১২:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
দুর্গাপূজায় ভারতে রপ্তানি হবে ১২০০ টন ইলিশ দুদকের হাসপাতালের বিল গ্রহণে আসামি, বরখাস্থ হয়েছেন পরিচালক খান মো. মীজানুল ইসলাম পুরানো দিনের বাইস্কোপ এখন শুধুই স্মৃতি যুক্তরাষ্ট্রের আয়রন ডোম প্রকল্পের নেতৃত্বে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শরিফুল খান ডাকসু নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনের মডেল হিসেবে বিবেচিত হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাতীয় স্বার্থে বস্তুনিষ্ঠ ও জবাবদিহীমূলক গণমাধ্যম অপরিহার্য: পরিবেশ উপদেষ্টা নারী ও শিশুদের জন্য সাইবার স্পেস নিরাপদ করতে উদ্যোগ জরুরি: উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশীদ নির্বাচনের সময় গণমাধ্যমের বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ নিশ্চিতের আহ্বান পল্লী বিদ্যুৎ কর্মীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কাজে ফিরতে নির্দেশ আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস আজ

বাণিজ্যের দর-কষাকষিতে দক্ষতা বৃদ্ধি জরুরি: বাণিজ্য উপদেষ্টা

সফল ট্রেড নেগোসিয়েশনের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়ানো খুবই জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। তিনি বলেন, বাণিজ্যবিষয়ক দর-কষাকষির ক্ষেত্রে কিছু জটিলতা রয়ে গেছে, যার কারণে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা কঠিন। দেশে রপ্তানির ক্ষেত্রে বৈচিত্র্য কম, কারণ অধিকাংশ পণ্যের কাঁচামালই দেশের ভিতরে উৎপাদিত হয় না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মধ্যবর্তী পণ্য আমদানি করে মূল্য সংযোজনের মাধ্যমে বিদেশে রপ্তানি করা হয়, যা বাণিজ্য নিয়ে আলোচনা ও দর-কষাকষিকে জটিল করে তোলে।

এ বাস্তবতায় অন্য দেশের সঙ্গে দর-কষাকষিতে আমাদের কৌশলগত সুবিধা কম থাকায় বাণিজ্য আলোচনা শক্তিশালী করার ওপর গুরুত্ব দেয়া জরুরি। রোববার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘বাণিজ্যবিষয়ক দর-কষাকষিতে জাতীয় সক্ষমতা’ শীর্ষক একটি আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা। এই অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিলেন জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) ও ইউকে ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট।

শেখ বশিরউদ্দীন আরও বলেন, আমাদের রপ্তানিপণ্য খুবই সীমিত। পণ্যের বহুমুখীকরণের অভাবে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতেই হয়। এই সমস্যাগুলো সমাধানে আমাদের নতুন কৌশল গ্রহণ করতে হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে রেসিপ্রোকাল ট্রেড নেগোসিয়েশনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, আমাদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টার মাধ্যমে নিশ্চিত করেছি যাতে তারা কম শুল্ক আরোপ করে।

তিনি বলেন, ট্রেড নেগোশিয়েটরস পুলের সদস্যরা তাদের অর্জিত জ্ঞান দেশের কাজে লাগাতে পারবে। তদ্ব্যতীত, মন্ত্রণালয়, ইউএনডিপি, এফসিডিও এবং অন্যান্য অংশীদারদের সহযোগিতায় প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আমাদের বাণিজ্য সম্পর্ক আরও শক্তিশালী ও দক্ষ করা সম্ভব।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাতিসংঘের বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী উল্লেখ করেন, দর-কষাকষিতে আমাদের মূল ঘাটতি নিজেদের মধ্যে আলোচনা ও তথ্যভিত্তিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে। তিনি বলেন, অনেক সময় আমাদের কর্মকর্তারা খুব ধীরগতিতে কাজ করেন বা তথ্য না থাকার কারণে ভুল বোঝাবুঝি হয়। এক উদাহরণ হিসেবে তিনি বললেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাণিজ্যমন্ত্রী একবার বলেছিলেন, বাংলাদেশ তাদের কাছ থেকে পাওয়া চিঠির উত্তর না আসায় তারা সময় নষ্ট করে ভারতের সঙ্গে আলোচনাক্রম সম্পন্ন করেছে।

অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ছিলেন ইউএনডিপির কান্ট্রি ইকোনমিক অ্যাডভাইজর ওয়াইস প্যারি, র‍্যাপিডের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আবদুর রহিম খান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বৃটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক ও ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার।

প্রধান অতিথির উপস্থিতিতে প্রতিষ্ঠানটি ট্রেড নেগোশিয়েটরস পুলের সদস্যদের জন্য এক প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়, যেখানে অংশগ্রহণকারীদের জন্য সনদও প্রদান করা হয়।

ট্যাগ :

তোশিমিৎসু মোতেগি জাপানের প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হিসেবে দৌড়ে ঘোষে উঠলেন

বাণিজ্যের দর-কষাকষিতে দক্ষতা বৃদ্ধি জরুরি: বাণিজ্য উপদেষ্টা

প্রকাশিতঃ ১০:৪৯:১৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সফল ট্রেড নেগোসিয়েশনের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়ানো খুবই জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। তিনি বলেন, বাণিজ্যবিষয়ক দর-কষাকষির ক্ষেত্রে কিছু জটিলতা রয়ে গেছে, যার কারণে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা কঠিন। দেশে রপ্তানির ক্ষেত্রে বৈচিত্র্য কম, কারণ অধিকাংশ পণ্যের কাঁচামালই দেশের ভিতরে উৎপাদিত হয় না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মধ্যবর্তী পণ্য আমদানি করে মূল্য সংযোজনের মাধ্যমে বিদেশে রপ্তানি করা হয়, যা বাণিজ্য নিয়ে আলোচনা ও দর-কষাকষিকে জটিল করে তোলে।

এ বাস্তবতায় অন্য দেশের সঙ্গে দর-কষাকষিতে আমাদের কৌশলগত সুবিধা কম থাকায় বাণিজ্য আলোচনা শক্তিশালী করার ওপর গুরুত্ব দেয়া জরুরি। রোববার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘বাণিজ্যবিষয়ক দর-কষাকষিতে জাতীয় সক্ষমতা’ শীর্ষক একটি আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা। এই অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিলেন জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) ও ইউকে ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট।

শেখ বশিরউদ্দীন আরও বলেন, আমাদের রপ্তানিপণ্য খুবই সীমিত। পণ্যের বহুমুখীকরণের অভাবে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতেই হয়। এই সমস্যাগুলো সমাধানে আমাদের নতুন কৌশল গ্রহণ করতে হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে রেসিপ্রোকাল ট্রেড নেগোসিয়েশনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, আমাদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টার মাধ্যমে নিশ্চিত করেছি যাতে তারা কম শুল্ক আরোপ করে।

তিনি বলেন, ট্রেড নেগোশিয়েটরস পুলের সদস্যরা তাদের অর্জিত জ্ঞান দেশের কাজে লাগাতে পারবে। তদ্ব্যতীত, মন্ত্রণালয়, ইউএনডিপি, এফসিডিও এবং অন্যান্য অংশীদারদের সহযোগিতায় প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আমাদের বাণিজ্য সম্পর্ক আরও শক্তিশালী ও দক্ষ করা সম্ভব।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাতিসংঘের বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী উল্লেখ করেন, দর-কষাকষিতে আমাদের মূল ঘাটতি নিজেদের মধ্যে আলোচনা ও তথ্যভিত্তিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে। তিনি বলেন, অনেক সময় আমাদের কর্মকর্তারা খুব ধীরগতিতে কাজ করেন বা তথ্য না থাকার কারণে ভুল বোঝাবুঝি হয়। এক উদাহরণ হিসেবে তিনি বললেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাণিজ্যমন্ত্রী একবার বলেছিলেন, বাংলাদেশ তাদের কাছ থেকে পাওয়া চিঠির উত্তর না আসায় তারা সময় নষ্ট করে ভারতের সঙ্গে আলোচনাক্রম সম্পন্ন করেছে।

অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ছিলেন ইউএনডিপির কান্ট্রি ইকোনমিক অ্যাডভাইজর ওয়াইস প্যারি, র‍্যাপিডের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আবদুর রহিম খান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বৃটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক ও ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার।

প্রধান অতিথির উপস্থিতিতে প্রতিষ্ঠানটি ট্রেড নেগোশিয়েটরস পুলের সদস্যদের জন্য এক প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়, যেখানে অংশগ্রহণকারীদের জন্য সনদও প্রদান করা হয়।