০৮:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫, ২৫ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
উপদেষ্টা পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশন জানাবে সরকারকে মতামত সমন্বয় করে: আলী রীয়াজ জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর ১৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে ১৫ অক্টোবর হবে জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান ঢাকা-চট্টগ্রাম রেল যোগাযোগের উন্নয়নে সরকারের নতুন উদ্যোগ শুক্রবারের মধ্যে জুলাই সংবিধানের চূড়ান্ত রোডম্যাপ প্রকাশের আশা স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোট নভেম্বরের মধ্যে চায় জামায়াত হাসিনার বিরুদ্ধে আজ সাক্ষ্য দেবেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ এনবিআরের সিদ্ধান্ত: এমপি কোটার ৩০ বিলাসবহুল গাড়ি নিলামে বিক্রির পরিবর্তে হস্তান্তর

কেশবপুরে সড়কের জমি দখল করে প্রাচীর নির্মাণ, জনতার ব্যাহত ভেঙে দিল

যশোরের কেশবপুরে একদল দুর্বৃত্তের অবৈধ ভূমি দখলের ঘটনা ঘটেছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসকের কঠোর নির্দেশনা অমান্য করেই একজন ব্যক্তি সড়কের জমি দখল করে প্রাচীর নির্মাণের চেষ্টা করছিলেন। গত বৃহস্পতিবার স্থানীয় জনগণের সোচ্চার প্রতিবাদ ও যৌথ উদ্যোগে অবশেষে ঐ প্রাচীরটি ভেঙে ফেলেন তারা। এই ঘটনার পেছনে মূল ভূমিকা পালন করেন রবিউল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি, যিনি ক্ষমতার দাপটে সড়কের উপর অবৈধভাবে প্রাচীর নির্মাণের চেষ্টা করছিলেন। এর আগে, ১১ সেপ্টেম্বর পৌরসভার প্রশাসক তাকে নোটিশ পাঠ করেছিলেন, বাধা দেওয়ার জন্য, কিন্তু তিনি তার কাজ চালিয়ে যান। অবৈধ নির্মাণকাজ চলাকালে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শরীফ নেওয়াজের নেতৃত্বে। তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নির্মাণ কাজ বন্ধ করানোর নির্দেশ দেন। স্থানীয় জনগণের সম্মিলিত উদ্যোগে অবৈধ প্রাচীরটি ভেঙে ফেলা হয়। জানা যায়, রবিউল ইসলাম সম্প্রতি পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ও আলিয়া মাদ্রাসার পাশে এক সমৃদ্ধ বাড়ি কিনে, সেটির সামনে সড়কের জমি দখল করে প্রায় এক কোটি টাকার সম্পদ গড়ে তুলেছেন। সেখানে মডার্ন ক্লিনিকের মালিক হিসেবে তার পরিচিতি রয়েছে, এবং তিনি গত ১২ বছরে বিভিন্ন অবৈধ উপায় অবলম্বন করে বেশ কিছু মূল্যবান সম্পত্তি অর্জন করেছেন। স্থানীয় সূত্র মতে, তার এই সম্পদ স্রেফ অবৈধ পথের মাধ্যমে অর্জিত। রবিউল ইসলাম নিজেও স্বীকার করেছেন, তিনি নোটিশ পাওয়ার পরও পৌরসভার সঙ্গে আলোচনা করে কাজ চালিয়ে গেছেন। তবে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও জনতার ঐক্যবদ্ধ অভিযানের ফলে অবৈধ নির্মাণ বন্ধ ও ভেঙে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ—এই ধরনের অবৈধ কর্মকাণ্ড চালিয়ে রবিউল ইসলাম কয়েক বছরে প্রায় শতকোটি টাকার মালিক হয়েছেন। তারা বলেন, তার এই কর্মকাণ্ডের পেছনে রয়েছে স্থানীয় ক্ষমতাশালী এক নেতার ছত্রছায়া। এই বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তা মো. শরীফ নেওয়াজ বলেন, জনৈক রবিউল ইসলাম সড়কের জমি দখল করে অবৈধভাবে প্রাচীর নির্মাণ করছিল। বেশ কয়েকবার নোটিশ দেয়ার পরও তিনি কাজ চালিয়ে যান। অবশেষে, জনগণের সহযোগিতায় এই অবৈধ কাজ ভেঙে ফেলা হয়, যাতে সড়কের সদৃশ অবৈধ দখলদারিত্ব ঠেকানো যায়।

