০২:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ২৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
শুক্রবারের মধ্যে জুলাই সংবিধানের চূড়ান্ত রোডম্যাপ প্রকাশের আশা স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোট নভেম্বরের মধ্যে চায় জামায়াত হাসিনার বিরুদ্ধে আজ সাক্ষ্য দেবেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ এনবিআরের সিদ্ধান্ত: এমপি কোটার ৩০ বিলাসবহুল গাড়ি নিলামে বিক্রির পরিবর্তে হস্তান্তর মেনন-পলক-দস্তগীরসহ চারজনের বিরুদ্ধে নতুন মামলায় গ্রেফতার তীব্র যানজটে আটকা পড়ে সড়ক উপদেষ্টা মোটরসাইকেলে গন্তব্যে পৌঁছেছেন ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনের পাশে আবর্জনার স্তূপ ঢেকে দেওয়া হলো বিশিষ্ট উপদেষ্টার আগমনের জন্য পাঁচ দিন ধরে সাগরে ভাসমান ২৬ জেলেকে উদ্ধার করলো নৌ বাহিনী প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তুরস্কের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ: দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও জোরদার করার প্রত্যয়

শিবচরে ৬০ বছরের বৃদ্ধা রেনু বেগম হত্যার আসামীর আদালতে স্বীকারোক্তি

মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার উমেদপুর ইউনিয়নের কাচিকাটা গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে ৬০ বছরের বৃদ্ধা রেনু বেগমের গলাকাটা রক্তাক্ত লাশ ২১ সেপ্টেম্বর শিবচর থানা পুলিশ উদ্ধার করে। এই হত্যাকাণ্ডের মূল কারণ ও মোটিভ শনাক্তে আইনশৃংখলা বাহিনী নিরবচ্ছিন্ন কাজ চালাতে থাকে। গোয়েন্দা সূত্রের মাধ্যমে ও প্রযুক্তির সাহায্যে দ্রুত সময়ের মধ্যে অতিরিক্ত র‍্যাব-৮ (সিপিসি), মাদারীপুরের একটি বিশেষ টিম, এবং শিবচর থানা পুলিশের সহযোগিতায় পাচ্চর এলাকার এক অভিযানে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গী আসামি কাজী মাহমুদ রাসেল সবুজকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারির পর তদন্তে জানা যায়, সবুজ একাই এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। সে স্বীকার করে, মূলতঃ তাকে ও তার স্ত্রীকে চোরের অপবাদ দেয়া হয়—এই অপবাদই তাকে হত্যা করার জন্য অনুপ্রেরণা দেয়। শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালের সময় সবুজের পাচ্চরস্থ বাসায় অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত রক্তমাখা হাসুয়া বা কাঁচি উদ্ধার করে পুলিশ। কাঠের নিচে লুকানো এই ছুরির পাশাপাশি রেনু বেগমের বাসা থেকে চুরি হওয়া একটি রাইস কুকার ও অন্যান্য লুটের মালামাল উদ্ধার করা হয়। আরেকটি মোবাইল ফোন (সামসাং বাটন ফোন) ও একটি স্মার্ট ফোন (রিয়েলমি) হত্যা মামলার সাথে যুক্ত থাকার প্রমাণ হিসেবে একই সময়ে উদ্ধার করা হয়। অবশ্যই, রেনু বেগমের কানের স্বর্ণের দুল, যা হত্যাকাণ্ডের পরে নিয়ে যায় আসামি সবুজ, তা ১৪ হাজার টাকায় শিবচরের একটি গয়লার দোকানে বিক্রি করে। তদন্তের মাধ্যমে জানা গেছে, সবুজ স্বর্ণের দুলও দোকান থেকে উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও, হত্যাকাণ্ডের পর লুটের মালামাল হিসেবে ব্যবহার করা মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগও উদ্ধার করে পুলিশ। সবুজের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে বিষয় নিশ্চিত হয় পুলিশ। শুক্রবার বিকালে তাকে বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে। সেখানে সে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। এই ব্যাপারে মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অবস) মোঃ জাহাঙ্গীর আলম নিশ্চিত করেছেন।

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

শিবচরে ৬০ বছরের বৃদ্ধা রেনু বেগম হত্যার আসামীর আদালতে স্বীকারোক্তি

প্রকাশিতঃ ১০:০৬:২৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার উমেদপুর ইউনিয়নের কাচিকাটা গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে ৬০ বছরের বৃদ্ধা রেনু বেগমের গলাকাটা রক্তাক্ত লাশ ২১ সেপ্টেম্বর শিবচর থানা পুলিশ উদ্ধার করে। এই হত্যাকাণ্ডের মূল কারণ ও মোটিভ শনাক্তে আইনশৃংখলা বাহিনী নিরবচ্ছিন্ন কাজ চালাতে থাকে। গোয়েন্দা সূত্রের মাধ্যমে ও প্রযুক্তির সাহায্যে দ্রুত সময়ের মধ্যে অতিরিক্ত র‍্যাব-৮ (সিপিসি), মাদারীপুরের একটি বিশেষ টিম, এবং শিবচর থানা পুলিশের সহযোগিতায় পাচ্চর এলাকার এক অভিযানে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গী আসামি কাজী মাহমুদ রাসেল সবুজকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারির পর তদন্তে জানা যায়, সবুজ একাই এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। সে স্বীকার করে, মূলতঃ তাকে ও তার স্ত্রীকে চোরের অপবাদ দেয়া হয়—এই অপবাদই তাকে হত্যা করার জন্য অনুপ্রেরণা দেয়। শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালের সময় সবুজের পাচ্চরস্থ বাসায় অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত রক্তমাখা হাসুয়া বা কাঁচি উদ্ধার করে পুলিশ। কাঠের নিচে লুকানো এই ছুরির পাশাপাশি রেনু বেগমের বাসা থেকে চুরি হওয়া একটি রাইস কুকার ও অন্যান্য লুটের মালামাল উদ্ধার করা হয়। আরেকটি মোবাইল ফোন (সামসাং বাটন ফোন) ও একটি স্মার্ট ফোন (রিয়েলমি) হত্যা মামলার সাথে যুক্ত থাকার প্রমাণ হিসেবে একই সময়ে উদ্ধার করা হয়। অবশ্যই, রেনু বেগমের কানের স্বর্ণের দুল, যা হত্যাকাণ্ডের পরে নিয়ে যায় আসামি সবুজ, তা ১৪ হাজার টাকায় শিবচরের একটি গয়লার দোকানে বিক্রি করে। তদন্তের মাধ্যমে জানা গেছে, সবুজ স্বর্ণের দুলও দোকান থেকে উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও, হত্যাকাণ্ডের পর লুটের মালামাল হিসেবে ব্যবহার করা মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগও উদ্ধার করে পুলিশ। সবুজের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে বিষয় নিশ্চিত হয় পুলিশ। শুক্রবার বিকালে তাকে বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে। সেখানে সে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। এই ব্যাপারে মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অবস) মোঃ জাহাঙ্গীর আলম নিশ্চিত করেছেন।