ইয়েমেনের রাজধানী সানা শহরে গতকাল বৃহস্পতিবার ইসরাইলি বাহিনী ব্যাপক হামলা চালিয়েছে। এই হামলায় কমপক্ষে নয়জন নিহত এবং ১৭০ জনের বেশি আহত হয়েছে বলে জানা গেছে, যা স্থানীয় হুথি বিদ্রোহীরা নিশ্চিত করেছে। এই হামলা ঘটে এমন সময় যখন ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলে বিদ্রোহীরা ড্রোন হামলা চালানোর একদিন পরে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
সানা থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, তাদের সংবাদদাতারা শহরের তিনটি ভিন্ন স্থান থেকে বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন এবং ধোঁয়ার কুণ্ডলী আকাশে উড়ে যেতে দেখেছেন। এই হামলা গাজা যুদ্ধের পর হুথিরা ইসরাইলকে লক্ষ্য করে করা সর্বশেষ প্রতিশোধমূলক আক্রমণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে।
ইসরাইলি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাজধানীসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় তারা আঘাত হেনেছে এবং ভবিষ্যতে আরও হামলার সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি, ইসরাইলি সামরিক বাহিনী ঘোষণা করেছে, ইয়েমেন থেকে ছোঁড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্রকে প্রতিরোধ করা হয়েছে। ওই সময় মধ্য ইসরাইলের কিছু এলাকায় সাইরেনের আওয়াজ শোনা যায়।
হুতি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আনিস আলাসবাহি এক্স-এ নিশ্চিত করেছেন, হামলায় এখনো উদ্ধারকাজ চলমান, এবং ঘটনায় নিহত হয়েছেন নয়জন এবং আঘাতপ্রাপ্তের সংখ্যা ১৭৪।
হুতির আল-মাসিরাহ টেলিভিশন চ্যানেল, একজন নিরাপত্তা সূত্রের বরাতে জানিয়েছে, ইসরাইল বেশ কয়েকটি নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থার সদর দপ্তরকে টার্গেট করে হামলা চালিয়েছে। এই কেন্দ্রে অনেক বন্দী থাকলেও তারা দরকারী অস্ত্রশস্ত্রও মজুত রেখেছিল। ইসরাইলের ছবিতে দেখা গেছে, বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন এবং ধ্বংসস্তূপের চিত্র।
ইসরাইলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাৎজ জানিয়েছেন, এই হামলাকে প্রশংসনীয় বলে বর্ণনা করে বলেছেন, এটি হুতিদের বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসী স্থাপনার ওপর গভীর আঘাত। তিনি আরও জানিয়েছেন, অব্যাহত হামলার মাধ্যমে বেশ কিছু সামরিক শিবিরে আঘাত হানা হয়েছে এবং ড্রোন ও অস্ত্রের মজুদ ধ্বংস করা হয়েছে।
সামরিক সূত্রের দাবি, এই অপারেশনের মধ্যে হুতিদের জেনারেল স্টাফ সদর দপ্তরসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা কেন্দ্রও লক্ষ্যবস্তু ছিল। এই সব স্থাপনায় অস্ত্র ও হামলার পরিকল্পনার দায়িত্বে থাকা লোকজনের বিষয়েও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
শ্রীমঙ্গল২৪ ডেস্ক 










