চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের জঙ্গল সলিমপুর এলাকায় সংবাদ সংগ্রহের সময় হোসাইন জিয়াদ টেলিভিশনের ব্যুরো প্রধান ও পারভেজ রহমান চিত্র সাংবাদিকের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় নওগাঁয় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় শহরের মুক্তির মোড় শহীদ মিনারের পাশে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্যোগে এই ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন সাপ্তাহিক প্রজন্মের আলোর সম্পাদক আব্দুর রহমান রিজভী, এবং বক্তব্য রাখেন- সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) জেলা সভাপতি ও বিজয় টিভির জেলা প্রতিনিধি মোফাজ্জল হোসেন, ডিবিসি’র জেলা সাধারণ সম্পাদক ও প্রতিনিধি একে সাজু, ইনডিপেনডেন্ট টিভির সাদেকুল ইসলাম, সজীবের প্রতিনিধি মাহমুদুন নবী বেলাল, জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি আশরাফুল নয়ন, দৈনিক বাংলার জেলা প্রতিনিধি সবুজ হোসেন, DMP’র মাহাবুল আলম মারুফ ও এখন টিভির জেলা প্রতিনিধি আব্বাস আলীসহ আরও অনেক সাংবাদিক। এই অনুষ্ঠানে জেলার বিভিন্ন গণমাধ্যমের সংবাদকর্মীরা অংশ নেন।
বক্তারা বলেন, সংবাদ সংগ্রহের জন্য যখন তারা এলাকায় যান তখন দেশের চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। ক্যামেরা ভাঙচুর সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ছিনতাই করে নেয়। এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে দেশের অন্যান্য জেলার সাংবাদিক সংগঠনগুলো একযোগে প্রতিবাদ জানিয়েছে এবং হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচার দাবি করছে। তবে এখনও পুলিশ অভিযোগের তোড়জোড়ে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেনি, যা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে। দ্রুত হামলার মূল হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানানো হয়।
সুজনের জেলা সভাপতি ও বিজয় টিভির প্রতিনিধি মোফাজ্জল হোসেন বলেন, সাংবাদিকরা এখন জনগণের স্বার্থ রক্ষায় তথ্য সংগ্রহ ও প্রকাশ করতে পারছেন না। দুর্নীতির বিরুদ্ধে কলম ধরলেই নানা রকম হেনস্তার শিকার হতে হয়। এই পরিস্থিতি চলমান থাকলে দেশের অবকাঠামো আরও দুর্বল হবে। তিনি সরকারকে আহ্বান জানান, এই তদন্তের দ্রুততর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনার জন্য। পাশাপাশি, তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, সাগর رুনি সহ অন্যান্য প্রিয় সাংবাদিকরা যেসব ঘটনায় নিহত বা নির্যাতিত হয়েছেন, তাদের বিচারও জরুরি।
অবশেষে, প্রজন্মের আলো সম্পাদিকা আব্দুর রহমান রিজভী বলেন, সমাজের গভীরে ছড়িয়ে পড়া দুর্নীতির বিরুদ্ধে সত্য প্রকাশের সময় সাংবাদিকরা হয়রানির শিকার হন। মিথ্যা মামলায় হয়রানি ও হামলার শিকার হয় তারা। সঠিক বিচার না হলে অপরাধীরা বারবার এই নহরিতে ফিরে আসে। এই পরিস্থিতি শুধু সাংবাদিকদের জন্য নয়, পুরো রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর, তাই এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে হবে। তা না হলে দেশের স্বাভাবিক অবস্থা ভেঙে পড়বে বলে তিনি সতর্কবার্তা দেন।