০৮:৫৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
গুম-খুনের অভিযোগে ক্ষমা চেয়ে আয়নাঘরের কথা স্বীকার করলেন র‍্যাব ডিজি ঐক্যের ডাক হাসনাত আব্দুল্লাহর দেশের জন্য ক্ষতিকর চুক্তি বাতিলের দাবি করা হয়েছে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও মর্যাদা রক্ষার প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য চলমান অপচেষ্টা নতুন বাংলাদেশের যাত্রায় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন সাবেক এসপি বাবুল আক্তার রমেন রায়ের ওপর হামলার ঘটনাটি পুরোনো, তিনি চিন্ময়ের আইনজীবী নন ঢাকায় আসছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব কঠিন সময় পার করছে বাংলাদেশ: প্রধান উপদেষ্টা পশ্চিমবঙ্গের ৮ জেলায় বাংলাদেশ সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়ালো ভারত

বরিশালে স্টেডিয়াম থেকে ফুটবলারের লাশ উদ্ধার

রিশালে স্টেডিয়াম থেকে মো. সোহেল জমাদ্দার (২৩) নামে এক ফুটবলারের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (৭ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত স্টেডিয়ামের ড্রেসিংরুম থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

নিহত মো. সোহেল জমাদ্দার (২৩) ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার রায়াপুর বটতলা এলাকার হাফিজ জমাদ্দারের ছেলে। তিনি ঢাকার সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের অনূর্ধ্ব-১৭ দলের গোলরক্ষক ছিলেন।

জানা যায়, বিয়ের আগে বরিশাল নগরীর বেসরকারি নার্সিং কলেজের এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল সোহেলের। তাদের সম্পর্কে বিচ্ছেদ হওয়ায় সোহেল অন্যত্র বিয়ে করেন। তবে সম্প্রতি সোহেল সেই মেয়ের সঙ্গে প্রেমের আবারও সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। শনিবার রাতে মোবাইলে ওই পরকীয়া প্রেমিকাকে প্রথমে আত্মহত্যার সরঞ্জামাদির ছবি পাঠান সোহেল। পরে ভিডিও কলে রেখে আত্মহত্যা করেন। রোববার সকালে স্টেডিয়ামের ড্রেসিংরুম থেকে ওই ফুটবলারের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহতের বোন শান্তা জানান, শনিবার স্ত্রীর সঙ্গে সোহেল ভাইয়ের ঝগড়া হয়। ভাবী ছেলেকে নিয়ে বাবার বাড়ি চলে যান। এদিকে রোববার খেলা থাকায় এদিনই স্টেডিয়ামে আসেন সোহেল ভাই। সন্ধ্যার পর থেকে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না। অন্যান্য খেলোয়াড়রাও সোহেল ভাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি। পরে ওই মেয়ে (সোহেলের প্রেমিকা) জানায়- সোহেল তাকে প্রথমে দড়ি ও একটি মইয়ের ছবি পাঠায়। পরে রাতে ভিডিও কলে রেখে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। বিষয়টি জানার পর সোহেল ভাইয়ের ইমু নম্বরে কল দিই। কিন্তু কেউ রিসিভ করেনি। সকালে এসে তার লাশ দেখতে পাই।

কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে- গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন এই ফুটবলার। ভিডিও কলে রেখে আত্মহত্যার আলামত পাওয়া গেছে। আত্মহত্যার আগে পাঠানো ছবিও পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় নিহত সোহেলের মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। অভিযোগ পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ট্যাগ :
সর্বাধিক পঠিত

বরিশালে স্টেডিয়াম থেকে ফুটবলারের লাশ উদ্ধার

প্রকাশিতঃ ০১:১৫:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ মে ২০২৩

রিশালে স্টেডিয়াম থেকে মো. সোহেল জমাদ্দার (২৩) নামে এক ফুটবলারের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (৭ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত স্টেডিয়ামের ড্রেসিংরুম থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

নিহত মো. সোহেল জমাদ্দার (২৩) ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার রায়াপুর বটতলা এলাকার হাফিজ জমাদ্দারের ছেলে। তিনি ঢাকার সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের অনূর্ধ্ব-১৭ দলের গোলরক্ষক ছিলেন।

জানা যায়, বিয়ের আগে বরিশাল নগরীর বেসরকারি নার্সিং কলেজের এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল সোহেলের। তাদের সম্পর্কে বিচ্ছেদ হওয়ায় সোহেল অন্যত্র বিয়ে করেন। তবে সম্প্রতি সোহেল সেই মেয়ের সঙ্গে প্রেমের আবারও সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। শনিবার রাতে মোবাইলে ওই পরকীয়া প্রেমিকাকে প্রথমে আত্মহত্যার সরঞ্জামাদির ছবি পাঠান সোহেল। পরে ভিডিও কলে রেখে আত্মহত্যা করেন। রোববার সকালে স্টেডিয়ামের ড্রেসিংরুম থেকে ওই ফুটবলারের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহতের বোন শান্তা জানান, শনিবার স্ত্রীর সঙ্গে সোহেল ভাইয়ের ঝগড়া হয়। ভাবী ছেলেকে নিয়ে বাবার বাড়ি চলে যান। এদিকে রোববার খেলা থাকায় এদিনই স্টেডিয়ামে আসেন সোহেল ভাই। সন্ধ্যার পর থেকে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না। অন্যান্য খেলোয়াড়রাও সোহেল ভাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি। পরে ওই মেয়ে (সোহেলের প্রেমিকা) জানায়- সোহেল তাকে প্রথমে দড়ি ও একটি মইয়ের ছবি পাঠায়। পরে রাতে ভিডিও কলে রেখে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। বিষয়টি জানার পর সোহেল ভাইয়ের ইমু নম্বরে কল দিই। কিন্তু কেউ রিসিভ করেনি। সকালে এসে তার লাশ দেখতে পাই।

কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে- গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন এই ফুটবলার। ভিডিও কলে রেখে আত্মহত্যার আলামত পাওয়া গেছে। আত্মহত্যার আগে পাঠানো ছবিও পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় নিহত সোহেলের মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। অভিযোগ পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।