০২:৫২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
আন্তর্জাতিকভাবে দাবি জানানোয় বন্দিদের মুক্তি ঘোষণা বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দেশবাসীর দোয়ার আবেদন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্কটকালে মায়ের স্নেহ পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা আমারও: তারেক রহমান মৌসুমি সবজি বাজারে ভরপুর, দাম কমে গেছে উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ সভায় খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনায় দোয়া ও মোনাজাত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের জন্য ভর্তুকির দাবি আরব আমিরাতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া ২৪ ব্যক্তির মুক্তি আসছে বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা মনের আকাঙ্ক্ষা ও রাজনৈতিক বাস্তবতার মধ্যে দ্বন্দ্ব: তারেক রহমানের মন্তব্য বাজারে মৌসুমি সবজির সরবরাহ বৃদ্ধি ও দাম কমে যাচ্ছে

মির্জা ফখরুলের আহ্বান: দেশবাসীকে বিভাজন থেকে বিরত থাকুন

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দয়া করে দেশের অস্তিত্ব রক্ষা করুন। এখন আর বিভাজন সৃষ্টি না করে একতা বজায় রাখা জরুরি। তিনি জানান, বিভিন্ন দাবি-দাওয়া তুলে দেশকে বিশৃঙ্খলার দিকে ঠেলে দেওয়া ভুল হবে। যারা বিভিন্ন দাবি তুলে আনছেন, তাদের উদ্দেশ্য শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নয়, বরং তারা নির্বাচনাকে বাধাগ্রস্ত করতে চায়। তবে দেশের মানুষ ভোট দিতে চায়, তাই এ অপব্যবহার বন্ধ করে দ্রুত নির্বাচন সম্পন্ন করতে আহ্বান জানান তিনি। বৃহস্পতিবার ঠাকুরগাঁও-১ আসনের গড়েয়া ইউনিয়নে সাধারণ মানুষের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রধান কথাগুলো বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, দেশের জনগণকে বাঁচাতে দ্রুত নির্বাচনের বিকল্প নেই। তিনি স্পষ্টভাবে বলেছন, বিভাজন সৃষ্টি ও নতুন দাবি তুলে বিভেদ বাড়ানো ঠিক নয়। গণভোট ও পুডুকার আন্দোলন তো অনেকের মনে থাকতে পারে, তবে এসব কিছু দিয়ে আন্দোলন যেতে পারে, তবে তা এখনই সময় নয়। সকলে যেন নির্বাচনকে স্বাধীনভাবে সম্পন্ন করতে দেয়, যাতে দেশের মানুষ নিরাপদে থাকেন।

তিনি বলেন, ‘পুডুকার বা পিআর বিষয়টি আলোচনা হলে পারে, তবে এখন রাস্তায় না নেমে সংসদে আলোচনা করা উচিৎ। দেশের মানুষকে নিরাপদ রাখতে দ্রুত নির্বাচন করাই একমাত্র வழি। আমাদের উচিত হিংসা বা অন্য আবেগের রাজনীতি এড়ানো। দেশের শান্তিপূর্ণ অবস্থা বজায় রাখাই বিএনপি’র মূল Lakshya। যদি বিএনপি ক্ষমতায় আসে, তারা এক কোটির বেশি মানুষের জন্য কর্মসংস্থান নিশ্চিত করবে। পরিবার কার্ডসহ স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হবে, যার মাধ্যমে দেশের ভবিষ্যত আরও সুন্দর হবে।

বিএনপি মহাসচিব বলছেন, জনগণ যে প্রার্থীকে ভোট দেবে, সে সংসদে গিয়ে জনগণের জন্য কাজ করবেন, এটি একটি স্বাভাবিক গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া। তবে এবারের নির্বাচনের বিশেষত্ব হলো—পার্লামেন্টটা দুটো কক্ষে বিভক্ত থাকবে। নিম্নকক্ষে মনোনীত ও ভোটে নির্বাচিত প্রার্থীরা থাকবেন। উচ্চকক্ষে থাকবেন আলেম সমাজ, বিশিষ্ট ব্যক্তি, হিন্দু-বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি—allেই থাকবেন সবাই, সমাজের বিভিন্ন অংশের প্রতিনিধিরা। সবাই মিলে কাজ করলে, বাংলাদেশ সত্যিই সুন্দর দেশ হয়ে উঠবে।

তিনি আরও বলেন, আগামীকাল শুক্রবার জাতীয় সংসদে সনদে স্বাক্ষর হবে। কঠিন শব্দ জনগণ বুঝতে পারে না, তবুও সেগুলোর উপর সই করা হবে। সেই সনদে যেমন সংস্কারমূলক বিষয়গুলো থাকবে, তেমনি যেসব বিষয়ে দলগুলো একমত নয়, সেগুলোর জন্য গণমত সংগ্রহ করা হবে।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষের জয় নিশ্চিত করতে নিজ নির্বাচনী এলাকার জনসংযোগ চালাচ্ছেন বিএনপি মহাসচিব। মঙ্গলবার থেকে তিনি ঠাকুরগাঁওয়ের বিভিন্ন প্রান্তে গণসংযোগ চালাচ্ছেন। এ সময়ে দলের নেতারা, সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী, সদর উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব হোসেন তুহিনসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

