১০:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫, ৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
এনসিপি থেকে বহিষ্কারের পর মাহিনের বিশ্লেষণমূলক মন্তব্য নরওয়ে গবেষণা জাহাজ বঙ্গোপসাগরে মৎস্য ও ইকোসিস্টেম জরিপ শুরু করেছে বয়স হলে ভুল বোঝার ব্যাপারটা বুঝতে পারবে, তখন লজ্জিত হবে নিজেকে নিয়ন্ত্রকদের সম্পদ তদন্ত চাই দুদকের ইইউ ৪ মিলিয়ন ইউরো আর্থিক সহযোগিতা দেবে বাংলাদেশের নির্বাচন উন্নত করতে ইভেন্ট বুকিংয়ে এক বছরের জন্য ৫০% ছাড় দিচ্ছে আইসিসিএল ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার ঝিনাইদহের আওয়ামী লীগ সভাপতি পরীক্ষায় ফেল, টানা ২৬ বছর গৃহবন্দী নারীকে উদ্ধার খাদ্য মন্ত্রনালয়ের রেকর্ড পরিমাণ ধান ও চাল সংগ্রহ গাইবান্ধায় ১৪৯০ মিটার দীর্ঘ ‘মওলানা ভাসানী সেতু’ উদ্বোধন করবেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা

কীভাবে ১৫৫ কেজি ওজন কমালেন আদনান সামি?

মালদ্বীপ ঘুরতে গিয়েছেন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ভারতীয় সংগীতশিল্পী আদনান সামি। নিজের ভেরিফাইড পেইজে প্রকাশ করেছেন পারিবারিক ট্রিপের বিভিন্ন আনন্দের মুহূর্ত। ছিপছিপে আদনান সামির ছবি দেখে নতুন করে নেটিজেনদের মধ্যে কাজ করছে বিস্ময়। যদিও এই গায়কের ওজন কমানোর গল্প বেশ পুরনোই।

সেটা ছিল ২০০৬ সালের কথা। ২২০ কেজি ওজনের আদনান ছিলেন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে! কারণ চিকিৎসকরা জানিয়ে দিয়েছিলেন বাড়তি ওজন ঝরাতে না পারলে বেঁচে থাকা কঠিনই হয়ে পড়বে এই গায়কের জন্য। এরপরই আদাজল খেয়ে ওজন ঝরানোর মিশনে নেমে পড়েন এই শিল্পী। কঠিন অধ্যাবসায়ের মাধ্যমে ১৫৫ কেজি ওজনকে বিদায় জানান।

এক সময় বিরিয়ানি খেতে খুব পছন্দ করতেন আদনান। ভালোবাসতেন মাখন ও স্টেক। তবে একদিন বিশাল একটি চিজকেক, সেদ্ধ আলু ও মাখন দিয়ে স্টেক খেয়ে সিদ্ধান্ত নিলেন আর না! এরপরের দিন থেকেই বদলে গেলো তার জীবন। কার্বোহাইড্রেট কমিয়ে দিয়ে প্রোটিনে নির্ভরশীল হওয়া শুরু করলেন আদনান। একজন পুষ্টিবিদের পরামর্শে তার ওজন ঝরানোর এই কঠিন যাত্রা শুরু হয়।

শুরুতে ব্যায়াম করতে পারতেন না এই সংগীতশিল্পী। কারণ তিনি এতোটাই মেদবহুল ছিলেন যে নিচু হতে পারতেন না কোনোভাবেই। ফলে খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমেই তাকে ঝরাতে হয়েছিল বেশ অনেকটা ওজন। সাদা ভাত, রুটি, চিনি ও জাঙ্ক ফুড খাওয়া পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছিলেন।

আদনানের পুষ্টিবিদ জানান, ‘ইমোশোনাল ইটার’ ছিলেন আদনান। মন খারাপ থাকা কিংবা ভালো থাকার উপর নির্ভর করতো তার খাদ্যাভ্যাস। শর্করা ও চিনিজাতীয় খাবার হুট করেই প্রচুর পরিমাণে খেয়ে ফেলতেন তিনি। এরপর যদিও অনুতপ্ত হতেন ব্যাপারটা নিয়ে। এই ঘটনা যেন না ঘটে সেজন্য পুষ্টিবিদকে সঙ্গে নিয়েই চলতেন আদনান।

এক কাপ চিনি ছাড়া চা খেয়ে শুরু হতো আদনানের দিন। দুপুরে ১ টেবিল চামচ ফ্যাট-ফ্রি সালাদ ড্রেসিং দেওয়া সবজির সালাদ ও মাছ থাকতো মেন্যুতে। রাতের খাবারে সেদ্ধ ডাল অথবা মুরগির মাংস খেতেন। কোনও ধরনের ভাত বা রুটি থাকতো না খাদ্য তালিকায়। সন্ধ্যায় খেতেন ঘরে তৈরি পপকর্ন, যেখানে থাকতো না মাখন ও লবণ।

প্রায় চল্লিশ কেজি ওজন কমে যাওয়ার পর ডায়েটিশিয়ানের পরামর্শে ব্যায়াম শুরু করেন আদনান। শুরুতে ট্রেডমিলে দৌড়াতেন কিছুক্ষণ। সঙ্গে হালকা ব্যায়াম। কয়েক মাস পর আটঘাট বেঁধে শুরু হয় শরীরচর্চা। সপ্তাহে ৬ দিন কার্ডিও এক্সারসাইজ করতেন এই শিল্পী। এরপরই দ্রুত কমতে শুরু করে ওজন। সে সময় মাসে প্রায় ১০ কেজি ওজন ঝরিয়েছেন তিনি। ব্যায়াম শুরু করার পর ভীষণ উচ্ছ্বসিত আদনান জানান, এখন তিনি আগের চাইতে অনেকটাই সুস্থ বোধ করেন। অনেকক্ষণ দৌড়াতে পারেন, রাতে ঘুমও হয় ভালো।

ওজন কমানোর প্রায় পুরো বিষয়টাই মানসিক- মনে করেন আদনান সামি। এখনও টুক করে এক পিস কেক মুখে পুড়ে দেন এই শিল্পী। তবে বাড়তি ক্যালোরি ঝরিয়ে ফেলতেও ভুল হয় না তার!