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

বিজয় থালাপতির বাড়ি ঘিরে রেখেছে পুলিশ

কেশবপুরে সড়কের জমি দখল করে প্রাচীর নির্মাণ, জনতার ব্যাহত ভেঙে দিল

প্রকাশিতঃ ১০:৫০:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫

যশোরের কেশবপুরে একদল দুর্বৃত্তের অবৈধ ভূমি দখলের ঘটনা ঘটেছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসকের কঠোর নির্দেশনা অমান্য করেই একজন ব্যক্তি সড়কের জমি দখল করে প্রাচীর নির্মাণের চেষ্টা করছিলেন। গত বৃহস্পতিবার স্থানীয় জনগণের সোচ্চার প্রতিবাদ ও যৌথ উদ্যোগে অবশেষে ঐ প্রাচীরটি ভেঙে ফেলেন তারা। এই ঘটনার পেছনে মূল ভূমিকা পালন করেন রবিউল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি, যিনি ক্ষমতার দাপটে সড়কের উপর অবৈধভাবে প্রাচীর নির্মাণের চেষ্টা করছিলেন। এর আগে, ১১ সেপ্টেম্বর পৌরসভার প্রশাসক তাকে নোটিশ পাঠ করেছিলেন, বাধা দেওয়ার জন্য, কিন্তু তিনি তার কাজ চালিয়ে যান। অবৈধ নির্মাণকাজ চলাকালে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শরীফ নেওয়াজের নেতৃত্বে। তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নির্মাণ কাজ বন্ধ করানোর নির্দেশ দেন। স্থানীয় জনগণের সম্মিলিত উদ্যোগে অবৈধ প্রাচীরটি ভেঙে ফেলা হয়। জানা যায়, রবিউল ইসলাম সম্প্রতি পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ও আলিয়া মাদ্রাসার পাশে এক সমৃদ্ধ বাড়ি কিনে, সেটির সামনে সড়কের জমি দখল করে প্রায় এক কোটি টাকার সম্পদ গড়ে তুলেছেন। সেখানে মডার্ন ক্লিনিকের মালিক হিসেবে তার পরিচিতি রয়েছে, এবং তিনি গত ১২ বছরে বিভিন্ন অবৈধ উপায় অবলম্বন করে বেশ কিছু মূল্যবান সম্পত্তি অর্জন করেছেন। স্থানীয় সূত্র মতে, তার এই সম্পদ স্রেফ অবৈধ পথের মাধ্যমে অর্জিত। রবিউল ইসলাম নিজেও স্বীকার করেছেন, তিনি নোটিশ পাওয়ার পরও পৌরসভার সঙ্গে আলোচনা করে কাজ চালিয়ে গেছেন। তবে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও জনতার ঐক্যবদ্ধ অভিযানের ফলে অবৈধ নির্মাণ বন্ধ ও ভেঙে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ—এই ধরনের অবৈধ কর্মকাণ্ড চালিয়ে রবিউল ইসলাম কয়েক বছরে প্রায় শতকোটি টাকার মালিক হয়েছেন। তারা বলেন, তার এই কর্মকাণ্ডের পেছনে রয়েছে স্থানীয় ক্ষমতাশালী এক নেতার ছত্রছায়া। এই বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তা মো. শরীফ নেওয়াজ বলেন, জনৈক রবিউল ইসলাম সড়কের জমি দখল করে অবৈধভাবে প্রাচীর নির্মাণ করছিল। বেশ কয়েকবার নোটিশ দেয়ার পরও তিনি কাজ চালিয়ে যান। অবশেষে, জনগণের সহযোগিতায় এই অবৈধ কাজ ভেঙে ফেলা হয়, যাতে সড়কের সদৃশ অবৈধ দখলদারিত্ব ঠেকানো যায়।