মির্জা ফখরুলের আহ্বান: দেশবাসীকে বিভাজন থেকে বিরত থাকুন

প্রকাশিতঃ ১০:৫০:১১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দয়া করে দেশের অস্তিত্ব রক্ষা করুন। এখন আর বিভাজন সৃষ্টি না করে একতা বজায় রাখা জরুরি। তিনি জানান, বিভিন্ন দাবি-দাওয়া তুলে দেশকে বিশৃঙ্খলার দিকে ঠেলে দেওয়া ভুল হবে। যারা বিভিন্ন দাবি তুলে আনছেন, তাদের উদ্দেশ্য শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নয়, বরং তারা নির্বাচনাকে বাধাগ্রস্ত করতে চায়। তবে দেশের মানুষ ভোট দিতে চায়, তাই এ অপব্যবহার বন্ধ করে দ্রুত নির্বাচন সম্পন্ন করতে আহ্বান জানান তিনি। বৃহস্পতিবার ঠাকুরগাঁও-১ আসনের গড়েয়া ইউনিয়নে সাধারণ মানুষের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রধান কথাগুলো বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, দেশের জনগণকে বাঁচাতে দ্রুত নির্বাচনের বিকল্প নেই। তিনি স্পষ্টভাবে বলেছন, বিভাজন সৃষ্টি ও নতুন দাবি তুলে বিভেদ বাড়ানো ঠিক নয়। গণভোট ও পুডুকার আন্দোলন তো অনেকের মনে থাকতে পারে, তবে এসব কিছু দিয়ে আন্দোলন যেতে পারে, তবে তা এখনই সময় নয়। সকলে যেন নির্বাচনকে স্বাধীনভাবে সম্পন্ন করতে দেয়, যাতে দেশের মানুষ নিরাপদে থাকেন।

তিনি বলেন, ‘পুডুকার বা পিআর বিষয়টি আলোচনা হলে পারে, তবে এখন রাস্তায় না নেমে সংসদে আলোচনা করা উচিৎ। দেশের মানুষকে নিরাপদ রাখতে দ্রুত নির্বাচন করাই একমাত্র வழি। আমাদের উচিত হিংসা বা অন্য আবেগের রাজনীতি এড়ানো। দেশের শান্তিপূর্ণ অবস্থা বজায় রাখাই বিএনপি’র মূল Lakshya। যদি বিএনপি ক্ষমতায় আসে, তারা এক কোটির বেশি মানুষের জন্য কর্মসংস্থান নিশ্চিত করবে। পরিবার কার্ডসহ স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হবে, যার মাধ্যমে দেশের ভবিষ্যত আরও সুন্দর হবে।

বিএনপি মহাসচিব বলছেন, জনগণ যে প্রার্থীকে ভোট দেবে, সে সংসদে গিয়ে জনগণের জন্য কাজ করবেন, এটি একটি স্বাভাবিক গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া। তবে এবারের নির্বাচনের বিশেষত্ব হলো—পার্লামেন্টটা দুটো কক্ষে বিভক্ত থাকবে। নিম্নকক্ষে মনোনীত ও ভোটে নির্বাচিত প্রার্থীরা থাকবেন। উচ্চকক্ষে থাকবেন আলেম সমাজ, বিশিষ্ট ব্যক্তি, হিন্দু-বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি—allেই থাকবেন সবাই, সমাজের বিভিন্ন অংশের প্রতিনিধিরা। সবাই মিলে কাজ করলে, বাংলাদেশ সত্যিই সুন্দর দেশ হয়ে উঠবে।

তিনি আরও বলেন, আগামীকাল শুক্রবার জাতীয় সংসদে সনদে স্বাক্ষর হবে। কঠিন শব্দ জনগণ বুঝতে পারে না, তবুও সেগুলোর উপর সই করা হবে। সেই সনদে যেমন সংস্কারমূলক বিষয়গুলো থাকবে, তেমনি যেসব বিষয়ে দলগুলো একমত নয়, সেগুলোর জন্য গণমত সংগ্রহ করা হবে।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষের জয় নিশ্চিত করতে নিজ নির্বাচনী এলাকার জনসংযোগ চালাচ্ছেন বিএনপি মহাসচিব। মঙ্গলবার থেকে তিনি ঠাকুরগাঁওয়ের বিভিন্ন প্রান্তে গণসংযোগ চালাচ্ছেন। এ সময়ে দলের নেতারা, সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী, সদর উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব হোসেন তুহিনসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।