তথ্য: এনডিটিভি

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

আজ উদ্বোধন হচ্ছে মাওলানা ভাসানী সেতু

কীভাবে ১৫৫ কেজি ওজন কমালেন আদনান সামি?

প্রকাশিতঃ ১২:০৯:৩৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২২

মালদ্বীপ ঘুরতে গিয়েছেন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ভারতীয় সংগীতশিল্পী আদনান সামি। নিজের ভেরিফাইড পেইজে প্রকাশ করেছেন পারিবারিক ট্রিপের বিভিন্ন আনন্দের মুহূর্ত। ছিপছিপে আদনান সামির ছবি দেখে নতুন করে নেটিজেনদের মধ্যে কাজ করছে বিস্ময়। যদিও এই গায়কের ওজন কমানোর গল্প বেশ পুরনোই।

সেটা ছিল ২০০৬ সালের কথা। ২২০ কেজি ওজনের আদনান ছিলেন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে! কারণ চিকিৎসকরা জানিয়ে দিয়েছিলেন বাড়তি ওজন ঝরাতে না পারলে বেঁচে থাকা কঠিনই হয়ে পড়বে এই গায়কের জন্য। এরপরই আদাজল খেয়ে ওজন ঝরানোর মিশনে নেমে পড়েন এই শিল্পী। কঠিন অধ্যাবসায়ের মাধ্যমে ১৫৫ কেজি ওজনকে বিদায় জানান।

এক সময় বিরিয়ানি খেতে খুব পছন্দ করতেন আদনান। ভালোবাসতেন মাখন ও স্টেক। তবে একদিন বিশাল একটি চিজকেক, সেদ্ধ আলু ও মাখন দিয়ে স্টেক খেয়ে সিদ্ধান্ত নিলেন আর না! এরপরের দিন থেকেই বদলে গেলো তার জীবন। কার্বোহাইড্রেট কমিয়ে দিয়ে প্রোটিনে নির্ভরশীল হওয়া শুরু করলেন আদনান। একজন পুষ্টিবিদের পরামর্শে তার ওজন ঝরানোর এই কঠিন যাত্রা শুরু হয়।

শুরুতে ব্যায়াম করতে পারতেন না এই সংগীতশিল্পী। কারণ তিনি এতোটাই মেদবহুল ছিলেন যে নিচু হতে পারতেন না কোনোভাবেই। ফলে খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমেই তাকে ঝরাতে হয়েছিল বেশ অনেকটা ওজন। সাদা ভাত, রুটি, চিনি ও জাঙ্ক ফুড খাওয়া পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছিলেন।

আদনানের পুষ্টিবিদ জানান, ‘ইমোশোনাল ইটার’ ছিলেন আদনান। মন খারাপ থাকা কিংবা ভালো থাকার উপর নির্ভর করতো তার খাদ্যাভ্যাস। শর্করা ও চিনিজাতীয় খাবার হুট করেই প্রচুর পরিমাণে খেয়ে ফেলতেন তিনি। এরপর যদিও অনুতপ্ত হতেন ব্যাপারটা নিয়ে। এই ঘটনা যেন না ঘটে সেজন্য পুষ্টিবিদকে সঙ্গে নিয়েই চলতেন আদনান।

এক কাপ চিনি ছাড়া চা খেয়ে শুরু হতো আদনানের দিন। দুপুরে ১ টেবিল চামচ ফ্যাট-ফ্রি সালাদ ড্রেসিং দেওয়া সবজির সালাদ ও মাছ থাকতো মেন্যুতে। রাতের খাবারে সেদ্ধ ডাল অথবা মুরগির মাংস খেতেন। কোনও ধরনের ভাত বা রুটি থাকতো না খাদ্য তালিকায়। সন্ধ্যায় খেতেন ঘরে তৈরি পপকর্ন, যেখানে থাকতো না মাখন ও লবণ।

প্রায় চল্লিশ কেজি ওজন কমে যাওয়ার পর ডায়েটিশিয়ানের পরামর্শে ব্যায়াম শুরু করেন আদনান। শুরুতে ট্রেডমিলে দৌড়াতেন কিছুক্ষণ। সঙ্গে হালকা ব্যায়াম। কয়েক মাস পর আটঘাট বেঁধে শুরু হয় শরীরচর্চা। সপ্তাহে ৬ দিন কার্ডিও এক্সারসাইজ করতেন এই শিল্পী। এরপরই দ্রুত কমতে শুরু করে ওজন। সে সময় মাসে প্রায় ১০ কেজি ওজন ঝরিয়েছেন তিনি। ব্যায়াম শুরু করার পর ভীষণ উচ্ছ্বসিত আদনান জানান, এখন তিনি আগের চাইতে অনেকটাই সুস্থ বোধ করেন। অনেকক্ষণ দৌড়াতে পারেন, রাতে ঘুমও হয় ভালো।

ওজন কমানোর প্রায় পুরো বিষয়টাই মানসিক- মনে করেন আদনান সামি। এখনও টুক করে এক পিস কেক মুখে পুড়ে দেন এই শিল্পী। তবে বাড়তি ক্যালোরি ঝরিয়ে ফেলতেও ভুল হয় না তার!

তথ্য: এনডিটিভি