরকারি সফর পালন করেন। এই সফরে তিনি পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সফরের মূল বিষয়গুলো ছিল দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়, বিশেষ করে রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন ও সামরিক সহায়তা। এই সফরে পিএলএর সদর দপ্তরে গার্ড অব অনার দেওয়া হয় এবং চীনের বিভিন্ন সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হয়। তারা দেশ দুটির মধ্যে কৌশলগত অংশীদারিত্ব, জনগণের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের ফেরত পাঠানো, এবং বাংলাদেশের সামরিক শিল্পের উন্নয়ন বিষয়ে আলোচনা করেন।

অন্যদিকে, রোববার রাতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের প্রধান তিনটি রাজনৈতিক দলের—বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি— সঙ্গে বৈঠক করেন। এই বৈঠকে তিনি জানিয়ে দেন যে, আসন্ন ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আগামী মঙ্গলবার (০২ সেপ্টেম্বর) আরও সাতটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি।

প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে, এই বৈঠকগুলো রাষ্ট্রের অন্তর্বর্তী সরকার প্রধানের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যেখানে রাষ্ট্রীয় অগ্রাধিকার ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হবে। এই সব সাক্ষাৎ ও বৈঠক দেশের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও সরকার পরিচালনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

ট্যাগ :

রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্ঠার সঙ্গে সেনাপ্রধানের গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষাৎ

প্রকাশিতঃ ১০:৪৮:০১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সোমবার (০১ সেপ্টেম্বর) সকালে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্ঠা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান। এই সাক্ষাৎটি তিনি তার বাসভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত করেন। পরে সেখানে থেকে বেরিয়ে তিনি বঙ্গভবনে যান এবং রাষ্ট্রপতির সঙ্গে মুখোমুখি হন। এই সময়ের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক শুরু হয় যেখানে সেনাপ্রধান গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন।

এর আগে রোববার সকালে সেনাপ্রধান প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এছাড়া, ২১ আগস্ট তিনি দেশের বাইরে চীনে সরকারি সফর পালন করেন। এই সফরে তিনি পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সফরের মূল বিষয়গুলো ছিল দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়, বিশেষ করে রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন ও সামরিক সহায়তা। এই সফরে পিএলএর সদর দপ্তরে গার্ড অব অনার দেওয়া হয় এবং চীনের বিভিন্ন সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হয়। তারা দেশ দুটির মধ্যে কৌশলগত অংশীদারিত্ব, জনগণের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের ফেরত পাঠানো, এবং বাংলাদেশের সামরিক শিল্পের উন্নয়ন বিষয়ে আলোচনা করেন।

অন্যদিকে, রোববার রাতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের প্রধান তিনটি রাজনৈতিক দলের—বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি— সঙ্গে বৈঠক করেন। এই বৈঠকে তিনি জানিয়ে দেন যে, আসন্ন ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আগামী মঙ্গলবার (০২ সেপ্টেম্বর) আরও সাতটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি।

প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে, এই বৈঠকগুলো রাষ্ট্রের অন্তর্বর্তী সরকার প্রধানের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যেখানে রাষ্ট্রীয় অগ্রাধিকার ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হবে। এই সব সাক্ষাৎ ও বৈঠক দেশের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও সরকার পরিচালনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।